ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বান্দরবানে ১শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হবে আন্তর্জাতিকমানের রিসোর্ট

প্রকাশিত: ০৬:৪৬, ১৬ জুন ২০১৫

বান্দরবানে ১শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হবে আন্তর্জাতিকমানের রিসোর্ট

নিজস্ব সংবাদদাতা, বান্দরবান ॥ প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি বান্দরবান পার্বত্য জেলার পর্যটন খাতের উন্নয়নের অংশ হিসাবে সেনাবাহিনী এবার আধুনিক আন্তর্জাতিকমানের রিসোর্ট নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। বান্দরবানের চিন্বুকের চন্দ্র পাহাড় এলাকায় ১শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হবে এ রিসোর্ট। বান্দরবান সেনা সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবান শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত চিম্বুক পাহাড়ের পাশেই ২০ একর এলাকা জুড়ে চন্দ্র পাহাড় নামের আন্তর্জাতিকমানের রিসোর্টটি তৈরি করা হবে। আরও জানা গেছে, রিসোর্টটিতে অত্যাধুনিক কেবলকার, বিশাল সুইমিং পুল, প্রেসিডেন্ট সুট, উন্নতমানের সুট ও সর্বাধুনিক বিভিন্ন স্থাপনা থাকছে। নীলগিরি পর্যটন থেকে চন্দ্র পাহাড় পর্যন্ত ১ কিলোমিটার রোপওয়ে নির্মাণ করা হবে। আগামী দুই বছরের মধ্যে আধুনিক চন্দ্র পাহাড় রিসোর্ট নির্মাণ সম্পন্ন হবে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি বান্দরবান সেনানিবাসে এ উপলক্ষে এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল শফিকুর রহমান। অনুষ্ঠানে চুক্তি স্বাক্ষর করেন আর এ্যান্ড আর গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রন হক সিকদার ও চট্টগ্রাম সেনানিবাসের কর্মকর্তা কর্নেল বদরুল। এছাড়া অনুষ্ঠানে বান্দরবানের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নকিব আহম্মদ, রাঙ্গামাটির রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সানাউল, চট্টগ্রামের স্টেশন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ হালিম, বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈ হ্লা,ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আবু জাফর, সদর জোনের অধিনায়ক লে. কর্নেল রাজু আহম্মেদ, বলিপাড়া বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল কামরুলসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ২৪ পদাতিক ডিবিশনের (জিওসি) মেজর জেনারেল শফিকুল ইসলাম বলেন,পাহাড়ের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে তিন পার্বত্য জেলা সদরে উন্নতমানের রিসোর্ট তৈরি করা হবে। এর অংশ হিসাবে চন্দ্র পাহাড় হিল রিসোর্ট ও রাঙামাটির পার্বত্য জেলার কাপ্তাইয়ে আবাসিক হোটেল নির্মাণের জন্য আর এ্যান্ড আর হোল্ডিংসের সাথে চুক্তি হচ্ছে। এ সময় সেনা কর্মকর্তারা জানান, বান্দরবানের দুর্গম রুমা উপজেলার দেশের ২য় পর্বতশৃঙ্গ কেওক্রাডং, থানছি-আলীকদম সড়কের পাশের ডিম পাহাড়, রাঙামাটি জেলার সাজেক ও কাপ্তাইয়ে আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে। বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, চন্দ্র পাহাড় রিসোর্ট নির্মাণের জন্য সেনাবাহিনীকে ৪০ বছরের জন্য ২০ একর জায়গা ইজারা দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও দেশের অন্যতম বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান আর এ্যান্ড আর গ্রুপ যৌথভাবে রিসোর্টটি তৈরি করছে। বান্দরবানের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নকিব আহম্মেদ চৌধুরী বলেন, রিসোর্টটি চালু হলে বান্দরবানে পর্যটকদের আগমন বাড়বে, ফলে আদিবাসীদের উৎপাদিত পণ্যে বিপণনেরও সুযোগ বাড়বে। উল্লেখ্য, সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত বান্দরবানের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র নীলগিরি দেশের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে, আর চন্দ্র পাহাড় রিসোর্ট নির্মাণ হলে এটা নীলগিরিকেও ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।
×