ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কোপায় চিলি-মেক্সিকো রুদ্ধশ্বাস লড়াই অমীমাংসিত

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ১৭ জুন ২০১৫

কোপায় চিলি-মেক্সিকো রুদ্ধশ্বাস লড়াই অমীমাংসিত

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ লাতিন আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের আসর কোপা আমেরিকা ফুটবলে স্বাগতিক চিলি ও মেক্সিকোর মধ্যকার রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ ড্র হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ৩-৩ গোলে ড্র হয়। পয়েন্ট হারানোর পরও ‘এ’ গ্রুপে দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে স্বাগতিক চিলি। টানা দুই ড্রয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় মেক্সিকো। ইকুয়েডরকে ৩-২ গোলে হারিয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে বলিভিয়া। এই জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছে দলটি। অবাক করা বিষয় হচ্ছে, এটি কোপা আমেরিকা ফুটবলে বলিভিয়ার ১৮ বছর পর জয়। ১৯৯৭ সালে সর্বশেষ জয় পেয়েছিল দলটি। চিলির রাজধানী সান্টিয়াগোর স্টাডিও ন্যাশিওনালে স্বাগতিক সমর্থকদের স্তব্ধ করে দিয়ে এগিয়ে যায় দক্ষিণ আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে অতিথি হিসেবে খেলতে আসা মেক্সিকো। ২১ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেয়া গোল করেন মাটিয়াস ভুসো। সমতায় ফিরতে একদমই সময় নেয়নি চিলি। ২২ মিনিটে অসাধারণ এক হেড থেকে গোল করে স্বাগতিক শিবিরে স্বস্তি ফেরান আর্টুরো ভিদাল। শুরুতেই পাল্টাপাল্টি গোলে দারুণ জমে উঠে ম্যাচ। সাত মিনিট পর আবারও এগিয়ে যায় মেক্সিকো। গোল করেন রাউল জিমিনেজ। ৪২ মিনিটে এডুয়ার্ডো ভারগাসের গোলে আবারও সমতা ফেরায় চিলি। বিরতির পর স্বাগতিক চিলির দর্শকদের আনন্দে ভাসান ভিদাল। পেনাল্টি থেকে গোল করে তিনি প্রথমবার দলকে এগিয়ে নেন। কিন্তু এই আনন্দ বেশিক্ষণ টেকেনি ৬৬ মিনিটে ভুসোর দ্বিতীয় গোলে সমতা ফেরায় মেক্সিকো। দারুণ উপভোগ্য ম্যাচে বাদবাকি সময়ও জমজমাট ছিল। কিন্তু স্বাগতিক চিলির দুর্ভাগ্য, আরও দুইবার প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠিয়েও জয়োৎসব করতে পারেনি তারা। কেননা ম্যাচের শেষদিকে জোশে ভালডিভিয়া ও আলেক্সিস সানচেজের করা দুটি গোল অফসাইডের কারণে বাতিল করেন রেফারি। ম্যাচ শেষে চিলির কোচ জর্জ সামপাওলি বলেন, ম্যাচটি অনেক উত্তেজনাপূর্ণ হয়েছে। দু’দলের সামনেই জয়ের সুযোগ ছিল। তবে আমাদের দুর্ভাগ্য, শেষ দিকের দুটি গোল অফসাইডের কারণে বাতিল করা হয়। মেক্সিকোর কোচ ম্যাগুয়েল হেরেইরা বলেন, দুইবার এগিয়ে যেয়েও জিততে না পারাটা কষ্টের। এখন আমাদের শেষ ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে ভালপারাইসোতে ম্যাচের প্রথমার্ধেই ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় বলিভিয়া। পঞ্চম মিনিটে বলিভিয়াকে এগিয়ে দেয়া গোল করেন রোনাল্ড রালডেস। ১৮ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মার্টিন স্মেডবের্গ ডালেন্স। ৪৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান ৩-০ করেন মার্টিন্স মরেনো। বিরতির পর ৪৮ মিনিটে এনের ভালেন্সিয়া ও ৮২ মিনিটে মিলার বোলানোস দুটি গোল করলেও হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় ইকুয়েডরকে।
×