ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সকালে হুমকি, বিকেলে মায়ের সামনে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ১১ জুন ২০১৫

সকালে হুমকি, বিকেলে মায়ের সামনে  পিটিয়ে হত্যা

নিজস্ব সংবাদদাতা, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, ১০ জুন ॥ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় নুরুল হক (৩৫) নামে এক যুবককে সকালে হত্যার হুমকি দিয়ে বিকেলে বৃদ্ধা মায়ের সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ একই এলাকার সন্ত্রাসী মীর হোসেন ওরফে ল্যাংড়া মিরু বাহিনীর সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় নিহত নুরুল হকের বৃদ্ধা মা যমুনা বেগম (৭৫) গুরুতর আহত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে নুরুল হককে হত্যার হুমকি দেয়। বিকেলে তাকে বেড়ধক পিটিয়ে ফেলে রেখে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকালে নুরুল হক মারা যায়। নিহত নরুল হক ফতুল্লার মধ্য রসূলপুরের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ সন্ত্রাসী মিরু ও ওমর ফারুক বাহিনী সদস্য আবদুর রাজ্জাক ও তার ছেলে হƒদয়কে গ্রেফতার করেছে। নিহত নুুরুল হকের মা যমুনা বেগম জানান, মঙ্গলবার সকালে সন্ত্রাসী মির হোসেন মিরু ও ওমর ফারুক বাহিনীর সদস্যরা আমার ছেলে নুরুল হককে সকালে এসে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে বিকেলে হুমকিদাতা হƒদয়সহ শান্ত, মিরুর ভাগিনা শাকিল, সজিব, আমির হোসেন, মোমিন, কালা জাহাঙ্গীরসহ আরও কয়েকজন আমার সামনে ঘর থেকে আমার ছেলে নূরুল হককে তুলে নিয়ে যায়। ওই সময় আমিও তাদের পেছনে পেছনে যাই। বটতলায় নেয়ার পথে নুরুল হককে এলোপাথারি পেটানো হয়। তখন আমি বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা আমাকেও এলোপাথারি পিটিয়ে রাস্তায় ফেলে রেখে আমার ছেলেকে বৌবাজার বটতলায় নিয়ে পিটিয়ে নিথর দেহ ফেলে রেখে চলে যায়। স্থানীয়রা নুরুলকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সকালে আমার ছেলে মারা যায়। তিনি আরও জানান, নুরুল হক টেলিভিশনের কভার বিক্রি করত। স্থানীয় সন্ত্রাসী মিরু ও ফারুক তাকে দিয়ে জোর করে মাদক ব্যবসা করানোর চেষ্টা করেছে। তাদের কথার অবাধ্য হওয়ায় আমার ছেলের বিররুদ্ধে তিনটি মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এরপরও আমার ছেলে তাদের কথায় রাজী হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মিরু ও ফারুক তাদের লোকজন দিয়ে আমার ছেলেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসাদুজ্জাামান ঘটনাটি স্বীকার করে জানান, নুরুল হক নিহত হওয়ার ঘটনায় সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত কেউ মামলা দেয়নি। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।
×