ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

হবিগঞ্জে জলমহালের টাকা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১৫০

প্রকাশিত: ০৭:৩৪, ১১ জুন ২০১৫

হবিগঞ্জে জলমহালের টাকা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১৫০

নিজস্ব সংবাদদাতা, হবিগঞ্জ, ১০ জুন ॥ জলমহাল থেকে আয়কৃত প্রায় দুই কোটি টাকার ভাগ-বাটোয়ারা ও হিসাব-নিকাশ সংক্রান্ত সৃষ্ট বিরোধকে কেন্দ্র করে বুধবার সকালে হবিগঞ্জের ভাটি উপজেলা বানিয়াচঙ্গের সাদিয়াটোলা দুই গ্রামের মধ্যে ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এবং পুলিশের লাটিচার্জ, টিয়ারশেল ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় ওসি নির্মুলেন্দু চত্রবর্তী ও ওসি (তদন্ত) দেলোয়ার হোসেনসহ আহত হয়েছে অন্তত ১৫০ জন। তার মধ্যে গুরুতর আহত কয়েকজন পুলিশ সদস্যসহ বহু লোককে বানিয়াচঙ্গ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি ও হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বানিয়াচঙ্গের ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী মুমিন, ওসি (তদন্ত) দেলোয়ার হোসেন ও নানা সূত্র জনকণ্ঠকে জানায়, ওই সাদিয়াটোলা সংলগ্ন বিভিন্ন জলমহাল স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ দেখাশুনাসহ তাদের দখলে রয়েছে। আর এই জলমহাল থেকে প্রায় দেড় থেকে দুই কোটি টাকা আয় হয়। এই আয়ের টাকা ওই ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত স্থানীয় একটি ফান্ডে রাখা হয়। পরবর্তীতে ফান্ডের এই টাকা নিজেদের মাঝে নানাভাবে ভাগ-বাটোয়ারা করে নেন তারা। কিন্তু সম্প্রতি এই টাকার হিসাব-নিকাশ ও ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে ফান্ড চালিত লোকজনের মাঝে দেখা দেয় মতবিরোধ। এই বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। এরই মাঝে আবার মাতাপুর সংলগ্ন একটি জলমহালের উজারা প্রদানের দিন ছিল বুধবার। এসব সংক্রান্ত জটিলতার জের ধরে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই সাদিয়াটোলাস্থ দুইগ্রাম মাথাপুর ও তোপখানার পক্ষে সংশ্লিষ্ট উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল বাহার খানের পক্ষে এনামুল হক বাহার খান গংদের সঙ্গে অপর পক্ষ প্রভাবশালী ইউপি চেয়ারম্যান হায়দারুজ্জামান খান ধন মিয়ার পক্ষাবলম্বনকারী মভু মিয়া গংরা সশস্ত্র সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ফেসবুকে মন্তব্য নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০ ফেসবুকে জামায়াত-হেফাজত ও তবলীগ জামাতকে নিয়ে মন্তব্য করার অভিযোগে মঙ্গলবার মধ্য রাতে হবিগঞ্জের উপজেলা বাহুবলের যাদবপুরে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন। গুরুতর আহত হয়েছেন সংশ্লিষ্ট গ্রামের জনৈক ছালামের পুত্র ফয়সল (২০) ও তার মা। জানা যায়, ওইদিন সকালে সংশ্লিষ্ট গ্রামের বাসিন্দা ছাউয়াল মিয়ার পুত্র মৌলভী হাবিবের ফেসবুক আইডি থেকে জামায়াত, হেফাজত ও তবলীগ জামাতকে নানা বিশ্লেষণে সম্বোধনপূর্বক তীর্যক মন্তব্য করে একটি পোস্ট আপলোড করার দাবি উঠে। পরবর্তীতে বিষয়টি নাকি সংশ্লিষ্ট গ্রামের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে সংশ্লিষ্ট দল সমর্থক নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মাঝে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে ওইদিন মধ্যরাতে উভয় পক্ষ অবলম্বনকারী লোকজন সশস্ত্র সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ফরিদপুরে আহত ৩০ নিজস্ব সংবাদদাতা ফরিদপুর থেকে জানান, ফরিদপুরে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে গ্রামের দুই দলের সংঘর্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে। বুধবার সকাল ৭টার দিকে সালথায় উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মুরাটিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী, পুলিশ ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার বিকেলে ক্রিকেট খেলা নিয়ে এরশাদ মীরের সঙ্গে সাদ্দাম মোল্লার কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে বুধবার সকালে উভয় দলের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ ২ ঘণ্টা চলা এই সংঘর্ষে বাচ্চু মীর, বেলায়েত মীর, ইয়ার আলী, এরশাদ, নবাব আলী, আইয়ুব আলী, গিয়াস সর্দার, নুর ইসলাম, আজিমদ্দিন, ফরিদ মোল্লা, জালাল শেখ, নাজিদ মোল্লা, লিপু শেখ ও শফিকুল ইসলামসহ উভয় দলের ৩০ জন আহত হয়।
×