ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ১৬ জুন ২০১৫

গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে

রশিদ মামুন ॥ গঠন করা হয়েছে বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুত গবেষণা কাউন্সিল। আজ মঙ্গলবার বিকেলে রোডম্যাপ ঘোষণার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে এই কাউন্সিল। গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে দেশে বিদ্যুত ও জ্বালানি খাতের উৎকর্ষতা বৃদ্ধি ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কমিশন কাজ করবে। বিদ্যুত বিভাগ সূত্র জানায়, আজ বিকেলে প্রাথমিকভাবে কাউন্সিল সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত গ্রহণ করার জন্য আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছে। একই সঙ্গে কাউন্সিল তাদের ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করবে। এই কর্মপরিকল্পনায় কীভাবে ভবিষ্যতে বিদ্যুত এবং জ্বালানিখাতের উন্নয়নে কাজ করা যায় সে বিষয়ে আলোকপাত করা হবে। রাজধানীর বিদ্যুত ভবনে অনুষ্ঠিত ওই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীরবিক্রম, এতে বিশষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিদ্যুত জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিদ্যুত বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এ প্রসঙ্গে জনকণ্ঠকে বলেন, আমরা বিদ্যুত জ্বালানিখাতের উৎকর্ষতা বৃদ্ধির জন্য গবেষণা করব। এর মধ্যদিয়ে কোন পথে এগুলো আমাদের বিদ্যুত জ্বালানিখাতের উন্নয়ন হবে তা জানা যাবে। তিনি বলেন, গবেষণার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞদের নিয়ে একটি সুনির্দিষ্ট বিষয় নির্বাচন করে কাজ করা হবে। আজ সকলের মতামত নেয়ার জন্য প্রারম্ভিক একটি আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে। বিদ্যুত বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. আহমদ কায়কাউসকে চেয়ারম্যান এবং বিদ্যুত বিভাগের উপসচিব মোঃ ফারুকুজ্জামানকে কাউন্সিলের সচিব হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তবে এখনও কাউন্সিলের সদস্য মনোনয়ন দেয়নি সরকার। বিদ্যুত বিভাগ বলছে শীঘ্রই কাউন্সিলের সদস্যদের নির্বাচন করা হবে। আইনে পরিচালনা ও প্রশাসন, গবর্নিং বডি, উপদেষ্টা পরিষদ সম্পর্কে বলা হচ্ছে কাউন্সিলের একটি গবর্নিং বডি থাকবে এবং কাউন্সিলের ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা ও প্রশাসন ওই গবর্নিং বডির ওপর ন্যস্ত থাকবে এবং কাউন্সিল যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কাজ করবে। একজন চেয়ারম্যান এবং চার জন সদস্য নিয়ে গবর্নিং বডি গঠন করা হবে। এতে সদস্য হিসেবে বিদ্যুত বিভাগের যুগ্ম-সচিব তার ওপরের পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা, সরকার মনোনীত বিদ্যুত বা জ্বালানি সংক্রান্ত বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠানের একজন প্রতিনিধি এবং বিদ্যুত বা জ্বালানি বিশেষজ্ঞ, বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ বা গবেষকদের মধ্য হতে সরকার কর্তৃক মনোনীত দু’জন ব্যক্তি সদস্য হিসেবে নিয়োগ পাবেন। এছাড়া কমিশনের একজন সচিব থাকবেন। তিনি কমপক্ষে বিদ্যুত বিভাগের উপসচিব পদমর্যাদার ব্যক্তি হবেন। কাউন্সিলের সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। সূত্র জানায়, দেশে যেমন কৃষিখাতের উন্নয়নে কৃষি গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে। ঠিক একইভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণার জন্য পৃথক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিন্তু অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি বিদ্যুত এবং জ্বালানির গবেষণার জন্য কোন পৃথক প্রতিষ্ঠান নেই। বিদ্যুত বিভাগের জন্য পাওয়ারসেল সরকারের নীতি প্রণয়ন নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি সামান্য কিছু বিষয়ে গবেষণা করে থাকে। জ্বালানি বিভাগের জন্য হাইড্রোকার্বন ইউনিট যতসামান্য কিছু কাজ করে থাকে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে দেশের বিদ্যুত এবং জ্বালানি খাতের টেকসই উন্নয়নে কোন গবেষণা হয় না। এসব কাজের জন্য সরকারকে সকল ক্ষেত্রে বিদেশীদের ওপর নির্ভর করতে হয়। এর বাইরে দেশে ব্যক্তি বা বেসরকারী পতিষ্ঠানের উদ্যোগে কিছু গবেষণা হলেও তা পর্যাপ্ত নয়। এসব গবেষণায় তত্ত্ব এবং তথ্যের যথেষ্ট ঘাটতি থাকায় উন্নয়ন পরিকল্পনায় তা প্রভাব ফেলতে পারে না। অনেকক্ষেত্রে কোন কোন ব্যক্তির একপেশে গবেষণা সরকারকে বিব্রত করে।
×