ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

আনার ক্যারিয়ারে নতুন যুগ

প্রকাশিত: ০৬:২২, ১৭ জুন ২০১৫

আনার ক্যারিয়ারে নতুন যুগ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এবার ফ্রেঞ্চ ওপেনের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছেন সার্বিয়ান সুন্দরী টেনিস তারকা আনা ইভানোভিচ। চেক তারকা লুসি সাফারোভার কাছে পরাজয়টা কাল হয়েছে র‌্যাঙ্কিংয়ের ক্ষেত্রেও। ছয় নম্বর থেকে সাতে নেমে গেছেন ডব্লিউটিএ র‌্যাঙ্কিংয়ে। তবে এ জন্যই গত ৬ বছর সময় লেগেছে সাবেক এ এক নম্বর তারকার। মাঝে দীর্ঘদিন প্রায় হারিয়েই গিয়েছিলেন। সে কারণে বর্তমান অবস্থানকে তিনি নতুন যুগে প্রবেশ বলে দাবি করছেন। কারণ নিজেকে অনেক বদলে এখন তিনি জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করার জন্য টেনিসের বাইরেও অনেক কিছু করছেন বলে জানিয়েছেন ইভানোভিচ। সম্প্রতি নতুন করে আরও আলোচনায় এসেছেন ইভানোভিচ জার্মান ফুটবল অধিনায়ক বাস্তিয়ান শোয়াইনস্টাইগারের সঙ্গে প্রেমের কারণে। যেখানে সুন্দরী ইভা সেখানেই শোয়াইনস্টাইগার। তবে সে ভালবাসায় কাজ হয়নি ক্যারিয়ারের একমাত্র গ্র্যান্ডসøাম ফ্রেঞ্চ ওপেন জয়ী ইভানোভিচ এবার ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয়েছেন রোঁলা গাঁরোয়। আর সে কারণে আবারও সপ্তম অবস্থানে নেমে গেছেন তিনি। তবে সেরা দশের বাইরে ছিলেন অনেকদিন। এ কারণে এখন নতুন করে যে পজিশনে আসতে পেরেছেন তাতেই সন্তুষ্ট এ সার্বিয়ান তারকা। টেনিসের পাশাপাশি ভদ্র-নম্র আচরণ, গ্ল্যামার আর আকর্ষণে নিজেকে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় করে তুলেছেন। টেনিস কোর্টে নৈপুণ্য খারাপ হয়ে গেলেও সৌন্দর্য দিয়ে নিজেকে ফ্যাশন জগতের অন্যতম মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। তবে মানসিকভাবে আচ্ছন্ন, অবসন্ন আর নিজের ওপর সন্দিহান হয়ে পড়েছিলেন টেনিসে ভাল করতে না পারার কারণে। ফ্রেঞ্চ ওপেনে ব্যর্থত হলেও এখন বার্মিংহাম ওপেন খেলবেন সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ গ্র্যান্ডসøাম আসর উইম্বল্ডনের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে। বার্মিংহামে গতবার শিরোপা জয়ী ইভানোভিচ এবার এ আসরে অংশ নেবেন দ্বিতীয় বাছাই হিসেবে। ২৭ বছর বয়সী ইভানোভিচ এখন উৎফুল্ল গত ৬ বছর পর নিজেকে আবার পূর্ণ ছন্দে ফিরে পাওয়ার জন্য। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি সত্যিই মনে করি এটা আমার ক্যারিয়ারের নতুন এক যুগের সূচনা হলো। সর্বশেষ কয়েক সপ্তাহ সত্যি খুব দারুণ কেটেছে। আমি উন্নতি করার মধ্যে আছি এবং আরও ভাল করছি। আমি যেখানে পৌঁছতে চেয়েছি সেখানেই উপস্থিত হতে পেরেছি।’ ২০ বছর বয়সে ২০০৮ সালের জুনে ডব্লিউটিএ র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠেছিলেন ইভানোভিচ। এরপর থেকেই নিজেকে হারিয়ে ফেলতে শুরু করেন তিনি। সে সময় নিজের প্রতি সচেতন ছিলেন না। বর্তমানে জীবনে একটি স্থিতি এসেছে। এ বিষয়ে ইভানোভিচ বলেন, ‘যখন খুব ছোট ছিলাম অধিকাংশ সময় টেনিসের পেছনে কাটাতাম এবং বিশ্রামের সুযোগটাও পেতাম না। এটা অধিকাংশ সময়ই দলগতভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হতো। শুধু কাজের মধ্যেই ছিলাম। এখন সেটাতে অনেক পরিবর্তন এনেছি। আমি কোর্টের বাইরেও কিছু কাজ করি এবং নিজেকে সময় উপভোগ করার সুযোগ দেই। সৈকতে ঘুরতে যাই, বন্ধুদের সঙ্গে খেতে যাই, কেনাকাটা করি। আর এসব অনেক বড় পরিবর্তন এনেছে আমার জীবনে।’
×