ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ছোট যমুনা থেকে বালু উত্তোলন ॥ বাঁধ হুমকিতে

প্রকাশিত: ০৭:০৩, ১৬ জুন ২০১৫

ছোট যমুনা থেকে বালু উত্তোলন ॥ বাঁধ হুমকিতে

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ১৫ জুন ॥ রাণীনগর উপজেলার ছোট যমুনা নদী থেকে সরকারী নীতিমালা উপেক্ষা করে অবৈধভাবে ড্রেজার ও শ্যালো মেশিন দিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করছে কতিপয় প্রভাবশালী ব্যবসায়ী। উপজেলার নগর ব্রিজ ও তার আশপাশের অংশ অবৈধভাবে রাত-দিন উত্তোলন করা হচ্ছে বালু। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে নদীর দুই পাশে বন্যা নিয়ন্ত্রলণ বাঁধ। বিরতিহীনভাবে এসব এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করে বিভিন্ন নির্মাণ কাজসহ ইটভাঁটিতে সরবরাহ করা হচ্ছে। তাদের খেয়াল-খুশি মতো বালু উত্তোলন করায় নদীর তীরবর্তী স্থানীয় কৃষকদের কৃষি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে পড়ছে। বাধা দিতে গেলে ওইসব প্রভাবশালীরা তাদের মারপিটের হুমকিসহ থানা পুলিশের ভয় দেখে অবৈধভাবে বালু উত্তলোনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে এলাকাবাসীরা। জানা গেছে, নওগাঁ জেলা প্রশাসকের রাজস্ব শাখা থেকে গত ২৩ এপ্রিল ২০১৫ রাণীনগর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ছোট যমুনা নদীর বালুমহাল ২২টি শর্ত সাপেক্ষে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের জন্য আশরাফ-ই-শিমন নামের এক ব্যক্তি ৪ লাখ ৫১ হাজার ৫০ টাকার বিনিময়ে ইজারা গ্রহণ করে। তখন থেকেই সরকারী নীতিমালাকে উপেক্ষা করে বালু উত্তোলন করায় স্থানীয় বাসিন্দা ব্যবসায়ী নয়ন, জালাল সরদার, ছামছুর গং ও স্থানীয় নদীর তীরবর্তী কৃষকরা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এর মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে ইজারাদারের সঙ্গে গোপন আঁতাত করে পুনরায় বালু উত্তোলন শুরু করে। এতে কৃষকদের নদী সংলগ্ন ফসলি জমি থেকে ব্যাপক হারে বালু উত্তোলন করায় নদীর স্বাভাবিক গতি বৈশিষ্টতা যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনি নদীর তীর ভাঙ্গনের গতিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জের নেতৃত্বে ইজারাদার ও গ্রামবাসীর মধ্যে দু’দফা বৈঠক হলেও সঠিক সিদ্ধান্তে না পৌঁছার কারণে নগর গ্রামের কৃষকদের সঙ্গে ইজারাদার গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। কুষ্টিয়ায় দখলমুক্ত ২১ বালুমহাল নিজস্ব সংবাদদাতা, কুষ্টিয়া থেকে জানান, দীর্ঘদিন পর অবশেষে দখলমুক্ত হলো কুষ্টিয়ার ২১ বালুমহাল। হাইকোর্টের রিটের সুবাদে কোন ইজারা ছাড়াই এলাকার প্রভাবশালী কয়েক বালু ব্যবসায়ী প্রায় ৫ বছর যাবত জেলার বিভিন্ন এলাকায় ২১ বালুমহাল জবর দখল করে বালু উত্তোলন করে আসছিল। এর ফলে সরকার গত কয়েক বছরে হারিয়েছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। বালু ব্যবসায়ীদের করা ওই রিট সম্প্রতি খারিজ হয়ে গেলে র‌্যাব ও পুলিশের সহায়তার অবৈধ দখলমুক্ত করতে বালুমহাল গুলিতে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন। এ অভিযানের মধ্যদিয়ে বালুমহালগুলোর দখল নেয় জেলা প্রশাসন।
×