ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রচারের শুরুতেই হিলারির প্রতি প্রতিদ্বন্দ্বীদের বাক্যবাণ

প্রকাশিত: ০৬:৩৮, ১৬ জুন ২০১৫

প্রচারের শুরুতেই হিলারির প্রতি প্রতিদ্বন্দ্বীদের বাক্যবাণ

নিউইয়র্কের রুজবেল্ট আয়ারল্যান্ডের একটি সমাবেশে বক্তৃতা দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্সিয়াল প্রচারাভিযান শুরুর একদিন পর যুক্তরাষ্ট্রের দুই রাজনৈতিক দলের বর্তমান ও সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বীরা রবিবার সকালের টক শোগুলোতে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সমালোচনার তীর ছুড়েছেন। নিউ জার্সির গবর্নর ক্রিস ক্রিস্টি এবিসির ‘দিস উইক’ অনুষ্ঠানে বলেন, গতকাল আমি যখন হিলারির কথা শুনছিলাম মনে হচ্ছিল উদারপন্থী রাজনৈতিক পরামর্শদাতাদের একত্রিত বক্তব্য ধ্বনিত হচ্ছে। ক্রিস্টি সাংবাদিকদের কাছ থেকে কোন প্রশ্ন না নেয়ার জন্যও হিলারির সমালোচনা করেন। খবর ইয়াহু নিউজের। ক্রিস্টি বলেন, আমি গত পাঁচ বছরে নিউজার্সিতে ও দেশের বিভিন্ন স্থানে ১৪৬টি টাউন হল জনসভায় বক্তব্য রেখেছি। মিসেস ক্লিনটন কারও কথা শোনেন না। তিনি কারও সঙ্গে কথা বলেন না। তিনি কারও প্রশ্ন নেন না। তিনি কি করে জানবেন প্রকৃত আমেরিকানরা আসলেই কি নিয়ে উদ্বিগ্ন। রিপাবলিকান গবর্নর আরও বলেন ‘এটা কি, আপনারা জানেন, কখন তিনি পারিশ্রমিকের বিনিময়ে বক্তৃতা দিতে বাইরে যান?’ ‘আমি বুঝতে পারি না, কখন তিনি জানবেন গতকাল প্রকৃত আমেরিকানদের সম্পর্কে তিনি কি বলছিলেন? সিবিএসের ‘ফেস দ্য নেশন’ অনুষ্ঠানে ডারমন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ট্রান্স প্যাসিফিক পার্টনারশিপ (টিপিপি) চুক্তি প্রশ্নে কোন অবস্থান নিতে অস্বীকার করায় হিলারির সমালোচনা করেন। ওবামা কংগ্রেসকে দিয়ে দ্রুত টিপিপি পাস করানোর চেষ্টা করছেন। স্যান্ডার্স বলেন, ‘আমি সাগ্রহে আশা করব পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি দেশের প্রতিটি সমিতি কার্যত সকল পরিবেশবাদী গোষ্ঠী এবং অনেক ধর্মীয় গোষ্ঠীর পাশে থেকে বলবেন, এই টিপিপি নীতি হলো একটি বিপর্যয়, এটাকেও অবশ্যই ব্যর্থ করতে হবে।’ ‘আমাদের আবার ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং এমন একটি বাণিজ্য নীতি নিয়ে এগোতে হবে, যে নীতি দাবি করবে যে, কর্পোরেট আমেরিকা সারা বিশ্বের দেশগুলোতে না গিয়ে এদেশে বিনিয়োগ করতে শুরু করুক।’ ‘ফক্স নিউজ সানডে’ অনুষ্ঠানে রিপাবলিকান সদস্য এবং প্রতিনিধি পরিষদের ওয়েজ এ্যান্ড মিন্্স কমিটির চেয়ারম্যান ও টিপিপির সমর্থক পল রায়ান বলেন, প্রস্তাবিত বাণিজ্য চুক্তির ব্যাপারে হিলারির নীরবতা ‘বিভ্রান্তিকর’। ২০১২-এর রিপাবলিকান পার্টির মনোনীত ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী রায়ান বলেন, ‘এটি বৈশ্বিক নেতৃত্বের বিষয়। অবশ্যই, এমন এক ব্যক্তি, যিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন নেতৃত্বের ব্যাপারে কিছুটা হলেও জানবেন।’
×