ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মানবপাচারের মামলা কক্সবাজারে ৩৫২ ॥ আসামি ১৭৯৭

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ১৭ জুন ২০১৫

মানবপাচারের মামলা কক্সবাজারে ৩৫২ ॥ আসামি ১৭৯৭

মোয়াজ্জেমুল হক/এইচএম এরশাদ ॥ আগামী শুক্রবার মিয়ানমারে উদ্ধারকৃত অবৈধ অভিবাসী প্রত্যাশীদের থেকে আরও ৩৭ বাংলাদেশীকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। বিজিবি সূত্রে জানানো হয়েছে ঘুনধুম সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে এদের ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে এর আগে দুদেশের সীমান্ত রক্ষীদের মধ্যে আবারও পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে দেড় শ’ বাংলাদশীকে মিয়ানমার থেকে ফিরিয়ে আনা হয়। যার মধ্যে একজন সে দেশের রোহিঙ্গা নাগরিক হিসেবে শনাক্ত করা হয়। বর্তমানে তাকে জেলে রাখা হয়েছে। এছাড়া গত সোমবার বিমানযোগে থাইল্যান্ড থেকে যে ৪৭ বাংলাদেশীকে ফিরিয়ে আনা হয় তাদের মধ্যে উদ্ধার হওয়া অভিবাসী প্রত্যাশী যেমন রয়েছে, তেমনি অবৈধ পথে সে দেশে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে জেল খাটাও রয়েছে। আগামী শুক্রবার যে ৩৭ বাংলাদেশীকে ফেরত আনা হচ্ছে এরা মিয়ানমার উপকূলে উদ্ধারকৃত প্রথম দফা ২০৮ জনের লিস্টেড। কক্সবাজার বিজিবি ১৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম মঙ্গলবার জনকণ্ঠকে জানান, এই ৩৭ জন বাংলাদেশী বলে নিশ্চিত হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এদের তালিকা এসে পৌঁছার পর শুক্রবার সকালে ঘুনধুম সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে এদের দেশে ফেরত আনার চিন্তা ভাবনা রয়েছে। অপরদিকে, মিয়ানমারের সাগর উপকূল থেকে দ্বিতীয় দফায় যে ৭২৭ জন উদ্ধার হয় তাদের মধ্যে ক’জন বাংলাদেশী রয়েছে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে মিয়ানমার বলেছে, এতে ৫শ’ জনেরও বেশি বাংলাদেশী নাগরিক রয়েছে। এদিকে, টেকনাফ পুলিশ অভিযান চালিয়ে নতুন করে তালিকাভুক্ত সাত মানব পাচারকারী দালালকে গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার ভোর রাতে শাহপরীরদ্বীপে পুলিশী অভিযানে গ্রেফতারকৃত দালালরা হচ্ছে সেখানকার শহীদুল ইসলাম, জাফর আলম, নজির আহমদ, জহির আহমদ, বদি আলম, ফরিদ আলম ও মোঃ জাফর আলম। এদের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় মানব পাচার বিরোধী আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। অপরদিকে বিভিন্ন সূত্রে জানানো হয়েছে, পুলিশের দুর্বল রিপোর্টের কারণে মানব পাচারের বহু দালাল গ্রেফতার হয়েও ছাড়া পেয়ে গেছে। কক্সবাজার অঞ্চলে ১৭টি চিহ্নিত পয়েন্ট দিয়ে যে কারণে দেদারছে মানব পাচারের ঘটনা ঘটেছে। কক্সবাজার অঞ্চলে মানব পাচারের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩৫২টি মামলা রুজু হয়েছে। আর মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত থেকে অভিযুক্ত হয়েছে ১ হাজার ৭৯৭ জন। অন্যদিকে, মানব পাচারে ঘটনায় দেশ বিদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হওয়ার পর কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে শত্রুতা বশত অনেককে মানব পাচারের মামলায় আটকে দিয়ে টু-পাইস কামিয়ে নেয়ার পন্থা অবলম্বন করেছে একশ্রেণীর অসাধু চক্র। তবে জেলা পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, ন্যূনতম প্রমাণ ছাড়া তারা কাউকে মানব পাচারের মামলায় আটক করবে না।
×