ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

একদিন পরই পুঁজিবাজারে সূচকের পতন

প্রকাশিত: ০৪:৩০, ১২ জুন ২০১৫

একদিন পরই পুঁজিবাজারে সূচকের পতন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ একদিনের সূচকের উর্ধগতির পরে আবারও দর পতনেই শেষ হয়েছে দেশের পুঁজিবাজারের লেনদেন। বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তোলার প্রবণতার বৃহস্পতিবার দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের পাশাপাশি লেনদেনও কমেছে। বাজেট প্রস্তাবের পরের সপ্তাহে মূলত বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন বিচার-বিশ্লেষণ ও বিনিয়োগ পরিকল্পনা ঢেলে সাজাতে কিছুটা সময় নিচ্ছেন। যার কারণে সার্বিকভাবে আগের তুলনায় লেনদেন ও সূচক কিছুটা কমেছে। এর আগে গত সোমবার ও মঙ্গলবার দর পতনে লেনদেন শেষ হয়েছিল পুঁজিবাজারে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৪৫০ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে; যা আগের দিনের তুলনায় ৭১ কোটি ২১ লাখ টাকা বা ১৪ শতাংশ কম। আগের দিন এ বাজারে লেনদেন হয়েছিল ৫২১ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার। ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয় ৩০৫টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৬টির, কমেছে ১৮৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টির শেয়ার দর। সকালে সূচকের ইতিবাচক প্রবণতা দিয়ে লেনদেন শুরুর পরে শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়ে। এভাবে সূচকের ওঠানামার পরে ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্যসূচক ৪১ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৫১৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ৯৯ পয়েন্টে। ডিএস ৩০ সূচক ১৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭৪৪ পয়েন্টে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বৃহস্পতিবারে ডিএসইতে খাতভিত্তিক লেনদেনের সেরা স্থান দখল করেছে ওষুধ এবং রসায়ন খাতের কোম্পানিগুলো। খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৭৬ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১৭ দশমিক ৩৯ ভাগ। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল জ্বালানি এবং শক্তি খাতের কোম্পানিগুলো। খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৭২ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১৬ দশমিক ৬৮ ভাগ। তৃতীয় অবস্থানে ছিল বস্ত্র খাতটি। পুরোদিনে খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৩ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১০ ভাগ। ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা দশ কোম্পানি হলো- ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, গ্রামীণফোন, স্কয়ার ফার্মা, বেক্সিমকো, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, সামিট পাওয়ার, ফ্যামিলি টেক্স ও ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। ডিএসইর দর বৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : ফাস্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড, সিভিও পেট্রো কেমিক্যাল, সিভিও পেট্রো কেমিক্যাল, আইসিবি ১ম এনআরবি, ইউনাইটেড এয়ার, জাহিন স্পিনিং, নিটল ইন্স্যুরেন্স, এশিয়ান টাইগার গ্রোথ ফান্ড, আইসিবি এএমএসিএল ২য় মিউচুয়াল ফান্ড ও স্কয়ার ফার্মা। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : লাফার্জ সুরমা, ওরিয়ন ইনফিউশন, অলটেক্স, সামিট পাওয়ার, বিএসআরএম লিমিটেড, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, এসিআই ফর্মুলেশন, শাহজিবাজার পাওয়ার, প্রাইম টেক্সটাইল ও এএফসি এ্যাগ্রো। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ৪৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসই সার্বিক সূচক ৮৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৯২৬ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৩৭টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৬৪টির, কমেছে ১৪৪টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : ইউনাইটেড পাওয়ার, বেক্সিমকো, ফার কেমিক্যাল, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, ফ্যামিলি টেক্স, স্কয়ার ফার্মা, গ্রামীণফোন, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড, সামিট পাওয়ার এবং খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড।
×