ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

পাচারকারীর খপ্পর থেকে রক্ষার কাহিনী এক যুবকের

প্রকাশিত: ০৩:৫৯, ১২ জুন ২০১৫

পাচারকারীর খপ্পর থেকে রক্ষার কাহিনী এক যুবকের

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ বিরল উপজেলার খৈলতৈর গ্রামের বেকার যুবক কার্তিক দেব শর্মা একই এলাকার একটি মানবপাচার চক্রের খপ্পরে পড়ে প্রাণে রক্ষা পেলেও আর্থিকভাবে সর্বশান্ত হয়েছে। প্রতারণার শিকার ওই এলাকার কার্তিক দেব শর্মা বাদী হয়ে দিনাজপুর আদালতে এ বিষয়ে একটি মামলা করেছেন। ঠাকুরগাঁও জেলার রানীসংকৈল উপজেলার বাজেবাক্স গ্রামের নিরেশ চন্দ্র রায়ের পুত্র ওমান প্রবাসী কান্ত চন্দ্র রায় মানব চক্রের মূল হোতা। ওমানে অবস্থানকারী কান্ত চন্দ্র রায় ওমানে মোটা অঙ্কের টাকা বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে চাকরির কথা বলে অনেকের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। জানা গেছে, ওমানে অবস্থানকারী কান্ত চন্দ্র রায় চাকরির প্রলোভনে বিরল উপজেলায় বেকার যুবক সংগ্রহে একটি চক্র সৃষ্টি করেছে। এরা হচ্ছে খৈলতৈর গ্রামের নিরেন দেব শর্মা, তার পুত্র অরুন দেব শর্মা, ধুলিন দেব শর্মা। গত বছর ৫ মার্চ এই চক্রটি বাদীর সঙ্গে যোগাযোগ করে ওমানে চাকরির ব্যবস্থার কথা জানায় এবং বাংলাদেশী মুদ্রায় ৪০ হাজার টাকা বেতন প্রদানের কথা জানিয়ে খরচ বাদ ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা দাবি করে। বেকার যুবক কার্তিক দেব শর্মা মানবপাচার চক্রের সদস্য অরুন দেব শর্মাকে এপ্রিল মাসে বিভিন্ন সময়ে ১ লাখ ৫১ হাজার টাকা প্রদান করে। এরপর ৯, ২০ ও ২৮ এপ্রিল কান্তর পিতা নিরেশ চন্দ্র রায়ের ব্যাংক এ্যাকাউন্টে ১ লাখ ৫৫ হাজার প্রদান করে। এছাড়া ২৪ এপ্রিল ও ৬ মে ওমান প্রবাসী কান্তর ব্যাংক এ্যাকাউন্টে আরও ১ লাখ ৮০ হাজার প্রদান করে। তারা বাদীর কাছে ভিসা, মেডিক্যাল ও বিমান ভাড়ার কথা বলে সর্বমোট ৪ লাখ ৮৬ হাজার টাকা গ্রহণ করে। দেশের প্রথম ডিজিটাল শহর হচ্ছে মংলা পৌরসভা নিজস্ব সংবাদদাতা, মংলা, ১১ জুন ॥ ১৯৭৫ সালে ১৯ দশমিক ৪৩ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত হয় মংলা পোর্ট পৌরসভা। সময় পার হয়েছে কিন্তু পরিবর্তন আসেনি এ পৌরসভার। এমনকি এ পৌরসভা বিলুপ্ত করারও সিদ্ধান্ত হয়। তবে এটা অতীত। দুর্নীতির কালিমা দূর করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে মংলা পোর্ট পৌরসভা। এখন দেশের প্রথম ডিজিটাল শহর হিসেবে গড়ে তুলতে চলছে ব্যাপক তোড়জোড়। পৌরসভাকে ডিজিটালাইজডের আওতায় আনতে প্রতিটি ওয়ার্ড ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কে চলছে জরিপ কাজ। সঙ্গে চলছে অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ। মংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র জুলফিকার আলী বলেন, ডিজিটাল মংলা শহর গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে মংলা পৌরসভা। এরই মধ্যে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বসানো হয়েছে সাউন্ড সিস্টেম (প্রচার মাইক)। শুরু হয়েছে মংলা শহরকে ফ্রি নেট (ওয়াইফাই) জোনের আওতায় আনার কার্যক্রম। এরই ধারাবাহিকতায় এবার শহরের গুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে লাগানো হচ্ছে সিসি ক্যামেরা। মেয়রের দাবির মাধ্যমেÑ যৌন হয়রানি বা ছোটখাটো অনেক অপরাধীরা এখন সতর্ক হবে। প্রতিরোধ করা যাবে নানা অপরাধ। আর অপরাধ বা অপরাধীদেরও শনাক্ত করা যাবে সহজে। এ ব্যাপারে মংলা পোর্ট পৌর সভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ ইউনুস বলেন- সিসি ক্যামেরা মনিটরিং করার জন্য পৌরসভার ভেতরে একটি সেল রয়েছে। ক্যামেরায় বিপদ-আপদ ধরা পড়লেই মাইকের মাধ্যমে পৌরবাসীকে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে। পৌরসভার প্রতিটি মোড়ে এ ধরনের ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। মংলা পৌর মেয়র জুলফিকার আলী আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন- মংলা পোর্ট পৌরসভা হবে দেশের প্রথম ডিজিটাল শহর।
×