ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

৯শ’ কোটি ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ১৩ জুন ২০১৫

৯শ’ কোটি ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের ভারসাম্যে অবনতি ঘটছে। বাড়ছে আমদানি ও রফতানির মধ্যে ব্যবধান। ঘাটতির পারদ তরতর করে উপরে উঠছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত দশ মাসে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৪৯ কোটি ৪০ লাখ ডলার। বছর শেষে এটি হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, বর্তমান ধারা চললে বছর শেষে বাণিজ্য ঘাটতিতে নতুন রেকর্ড হবে। দেশে বৈদেশিক বাণিজ্যে সবচেয়ে বেশি ঘাটতি হয়েছে ২০১১-১২ অর্থবছরে। ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৯৩২ কোটি ডলার। দেশে আমদানি বাড়লেও তার বিপরীতে রফতানি বেড়ে উল্টো কমে যাওয়ায় বৈদেশিক বাণিজ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে ১৩৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার। চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে (জুলাই ২০১৪ থেকে এপ্রিল ২০১৫) ৩ হাজার ৩৪৬ কোটি ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করা হয়েছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় আমদানি বেড়েছে প্রায় ১৩ শতাংশ। অন্যদিকে আলোচিত সময়ে দেশের রফতানি বেড়েছে ২ দশমিক ৮০ শতাংশ। এ বছর প্রথম দশ মাসে রফতানি হয়েছে ২ হাজার ৪৯৬ কোটি ৬০ লাখ ডলারের পণ্য। আলোচিত সময়ে চাল, গম, শিল্পের যন্ত্রপাতি আমদানি বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। এ সময়ে খাদ্যপণ্যের আমদানি বেড়েছে ১৩৬ শতাংশ। শিল্পের মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি বেড়েছে ২১ শতাংশ। অন্যান্য পণ্যেও ছিল উর্ধগতি। এসব পণ্যের আমদানি বেড়েছে ১৮ শতাংশ। অন্যদিকে গত দশ মাসের মধ্যে ৬ মাসই রফতানি আয় কমেছে। বাকি ৪ মাস বাড়লেও তা রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে পারেনি। বেশ কয়েকটি কারণে এমন হয়েছে। দেশের প্রধান রফতানি বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়ের মুদ্রা ইউরোর দাম কমে যাওয়ায় আয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। সমপরিমাণ পণ্য রফতানি কারলেও কার্যত পাওয়া যাচ্ছে আগের চেয়ে কম মূল্য। অন্যদিকে অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে দেশে চরম রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে অনেক বিদেশি ক্রেতা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। এতে তৈরি পোশাক রফতানি খাতে আয় কমে যাওয়ায় সামগ্রিক রফতানিতে তার প্রভাব পড়েছে।
×