ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পুুঁজিবাজারে লেনদেন বাড়ল ২৯ শতাংশ

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ১৭ জুন ২০১৫

পুুঁজিবাজারে লেনদেন বাড়ল ২৯ শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ টানা দ্বিতীয় দিনের মতো দেশের পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। আতঙ্কের পতন থেকে বের হয়ে আসার পরে মঙ্গলবারে সকাল থেকেই বাজারে ইতিবাচক প্রবণতা দেখা দেয়। বেশিরভাগ কোম্পানির দর বাড়ার কারণে দিনটিতে লেনদেনও বেড়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি পর্যায়ের সব ধরনের বিনিয়োগকারীদের সক্রিয়তায় প্রধান বাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জের (ডিএসই) আগের দিনের তুলনায় প্রায় ২৯ শতাংশ লেনদেন বেড়েছে। ফলে আবারো চারশ কোটি টাকার ওপরে ডিএসইর লেনদেন হলো। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সকালে সূচকের ইতিবাচক প্রবণতা দিয়ে শুরুর পরে মঙ্গলবার ডিএসইতে ৪১০ কোটি ৫৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে; যা আগের দিনের তুলনায় ৯১ কোটি টাকা বেশি। আগের দিন এ বাজারে লেনদেন হয়েছিল ৩১৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার। ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয় ৩০৯টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৯০টির, কমেছে ৮৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টির শেয়ার দর। আগের দিনের ধারাবাহিকতায় সকালে সূচকের উর্ধগতি দিয়ে লেনদেন শুরু হয়। সারাদিন সূচকের উর্ধগতির পরে দিনশেষে ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্যসূচক ২৯ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৫০৬ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে এক হাজার ১০১ পয়েন্টে। ডিএস৩০ সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭৪১ পয়েন্টে। ডিএসইতে মঙ্গলবারে খাতভিত্তিক লেনদেনের সেরা স্থান দখল করেছে বস্ত্র খাতটি। দীর্ঘদিন পরে খাতটি লেনদেনের শীর্ষে ফিরে এসেছে। সম্মিলিতভাবে খাতটির সব কোম্পানির লেনদেনের পরিমাণ ৬০ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের প্রায় ১৭ ভাগ। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ওষুধ এবং রসায়ন খাতের কোম্পানিগুলো। খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ ৫৪ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১৫ ভাগ। এরপরে তৃতীয় অবস্থানে থাকা জ্বালানি এবং শক্তি খাতের কোম্পানিগুলোর লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫২ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১৪ দশমিক ৬২ ভাগ। ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা দশ কোম্পানি হলো : ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, ফ্যামিলি টেক্স, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি, আরএকে সিরামিক, গ্রামীণফোন, স্কয়ার ফার্মা, সামিট পাওয়ার, বেক্সিমকো, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট এবং এসিআই ফরমুলেশন। ডিএসইর দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : হাক্কানী পাল্প, লিগ্যাসি ফুটওয়ার, মিরাকল ইন্ড্রাস্টিজ, ইফাদ অটোস, ফার কেমিক্যাল, আলহাজ টেক্সটাইল, প্রাইম আইসিবি ১ম মিউচুয়াল ফান্ড, স্ট্যান্ডার্ড সিরামক, বিচ হ্যাচারী ও ঢাকা ডাইং। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : কে এ্যান্ড কিউ, রিপাবলিক, লিব্রা ইনফিউশন, ঢাকা ইন্স্যুরেন্স, ৪র্থ আইসিবি মিউচুয়াল ফান্ড, মাইডাস ফাইনান্স, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, ইস্ট ল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স, রূপালী ইন্স্যুরেন্স ও এশিয়া ইন্স্যুরেন্স। মঙ্গলবারে ঢাকার বাজারে সূচক ও লেনদেন বাড়লেও অপর বাজারে লেনদেন কিছুটা কমেছে। পুরোদিনে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ৩৪ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসই সার্বিক সূচক ৯৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৮৫৬ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৪০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৬টির, কমেছে ৭২টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : ইউনাইটেড এয়ার, ফ্যামিলি টেক্স, ফার কেমিক্যাল, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, বে´িমকো, মোজাফফর হোসেন স্পিনিং, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, সামিট পাওয়ার, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড ও বিএসআরএম লিমিটেড।
×