ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মাইলস্টোন (৩তম) জয়ে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ‘নায়ক’ রস টেইলর, হাই-স্কোরিং ম্যাচে ১৩ রানে হার ইংলিশদের

দারুণ জয়ে ঘুরে দাঁড়াল কিউইরা

প্রকাশিত: ০৭:০৯, ১৪ জুন ২০১৫

দারুণ জয়ে ঘুরে দাঁড়াল কিউইরা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দারুণ জয়ে ঘুরে দাঁড়াল কিউইরা। বৃষ্টিবিঘিœত হাই-স্কোরিং দ্বিতীয় ওয়ানডেতে স্বাগতিক ইংলিশদের ১৩ রানে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-১এ সমতায় ফিরল ব্রেন্ডন ম্যাককুলামের দল। কিংস্টন ওভালে ম্যাচের নায়ক রস টেইলরের অনন্য সেঞ্চুরির (১১৯*) ওপর ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৯৮ রানের বিশাল স্কোর গড়ে নিউজিল্যান্ড। জবাবে হারলেও কম যায়নি স্বাগতিকরা। ৪৬ ওভারে ৯ উইকেটে ইংল্যান্ড ৩৬৫ রান সংগ্রহ করার পরই বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধনিতে ১৩ রানের জয় পায় কিউইরা। ওয়ানডেতে অষ্টম দল হিসেবে নিউজিল্যান্ডের ৩০০তম জয় এটি। সাউদাম্পটনে তৃতীয় ম্যাচ আজই। বার্মিংহামের প্রথম ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের ৪০৮ রানের জবাবে ১৯৮ রানে গুটিয়ে যাওয়া নিউজিল্যান্ড হেরেছিল ২১০ রানের লজ্জাজনক ব্যবধানে। কিংস্টন ওভালে টস জিতে ব্যাটিং নেয়া কিউইরা সেই জ্বালা জুড়াতেই কি না তুলাধুনো করলেন ইংলিশ বোলারদের। ৭.২ ওভারে ৬১ রান তুলে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন মার্টিন গাপটিল (৫০) ও অধিনায়খ ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম (৩৯)। ৭ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি প্রতিভাবান উইলিমাসন (৯৩)। তবে ৮৮ বলে ১২ চার ও ১ ছক্কায় টেইলরে সঙ্গে দলকে পাহাড়ে তোলার কাজটি ঠিকই করে দেন তিনি। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১৭.৪ ওভারে ১২১ রান যোগ করেন তারা। ছোট কয়েকটি ঝড়ো ইনিংসের জুটি হয়েছে এর পরও। তবে সবাইকে ছাড়িয়ে কিউই ব্যাটিংয়ের আলো কেড়ে নিয়েছেন অভিজ্ঞ রস টেইলর। হাফ সেঞ্চুরিতে আগের ম্যাচেই ফর্মে ফেরা সাবেক অধিনায়ক এদিন খেলেছেন দূর্দান্ত ইনিংস। তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ১৩তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত তাঁকে আউট করার পথ খুঁজে পায়নি ইংলিশ বোলাররা। ৯৬ বলে ১০ চার ও ৪ ছক্কায় অপরাজিত ১১৯ রানের মনোমুগ্ধকর ইনিংস খেলেন ৩১ বছর বয়সি টেইলর। গ্র্যান্ট ইলিয়ট ১৫ বলে ৩২, লুক রনকি ১৬ বলে ৩৩ ও মিচেল স্যান্টনার ১১ বলে অপরাজিত ১৫ রান করে দলকে ৩৯৮ রানের পাহাড়ে তুলে দেন। জয়ের জন্য বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুণ ব্যাটিং করেছে ইয়ন মরগানের ইংল্যান্ডও। ওপেনিং জুটিতে ৮৫ রান এনে দেন দুই তরুণ জেসন রয় ও এ্যালেক্স হেলেস। হেলেস ৫৪ রান করে আউট হন। অবশ্য ১০০ রানের মধ্যে তৃতীয় উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। তখনই হাল ধরেন মরগান। ৪৭ বলে ৬ চার ও ৬ ছক্কায় ৮৮ রানের ম্যারাথন ইনিংস উপহার দিয়ে ফেরেন অধিনায়ক। মিডল ও লোয়ার-মিডল অর্ডারে প্রত্যেকে বাহুর জোরে ব্যাট চালিয়ে দলকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিকিয়ে রেখেছেন, কিন্তু কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। নয় নম্বরে নামা লিয়াম প্ল্যাঙ্কেট ৩০ বলে ৪৪, তার আগে জোস বাটলার ৩৮ বলে ৪১ রান কর আউট হন। নিউজিল্যান্ডের হয়ে নাথান ম্যাককুলাম ৩, ট্রেন্ট বোল্ট, মিচেল ম্যাকক্লেনঘান ও স্যান্টনার প্রত্যেকে নেন ২টি করে উইকেট। ‘ছেলেদের খেলায় খুশি আমি। ব্যাট হাতে দারুণভাবে রানে ফিরেছে অভিজ্ঞ টেইলর। তবে এটা ঠিক দুটি ম্যাচেই ডিফারেন্ট ক্রিকেট খেলছে ইংল্যান্ড। এই দলটির মধ্যে বদলের ছবি দেখা যাচ্ছে। সিরিজে এগিয়ে যেতে হলে আমাদের আরও ভাল খেলতে হবে।’ বলেন বিজয়ী অধিনায়ক ম্যাককুলাম। স্কোর ॥ নিউজিল্যান্ড ইনিংস ৩৯৮/৫ (৫০ ওভার; রস টেইলর ১১৯*, উইলিয়ামসন ৯৩, গাপটিল ৫০, ম্যাককুলাম ৩৯, রনকি ৩৩, ইলিয়ট ৩২, স্যান্টনার ১৫*; স্টোকস ২/৬৬, ফিন ১/৬৯, জর্ডান ১/৯৭, প্ল্যাঙ্কেট ১/৭১)। ইংল্যান্ড ইনিংস ৩৬৫/৯ (৪৬ ওভার; মরগান ৮৮, হেলেস ৫৪, প্ল্যাঙ্কেট ৪৪, বাটলার ৪১, রয় ৩৯, রশিদ ৩৪, স্টোকস ২৮; নাথান ৩/৮৬, বোল্ট ২/৫৩, ম্যাকক্লেনঘান ২/৬১, স্যান্টনার ২/৭৩) ফল ॥ নিউজিল্যান্ড ১৩ রানে জয়ী (ডার্কওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে) ম্যাচসেরা ॥ রস টেইলর (নিউজিল্যান্ড) সিরিজ ॥ পাঁচ ওয়ানডের সিরিজ ১-১ এ সমতা।
×