ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঐশ্বরিয়াকে আইনী নোটিস

প্রকাশিত: ০৪:২৮, ১৩ জুন ২০১৫

ঐশ্বরিয়াকে আইনী নোটিস

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ পাকিস্তানের নাগরিক সর্বজিৎ সিং গুপ্তচরের অভিযোগে ধৃত হয়ে ভারতে ২৩ বছর বন্দী থাকার পর নিহত হন। এমন ঘটনা অবলম্বনে ওমাঙ কুমার পরিচালিত এবং ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের ঘোষণাও দেয়া হয়েছিল। কিন্তু চলচ্চিত্রটির কাজ শুরুর আগেই আইনী বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে। জানা গেছে সর্বজিৎ সিংয়ের প্রকৃত বোন দাবি করে বালজিন্দার নামে এক নারী অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনকে আইনী নোটিস পাঠিয়েছেন। চলচ্চিত্রে সর্বজিতের বড় বোন দালবির কৌর চরিত্রের অভিনয়ের কথা রয়েছে তার। নোটিসে আশঙ্কা করা হয়েছে, চলচ্চিত্রে সর্বজিতের জীবনের গল্পকে বিকৃত করা হতে পারে । এ কারণে আইনী নোটিস পেয়েছেন নাম চূড়ান্ত না হওয়া চলচ্চিত্রটির পরিচালক ওমাঙ কুমারও। জানা যায় পাকিস্তানের কারাগার থেকে ভাইকে মুক্ত করার জন্য সারা ভারতে প্রচার চালিয়েছিলেন দালবির। মাতাল অবস্থায় সর্বজিৎ নিজের অজান্তে পাকিস্তানের সীমান্ত অতিক্রম করে ফেলার যে কথা বলা হচ্ছে, তা মিথ্যে বলে জানিয়েছেন বালজিন্দার। তার দাবি, সর্বজিৎ রিসার্চ এ্যান্ড এ্যানালাইসিস উইংয়ের (র) প্রতিনিধি ছিলেন। ভারতের গুপ্তচর ভেবেই পাকিস্তানে বন্দী রাখা হয়েছিল ২৩ বছর। সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সর্বজিতের পক্ষে তিনিই এতদিন কথা বলেছেন। এবার সামনে এলেন বালজিন্দার নামের ওই নারী। অথচ এতদিন তার কথা জানতই না কেউ। এ কারণে তিনি বলেছেন, সর্বজিতের মেয়েদের সঙ্গে আমার ডিএনএ টেস্ট মিলিয়ে দেখা হোক, তখনই বোঝা যাবে আমি ওর বোন কি-না। প্রসঙ্গত, সর্বজিতের জীবন নিয়ে চলচ্চিত্র প্রযোজনার সিদ্ধান্ত নেয়ায় গত বছর সুভাষ ঘাইকে আইনী নোটিস পাঠিয়েছিলেন দালবির। এ কারণে চলচ্চিত্র প্রযোজনার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন সুভাষ। এবারের চলচ্চিত্রটি তৈরি হলে উদ্বোধনী প্রদর্শনী হবে আগামী বছরের কান উৎসবে। ২০১৬ সালের মে মাসেই মুক্তি দেয়া হবে এটি।
×