ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নওগাঁয় যৌতুকের জন্য স্ত্রীর পিঠে ছ্যাঁকা

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ১৭ জুন ২০১৫

নওগাঁয় যৌতুকের জন্য স্ত্রীর পিঠে ছ্যাঁকা

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ১৬ জুন ॥ নওগাঁর পোরশা উপজেলার দুয়ারপাল গ্রামে শাপলা খাতুন নামে এক গৃহবধূকে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন চালানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, লোহার রড গরম করে পিঠে ছ্যাঁকা দিয়েছে তার পাষ- স্বামী। সোমবার রাতে এই নির্মম ঘটনাটি ঘটানো হয়। নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ বর্তমানে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গৃহবধূ শাপলা খাতুন সাপাহার উপজেলার কলমুডাঙ্গা বলদিয়াঘাট গ্রামের একরামুল হকের কন্যা বলে জানা গেছে। হাসপাতাল বেডে ভর্তি গৃহবধূ শাপলা অসহ্য যন্ত্রণায় এখন ছটফট করছেন। তিনি জানান, এক মাস পূর্বে পোরশা উপজেলার দুয়ারপাল গ্রামের কাইয়ুম উদ্দিনের পুত্র কোবেল উদ্দিনের (২৭) সঙ্গে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েকদিন পর থেকেই লোভী স্বামী ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে নববধূ শাপলাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন শুরু করে। ঘটনার দিন সোমবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে স্বামী কোবেল আবারও ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী শাপলাকে চাপ প্রয়োগ করে। এ সময় শাপলার বাবার পক্ষে এত টাকা দেয়া সম্ভব নয়, বলে সাফ জানিয়ে দিলে ওই রাতেই নেমে আসে তার ওপর অকথ্য নির্যাতন। হাত-পা বেঁধে গৃহবধূ শাপলাকে অমানসিক নির্যাতনের এক পর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পাষ- স্বামী কোবেল এ সময় লোহার রড গরম করে এনে তার পিঠে ছ্যাঁকা দেয়। অসহ্য যন্ত্রণায় গৃহবধূ শাপলা ছটফট করতে থাকলে তার ওপর নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। পরদিন মঙ্গলবার সকালে গৃহবধূ সুযোগ বুঝে জীবন বাঁচানোর তাগিদে কৌশলে স্বামীর বাড়ি থেকে পালিয়ে সাপাহার উপজেলার বেলডাঙ্গা গ্রামে তার নানার বাড়িতে এসে আশ্রয় নেন। সেখানে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। সংবাদ পেয়ে তার পিতার বাড়ির লোকজন তড়িঘড়ি তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
×