ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

দুই কর্মচারী আহত

শ্যামপুরে জাপা কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলা, গুলি ভাংচুর

প্রকাশিত: ০৬:৫১, ১১ জুন ২০১৫

শ্যামপুরে জাপা কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলা, গুলি ভাংচুর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর কদমতলীতে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে গুলিবর্ষণ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। হামলায় দফতরের দুই কর্মচারী আহত হয়েছেন। তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তারা আশঙ্কামুক্ত। বুধবার সকাল দশটার দিকে কদমতলীর শ্যামপুর লঞ্চঘাট এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। জাতীয় পার্টির কদমতলী থানার সদস্য সচিব শেখ মাসুক রহমানের দাবি, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হাবিব, যুবলীগ নেতা আলমগীর, নিজাম উদ্দিন, ছাত্রলীগ কর্মী মামুন, শুক্কুর, ইউসূফের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক সন্ত্রাসী আচমকা হামলা চালায়। হামলার সময় সংসদ সদস্য বাবলা নিজ চেয়ারে বসা ছিলেন। তাঁকে লক্ষ্য করে পর পর দুই রাউন্ড গুলি চালানো হয়। পরে হামলাকারীরা কার্যালয়ে থাকা চেয়ার-টেবিল-টেলিভিশনসহ অন্যান্য আসবাবপত্র ভাংচুর করে চলে যায়। ভাংচুরকালে দুই কর্মচারীকে কুপিয়ে জখম করে। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সানজীদা খাতুনের নির্দেশেই হামলার ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। সংসদ সদস্য আবু হোসেন বাবলা জানান, হামলাকারীরা আওয়ামী লীগের নামধারী। জাতীয় পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগের সুসম্পর্কে চিড় ধরানোর জন্যই হামলা চালানো হয়েছে। তিনি হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এমপি এবং মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এমপি এক যৌথ বিবৃতিতে হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। অবশ্য এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে যুবলীগ শ্যামপুর ইউনিয়নের সভাপতি ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আলমগীর হোসেন বলেন, তারা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে মিছিল করছিলেন। আচমকা শ্যামপুরের জাতীয় পার্টির কার্যালয় থেকে মিছিলে ঢিল পড়ে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে নেতাকর্মীদের আড়ালে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা জাপা কার্যালয়ে হামলা করে থাকতে পারে। ঘটনার পর কদমতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদের তাৎক্ষণিক সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে কদমতলী থানা ও শ্যামপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত আসনের মহিলা সংসদ সদস্য সানজীদা খানম জানান, জাপার অফিস থেকে ঢিল ছোড়ার সূত্রধরে হাঙ্গামার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন। কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম জানান, হামলাকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন ধরে স্থানীয় সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার নেতাকর্মীদের সঙ্গে সানজীদা খানমের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। শ্যামপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইজুল ইসলাম, ৫১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী হাবিবুর রহমান হাবুসহ শ্যামপুর কদমতলী থানা আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাকর্মী বাবলার পক্ষে কাজ করেন। গত সোমবার মীরহাজীরবাগ এলাকায় কাউন্সিলর কাজী হাবিবুর রহমান হাবু সানজীদা খাতুনকে লাঞ্ছিত করেন। এ নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে জাপা সংসদ সদস্য বাবলা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। সংসদ সদস্য সানজীদার ধারণা হাবুকে দিয়ে বাবলা তাকে কৌশলে লাঞ্ছিত করেছেন।
×