ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুক্ত হলো বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশিত: ০৬:৪৫, ১৬ জুন ২০১৫

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুক্ত হলো বাংলাদেশ ব্যাংক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক, অ্যাপস, টুইটার, ইউটিউবসহ স্যোশাল মিডিয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হলো বাংলাদেশ ব্যাংক। তাই প্রথম বারের মতো বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে টুইট করলেন গবর্নর ড. আতিউর রহমান। বললেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কার্যক্রম সম্পর্কে সাধারণ মানুষ সহজে জানতে এবং যে কোন পরামর্শও জানাতে পারবে। গবর্নর বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক জনগণের স্বার্থে কাজ করছে। এটি সামাজিকভাবে দায়বদ্ধ একটি মানবিক ব্যাংক। তিনি আরও বলেন, আরও কিছু তথ্যপ্রযুক্তির কাজ করতে চাই এসএমই বিভাগে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য তথ্যভিত্তিক অ্যাপস তৈরি করতে চাই যেন এক ক্লিকেই তারা সব বিষয় জানতে পারেন এবং সহজে লোন নিতে পারেন। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘সোশ্যল মিডিয়া কমিউনিকেশন গেটওয়ে অব বাংলাদেশ ব্যাংক’ শীর্ষক এ কার্যক্রমের উদ্বোধন পর তিনি একটি টুইটবার্তা পোস্ট করেন। এরপর ডেপুটি গবর্নর এস কে সুর ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন এবং পরে ইউটিউবে একটি ভিডিও আপ করা হয়। এই আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কার্যক্রম সম্পর্কে সাধারণ এবং ইচ্ছুকদের আরও সহজে অবহিত করতে ইন্সপাইরা কনসাল্টিং লিমিটেডের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ব্যাংক সোশ্যল মিডিয়া জগতে আনুষ্ঠানিকভাবে পদার্পণ করলো। অনুষ্ঠানে আতিউর রহমান বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল কাজ মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নেই এখন কর্মকা- সীমাবদ্ধ নেই। ছড়িয়ে পড়ছে মানবিক ব্যাংক, গ্রীণ ব্যাংকিংসহ নানা কর্মকা-ে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল লক্ষ্য হচ্ছে উচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার মাধ্যমে সাধারণ জনগণের মানোন্নয়নের যুগোপযোগী নীতি-কৌশল গ্রহণ করা। এজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক যোগাযোগের সকল মাধ্যম বা টুলস ব্যবহার করার চেষ্টা করছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ পুরো আর্থিক খাতকে সর্বশেষ ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করছি। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ব্যাংকে আজ সোশ্যল মিডিয়া কমিউনিকেশন গেটওয়ের যাত্রা শুরু হচ্ছে। আজ থেকে ফেসবুক, ইউটিউব ও টুইটারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ বাংলাদেশ ব্যাংকের নানা কর্মকা-ের চিত্র দেখতে পারবে। আর ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কোন গ্রাহকের অভিযোগ থাকলে ১৬২৩৬ নম্বরের একটি হট লাইনেও অভিযোগ করতে পারবে। তিনি বলেন, গত ৬ বছরে অনেক তরুণ-তরুণী নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ বছর ১৬২ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তারা সকলেই স্যোশাল মিডিয়ায় পারদর্শী। এ বছর যারা নিয়োগ পেলেন তারা আগের কর্মকর্তারদের ১০ জনের কাজ ১ জনে করে। লিখিত বক্তব্যে গবর্নর বলেন, মোবাইল ব্যাংকিং নীতিমালা আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে। বাংলাদেশে গত এপ্রিল পর্যন্ত ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১ কোটি ৪০ লক্ষ। প্রতি ৩.৭ মিনিটে ১ জন ফেসবুকে সম্পৃক্ত হচ্ছে। টেলিডেনসিটি শতকতা ৭০ ভাগে উন্নতি হয়েছে। দেশে মোবাইল ব্যবহারকারীরর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১২ কোটি। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকা কর্মীদের পারফরম্যান্স আগের বছরের কাজ অনুযায়ী মূল্যায়ন করা উচিত বলে মনে করেন ড. আতিউর রহমান। গবর্নর বলেন, কোন নারী মাতৃত্বকালীন ছুটিতে গেলে সেই বছরও তার পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করা হয়। অথচ সেই বছর তিনি ছুটিতে থাকেন। তাই মানবিকতা বিবেচনা করে নারী কর্মীদের কাজের মূল্যায়ন আগের বছরের অনুযায়ী হওয়া উচিত। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এ কে সুর চৌধুরী, অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- ডেপুটি গবর্নর মোঃ আবুল কাশেম, চেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট এ্যাডভাইজার আল্লাহ মালিক কাজমী, নির্বাহী পরিচালক এস এম মনিরুজ্জামান, বাংলাদেশে রেসিডেন্ট ম্যাক্রো-প্রুডেন্সিয়াল এ্যাডভাইজার গ্লেন টাসকি প্রমুখ।
×