ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এশিয়া ও বিশ্বকাপ বাছাই ফুটবল সামনে রেখে অনুশীলনে ঘাম ঝরালেন মামুনুলরা

নিজ দলের খেলা নিয়েই ভাবছেন কোচ ক্রুইফ

প্রকাশিত: ০৭:০৫, ১৪ জুন ২০১৫

নিজ দলের খেলা নিয়েই ভাবছেন কোচ ক্রুইফ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘র‌্যাঙ্কিং কিছু না। কিরগিজস্তান তো আমাদের চেয়ে র‌্যাঙ্কিংয়ে এগারো ধাপ পিছিয়ে ছিল। কিন্তু তাতে লাভ কিছু হয়েছে? আমরা কি তাদের হারাতে পেরেছি? উল্টো হেরে গেছি ১-৩ গোলে, নিজেদের মাঠে। ১৬ তারিখে পরের ম্যাচ তাজিকিস্তানের বিরুদ্ধে। তারা আবার আমাদের চেয়ে র‌্যাঙ্কিংয়ে ২৭ ধাপ এগিয়ে। কিন্তু এটাই সব নয়। ফুটবলে সবই সম্ভব। লড়াকু মানসিকতা নিয়ে খেললে এবং প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে অবশ্যই তাজিকদের বিরুদ্ধে আমরা ম্যাচে জিততেও পারি। আমরা চেষ্টা করব পয়েন্ট পেতে। এ জন্য ছেলেদের কঠিন অনুশীলন করাচ্ছি।’ বক্তার নাম লোডভিক ডি ক্রুইফ। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের প্রধান প্রশিক্ষক। ডাচ্ এই কোচ এখন ব্যস্ত বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে বাংলাদেশ দলের দ্বিতীয় ম্যাচ নিয়ে। এ লক্ষ্যে প্রস্তুত করছেন শিষ্যদের। শনিবার অনুশীলন করান। তবে বৃষ্টির কারণে অনুশীলনের ভেন্যু বদলানো হয়। অতি বৃষ্টির কারণে শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাব লিমিটেডের মাঠটি অনুশীলনের উপযোগী ছিল না। তাই বিকল্প ভেন্যু হিসেবে বেছে নেয়া হয় বাফুফের আর্টিফিসিয়ালি টার্ফকে। সেখানেই ঘাম ঝরান মামুনুলরা। বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচে কিরগিজদের সঙ্গে হারার কারণ কি? ‘ওদের বেশকিছু খেলোয়াড় ইউরোপের বিভিন্ন লীগে খেলে। ফিজিক্যালি, টেকনিক্যালি এবং প্রফেশনালি ওরা আমাদের খেলোয়াড়দের চেয়ে অনেক এগিয়ে। কিরগিজদের সঙ্গে ম্যাচে মামুনুল, লিটন, তপু ও নাসির ভাল খেলেছে। কিন্তু হেমন্ত, মুন্না, এনামুল, এমিলিরা মোটেও ভাল খেলেনি। অসুস্থ থাকায় জাহিদ খেলেনি। ওকে অনেক মিস করেছি। তাজিকদের সঙ্গেও ওকে পাওয়া যাবে না। কারণ এখনও সে পুরোপুরি সুস্থ হয়নি। তেমনি ইনজুরিতে থাকায় নাসিরও খেলবে না। তার পজিশনে পরিবর্তন আসবে। তবে কাকে খেলাব, সেটা এখনই বলতে চাই না।’ প্রতিপক্ষ তাজিকদের সম্পর্কে কোন ধারণা বা তথ্য? ‘অবশ্যই তারা ভাল দল। শুনেছি ওই দলের চার ফুটবলার বাইরের দেশের লীগে খেলে।’ ক্রুইফের জবাব। কিরগিজস্তানের সঙ্গে ম্যাচে কি হয়েছিল? কেন সিঙ্গাপুরের রেফারি সুখবীর সিং তাকে ডাগ-আউট থেকে বের করে দিলেন? ক্রুইফ জানান, ‘ম্যাচ চলাকালীন আমি চতুর্থ রেফারিকে বলার চেষ্টা করি রেফারি অনেক সিদ্ধান্ত সঠিক দিচ্ছেন না। আমি কোন বাজে কথা বলিনি বা বাজে ভঙ্গিও করিনি। কিন্তু রেফারি ধরে নেন আমি সেটাই করেছি। তিনি আমাকে বের করে দেন। এই হলো ঘটনা।’ উল্লেখ্য, তাজিকিস্তানও ইতোমধ্যে তাদের প্রথম ম্যাচ খেলে ফেলেছে। নিজেদের হোম ম্যাচে তারাও বাংলাদেশের মতো হেরেছে ৩-১ গোলে। তাজিকদের প্রতিপক্ষ ছিল জর্দান। কখনও বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলতে না পারলেও তাজিকিস্তান এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে দুবার ফাইনাল খেলেছে। ২০০৬ আসরে চ্যাম্পিয়ন এবং ২০০৮ আসরে হয় রানার্সআপ। এ ছাড়া ২০১০ আসরে হয় তৃতীয়।
×