ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রসঙ্গ ইসলাম ॥ মাহে রমাদানুল মুবারক ও সিয়াম

প্রকাশিত: ০৩:৪৫, ১২ জুন ২০১৫

প্রসঙ্গ ইসলাম ॥ মাহে রমাদানুল মুবারক ও সিয়াম

মাহে রমাদানুল মুবারক ও সিয়ামের গুরুত্ব এবং মাহাত্ম্য অপরিসীম। মাহে রমাদানুল মুবারকের মাসব্যাপী সিয়াম পালন করাকে আল্লাহু জাল্লা শানুহু ফরয করে দিয়েছেন। কুরআন মজীদের সূরা বাকারার ১৮৩ নম্বর আয়াতে কারীমা থেকে ১৮৭ নম্বর আয়াতে কারীমায় সিয়াম ফরয করে দেয়ার কারণে, রমাদান মাসকে কেন সিয়াম পালনের জন্য নির্ধারিত করা হলো তার কারণ, সিয়ামের উপকারিতা, যারা সফরজনিত কারণে, বার্ধক্যজনিত কারণে, শারীরিক অসুস্থতার কারণে কিংবা কষ্টজনিত অন্য কোন কারণে রমাদানে সিয়াম পালন করতে না পারে তাদের তার পরিবর্তে কি করতে হবে সে সব বিধি ব্যবস্থা সাহ্্রীর সময়, ইফতারের সময়সহ অন্যান্য বিধি ব্যবস্থা ও নির্দেশনা ইত্যাদি বিস্তারিতভাবে বিধৃত রয়েছে। ইরশাদ হয়েছে- হে মুমিনগণ, তোমাদের জন্য সিয়াম বিধান দেয়া হলো, যেমন বিধান তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপরও দেয়া হয়েছিল, যাতে তোমরা মুত্তাকী হতে পার। এ সিয়াম নির্দিষ্ট কয়েকদিনের। তোমাদের মধ্যে কেউ পীড়িত হলে কিংবা সফরে থাকলে অন্য সময় এ সংখ্যা পূরণ করতে হবে। এটা যাদের জন্য অতি কষ্টদায়ক হয় তাদের জন্য এর পরিবর্তে ফিদ্্য়া হচ্ছে একজন অভাবগ্রস্তকে (মিসকীন) অন্নদান করা। যদি কেউ স্বতঃস্ফূর্ত উত্তম কাজ করে তবে তা তার পক্ষে অধিক কল্যাণকর। আর সিয়াম পালন করাটাই তোমাদের জন্য অধিকতর কল্যাণকর যদি তা জানতে। রমাদান মাস, এতে নাযিল হয়েছে মানুষের দিশারী, হিদায়াতের স্পষ্ট নিদর্শন এবং সত্য ও অসত্যের মধ্যে পার্থক্যকারী আল কুরআন। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা এ মাস প্রত্যক্ষ করবে তারা যেন এতে সিয়াম পালন করে এবং কেউ পীড়িত থাকলে কিংবা সফরে থাকলে অন্য সময় এ সংখ্যা পূরণ করবে। আল্লাহ্্ তোমাদের জন্য যেটা সহজ সেটাই চান এবং যা তোমাদের জন্য কষ্টের হয় তা চান না এজন্য যে, তোমরা তা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের সৎ পথে পরিচালিত করেছেন সেজন্য তোমরা আল্লাহর মহিমা ঘোষণা করবে এবং তোমরা যাতে কৃতজ্ঞ প্রকাশ করতে পার (সূরা বাকারা : আয়াত ১৮৩-১৮৫)। ১৮৭ নম্বর আয়াতে কারীমায় ইরশাদ হয়েছে, আর তোমরা পানাহার কর যতক্ষণ রাতের কালো রেখা ঊষার সাদা রেখারূপে তোমাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে না ওঠে। অতঃপর নিশাগম (সূর্যাস্ত) পর্যন্ত সিয়াম পূর্ণ কর। আরব দেশে পূর্বকালেই আশুরার সিয়াম পালনরীতি চালু ছিল। মদীনা মনওয়ারায় হিজরত করে এসে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম জানতে পারলেন যে, সেখানকার ইহুদীরা আশুরার সিয়াম পালন করে আর তারা এটা এজন্য পালন করে যে, তাদের নবী মূসা আলায়হিস সালাম তাঁর কওম বনী ইসরাইলকে ফেরাউনের বন্দীশালা থেকে উদ্ধার করে দরিয়া পাড়ি দিয়েছিলেন, যে কারণে মুক্তির কৃতজ্ঞতাস্বরূপ মূসা আলায়হিস সালাম আশুরাতে সিয়াম পালন করতেন। একথা জেনে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম বলেন, মূসার ওপর তোমাদের চেয়ে আমার অধিকার বেশি। তারপর আশুরা এলে তিনি সিয়াম রাখলেন। সাহাবায়ে কেরামও সিয়াম পালন করলেন। এর সাত মাস পর দ্বিতীয় হিজরী মুতাবিক ৬২৪ খ্রিস্টাব্দের মধ্য শাবানে আল্লাহ্্ জাল্লা শানুহু সিয়াম বিধান নাযিল করেন এবং রমাদান মাসকে সিয়াম পালনের মাস হিসেবে নির্ধারণ করে দেন। রমাদানের সিয়াম বিধান নাযিল হওয়ার কারণে আশুরার সিয়াম ঐচ্ছিক হয়ে যায়। হযরত আয়িশা সিদ্দিকা রাদি আল্লাহু তাআলা আনহা থেকে বর্ণিত একখানি হাদীসে আছে যে, যখন রমাদানের সিয়াম ফরয করা হলো তখন আশুরার সিয়াম ছেড়ে দেয়া হলো। তখন থেকে তা হয়ে গেল যার ইচ্ছে হয় সে রাখতে পারে আর যার ইচ্ছে হয় ছেড়ে দিতে পারে (বুখারী শরীফ)। রমাদান মাসে কুরআন নাযিল হওয়ার কারণে এ মাসটা সিয়ামের মাস হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে তা উন্যিলা ফিহিল কুরআন এই কালাম দ্বারা স্পষ্ট হয়ে যায়। এখানে উল্লেখ্য যে, গোটা কুরআন মজীদকে আল্লাহ জাল্লা শানুহু লওহে মাহফুজে সংরক্ষিত রাখেন। কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে- বস্তুত এ সম্মানিত কুরআন লওহে মাহফুজে সংরক্ষিত (সূরা বুরুজ আয়াত ২১-২২)। জানা যায়, হিজরতের বারো বছর পূর্বে ৬১০ খ্রিস্টাব্দে অধিকাংশের মতে ২৭ রমাদান রাতে আল্লাহ জাল্লা শানুহু কুরআন মজীদ নাযিল করেন। হযরত জিবরাঈল আলায়হিস সালাম তা বহন করে মক্কার হেরা গুহায় প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের নিকট নিয়ে এসে বলেন, আপনি পড়ুন। তিনি বলেন : আমি পড়তে জানি না। এভাবে তিন তিনবার বাক্য বিনিময়ের পরে হযরত জিবরাঈল আলায়হিস সালাম প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের বুকে বুক রেখে চাপ দেন। তখন তাঁর সম্মুখে জ্ঞানরাজ্যের সকল দিগন্ত উন্মোচিত হয়ে যায়। তিনি কুরআন মজীদের পাঁচখানি আয়াতে কারীমা পাঠ করেন। সেই পাঁচখানি আয়াতে কারীমার বাংলা তরজমা এরূপ : পাঠ কর, তোমার রব্্-এর নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন, সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্তবিন্দু (আলাক) থেকে। পাঠ কর, আর তোমার রব্্ মহিমান্বিত, তিনি শিক্ষা দিয়েছেন কলমের সাহায্যে, শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না (সূরা আলাক : আয়াত ১-৫)। আরও জানা যায়, ঐ রাতেই কুরআন মজীদ প্রথম আসমানে সংরক্ষিত করা হয় এবং সেখান থেকে ২৩ বছর ধরে একে একে একটু একটু করে কুরআনের বিভিন্ন অংশ প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলায়হি ওয়া সাল্লামের নিকট নাযিল করার মধ্য দিয়ে গোটা কুরআন মজীদে নাযিল হয়। সিয়াম পালনের যে বিধান আল্লাহ জাল্লা শানুহু প্রদান করেছেন তাতে উল্লেখ রয়েছে যে, পূর্ব যামানার লোকদের ওপরও এ বিধান বলবত ছিল। আমরা লক্ষ্য করলে দেখতে পাব ইয়াহুদী, নাসারা, হিন্দু পারসীকদের মধ্যে এ ধরনের রীতি চালু আজও বিদ্যমান। সেগুলোর বৈশিষ্ট্য দেখে মনে হয় তার আদিকালের বৈশিষ্ট্য আর এখন নেই। ইসলামে সিয়ামের যে বিধান রয়েছে তা সত্যিকার অর্থে সংযমী হওয়ার, আত্ম উন্নয়ন করার, আত্মশুদ্ধি অর্জন করার, সহমর্মিতা অর্জন করার, সাবধানী জীবন লাভ করার, ধৈর্যশীল ও বিনয়ী হওয়ার প্রশিক্ষণ প্রদান করে। সিয়ামকে ফরয করে যে আয়াতে কারীমা প্রথমে নাযিল হয় তাতে দেখা যায়, সিয়াম পালন করাকে আল্লাহ জাল্লা শানুহু এজন্য ফরয করেছেন যে, এর দ্বারা সিয়াম পালনকারী তাকওয়া অবলম্বনে অভ্যস্ত হতে পারবে। ইসলাম হচ্ছে আল্লাহ প্রদত্ত এবং মনোনীত একমাত্র পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। এ জীবনব্যবস্থা মানুষকে প্রগতিশীল করে তোলে, মানুষকে সত্য সুন্দর পথে পরিচালিত করে এবং পরিপূর্ণ মানবিক মূল্যবোধে মানুষকে উজ্জীবিত করে, এ জীবনব্যবস্থা আল্লাহর সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক সুদৃঢ় করে, এ জীবনব্যবস্থা ধারণ এবং বিধি-বিধান পালন করার মধ্য দিয়েই কেবল আল্লাহর মনোনীত বান্দায় উন্নীত হওয়া যায়। এ জীবনব্যবস্থা অনুযায়ী তাকওয়া অবলম্বন করা অবশ্য কর্তব্য। বিদায় হজের ঐতিহাসিক ভাষণে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম বলেন : হে লোক সকল! তোমরা শোন, আজ আমার পদতলে অন্ধকার যুগের সমস্ত কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস, অনাচার, শিরক, কুফর দলিত হলো। তিনি তাঁর সেই ভাষণে এও বলেন : লোক সকল শোন, কোন অনারবের ওপর কোন আরবের শ্রেষ্ঠত্ব নেই, কোন আরবের ওপর কোন অনারবের শ্রেষ্ঠত্ব নেই, কোন কালোর ওপর কোন সাদার শ্রেষ্ঠত্ব নেই, কোন সাদার ওপর কোন কালোর শ্রেষ্ঠত্ব নেই, সবাই আদম থেকে এবং আদম মাটি থেকে। শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি হচ্ছে তাকওয়া। একবার ফারুকে আযম উমর ইবনুল খাত্তাব রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু বিশিষ্ট সাহাবী হযরত উবায় ইবনে কা’ব রাদিআল্লাহু তাআলা আনহুর কাছে তাকওয়ার সংক্ষিপ্ত সংজ্ঞা জানতে চাইলে তিনি তাঁকে পাল্টা জিজ্ঞাসা করলেন : আপনি কি কখনও কণ্টকাকীর্ণ-রাস্তা অতিক্রম করেছেন? হযরত উমর রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু বললেন : হ্যাঁ। তখন তিনি বললেন : কিভাবে সেই রাস্তা অতিক্রম করলেন। হযরত উমর রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু বললেন : অতি সাবধানতার সঙ্গে দ্রুত সে পথ পারি দিয়েছি। হযরত উবায় ইবনে কা’ব রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু তখন বললেন : এটাই তাকওয়া। এ বিবরণ থেকে আমাদের সামনে তাকওয়া সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা উদ্ভাসিত হয়ে যায়। এর দ্বারা এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে, সাবধানতার সঙ্গে জীবন পরিচালনা করাই হচ্ছে তাকওয়া। ইসলামে পরিপূর্ণভাবে দাখিল হতে হলে অবশ্যই তাকওয়া অবলম্বন করতে হবে। রমাদানুল মুবারকে সিয়াম পালনের মাধ্যমে সেই তাকওয়া অবলম্বনের প্রত্যক্ষ প্রশিক্ষণ লাভ করার সুযোগ লাভ করে সিয়াম পালনকারী। যা করলে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন, আল্লাহর রসূল নারাজ হন এমন কাজ না করার মধ্যে তাকওয়ার তাৎপর্য নিহিত রয়েছে। তাকওয়া অবলম্বনের মূল অর্থ হচ্ছে : হালালকে গ্রহণ করা, হারামকে বর্জন করা, সকল প্রকার গুনাহ থেকে নিজেকে রক্ষা করা, সন্দেহযুক্ত জিনিস ও কর্ম পরিহার করা, আল্লাহকে যথাযথভাবে ভয় করা এবং আল্লাহর নিকট সত্যিকার অর্থে আত্মসমর্পণ করা। কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে : হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে যথাযথভাবে ভয় কর এবং তোমরা আত্মসমর্পণকারী (মুসলিম) না হয়ে মরো না (সূরা মায়িদা : আয়াত ৩৫)। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু অলায়হি ওয়া সাল্লাম সিয়ামকে জাহান্নামের আগুন থেকে নিজেকে রক্ষা করার ঢাল বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন : সিয়াম জাহান্নামের আগুনের ঢালস্বরূপ, যতক্ষণ সায়িম সিয়াম ত্যাগ না করে। ঢাল যেমন তীর, তলোয়ার প্রভৃতির আঘাত প্রতিহত করে তেমনি সিয়াম জাহান্নামের আগুনকে প্রতিহত করে (ইবনে মাজাহ)। হযরত আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহ্ তাআলা আন্্হু বর্ণিত একখানি হাদীসে আছে যে, হযরত রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলায়হি ওয়া সাল্লাম সাহাবায়ে কেরামকে উদ্দেশ করে বলেন, আল্লাহ্ তাআলা আমার উম্মতকে রমাদান মাসে বিশেষ পাঁচটি জিনিস দান করেন যা অন্য কোন নবীর উম্মতকে দান করেননি। আমার সিয়াম পালনকারী উম্মতের মুখের গন্ধ আল্লাহ্র নিকট মিস্কের সুগন্ধি থেকেও অধিক সুগন্ধি, তাদের জন্য রমাদান মাসে সব জীব-জন্তু এমন কি পানির মাছও কল্যাণ কামনা করে। প্রত্যেকটি জান্নাতকে সুসজ্জিত করে আল্লাহ্ তাআলা বলেন : আমার বন্ধুরা সীমাহীন দুঃখ-কষ্ট সহ্য করে অতিসত্তর তোমাদের দিকে আসছে। রমাদান মাসে শয়তানকে বন্দী করে রাখা হয়, ফলে সে অন্যান্য মাসের মতো মুমিন বান্দাদের প্ররোচিত করতে পারে না, রমাদানের শেষ রাতে আল্লাহ্ তাআলা সিয়াম পালনকারীদের ক্ষমা করেন (বায়হাকী)। রমাদানের সিয়ামের পাশাপাশি সেহ্রী, ইফ্্তার ও তারাবীহ্র গুরুত্বও অপরিসীম। এই রমাদান মাসের শেষ দশকে ইতিকাফ করার মধ্যে অশেষ সওয়াব রয়েছে। বিশেষ করে লায়লাতুল কদরকে ইতিকাফের মাধ্যমে অন্বেষণ করা সহজ হয়। যুগ শ্রেষ্ঠ সূফী কুতবুল আলম হযরত মওলানা শাহসূফী তোয়াজউদ্দীন আহমদ রহমাতুল্লাহি ‘আলায়হি বলেছেন : ইতিকাফ হালতে শবে কদরকে অতি নিকট থেকে অবলোকন করা যায়। লায়লাতুল কদর উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য আল্লাহ্ জাল্লা শানুহুর একটা খাস উপহার। এই রাত ইবাদত বন্দেগীর মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করতে পারলে হাজার মাস ধরে লাগাতার ইবাদত-বন্দেগী করলে যে সওয়াব পাওয়া যেত তার চেয়েও অধিক সওয়াব লাভ হয়। কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে : লায়লাতুল কাদ্রী খায়রুম্ মিন্ আলফি শাহ্র- লায়লাতুল কদর হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেয়। মাহে রমাদানে দান-খয়রাত করলে ৭০ গুণ বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। মাহে রমাদানে সিয়াম পালনের পাশাপাশি যে কোন ভাল কাজ করলে অশেষ সওয়াব লাভের সুযোগ আসে। যে কারণে আরবী চান্দ্রসনের নবম মাস এই রমাদান সর্বাধিক মুবারক মাসের এবং সর্বোত্তম মাসের বৈশিষ্ট্য লাভ করেছে। রমযান শব্দটি মূলত আরবী রমাদান শব্দের র্ফাসী উচ্চারণ। রমাদান শব্দের শব্দমূল হচ্ছে রমদ যার অর্থ গ্রীষ্মের প্রচণ্ড উত্তাপ, পোড়ানো ইত্যাদি। সিয়াম পালনের মাধ্যমে সিয়াম পালনকারী তার পাপরাশি পোড়াতে সমর্থ হয় এই মাসে। রমাদান ও সিয়ামের মাহাত্ম্য সেখানেই এবং এর তাৎপর্য এরই মধ্যে নিহিত রয়েছে। লেখক : পীর সাহেব, দ্বারিয়াপুর শরীফ, উপদেষ্টা, ইনস্টিটিউট অব হযরত মুহম্মদ (সা.),সাবেক পরিচালক,ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ
×