ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জাতীয়তাবাদী ও ধর্মনিরপেক্ষ দলের সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা

এরদোগানের উচ্চাভিলাষ জোট সরকার গঠনে বাধা

প্রকাশিত: ০৪:২৮, ১১ জুন ২০১৫

এরদোগানের উচ্চাভিলাষ জোট সরকার গঠনে বাধা

তুরস্কের ক্ষমতাসীন দল জাস্টিস এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একেপি) দেশটির জাতীয়তাবাদী বা ধর্মনিরপেক্ষ বিরোধী দল, যার সঙ্গেই জোট সরকার গঠন করুক তাকে একই বাধার মুখে পড়তে হবে। আর তা হলো প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগানের উচ্চাভিলাষ। খবর ইয়াহু নিউজের। বিরোধী নেতারা এখন জোটের মাধ্যমে সরকারে প্রবেশ করতে পারবে। তবে তারা পরিষ্কার করে বলেছেন, তারা এরদোগানের হস্তক্ষেপ সহ্য করবেন না। তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন, ক্ষমতায় থাকার সময়ের মতো তার এক হাজার কামরার প্রাসাদে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার দিন শেষ হতে পারে, অন্তত এই সময়ের জন্য। একে পার্টির এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, মনে হচ্ছে একটি জোট গঠন নিশ্চিত এবং একে পার্টি এতে থাকবে। এটিই স্পষ্ট। নির্বাচনী প্রচারাভিযান কাজে রাজনৈতিক বিরোধীদের সম্পর্কে এরদোগানের কঠোর মন্তব্যের কারণে সমঝোতার পথ মোটেই মসৃণ হবে না। তিনি বলেন, গত বছর তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে দুর্নীতি কেলেঙ্কারির নাটক সাজানো হয়েছিল। তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের ‘অশুভ শক্তির সঙ্গে জোট বাধা সন্ত্রাসী ও বিশ্বাসঘাতক’ বলে অভিহিত করেছেন। রবিবারের নির্বাচনে ইসলামপন্থী একে পার্টি পার্লামেন্টে নিরঙ্কুশ সংখ্যাঘরিষ্ঠতা হারানোর ফলে এক দশকের বেশি সময় ধরে চলা দলীয় শাসনের অবসান হয়। এর ফলে তুরস্কের সংবিধান পরিবর্তন করে যুক্তরাষ্ট্রের মতো শক্তিশালী প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির শাসন প্রবর্তনে এরদোগানের উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা বড় ধরনের একটি ধাক্কা খেল। ১৯৯০ সালের পর দেশটি আর এমন রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় নিমজ্জিত হয়নি। দলের সিনিয়র সূত্রগুলো বলেছে, একে পার্টি শেষ পর্যন্ত একটি জোট গঠনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং এক্ষেত্রে ডানপন্থী ন্যাশনালিস্ট মুভমেন্ট পার্টিই (এমএইচপি) সম্ভাব্য জোট। তবে রাজনৈতিক সমঝোতা সহজ হবে না। এমএইচপি নেতা দেভলেত বাসেলি রবিবার হুঁশিয়ার করে বলেছিলেন, তুর্কি নেতার সাংবিধানিক সীমার মধ্যেই থাকা উচিত। তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী আহমেত দাভুতুগ্লু মঙ্গলবার এরদোগানের সঙ্গে সাক্ষাত করে পদত্যাগ করেছেন। তবে নতুন সরকার গঠিত হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফল প্রকাশ হওয়ার পর দাভুতুগ্লুকে সরকার গঠন করতে বলবেন এরদোগান। নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল আগামী সপ্তাহে প্রকাশ হতে পারে। একে পার্টির সূত্রগুলো জানিয়েছে, এমএইপির সঙ্গে আলোচনা যদি ব্যর্থ হয় তাহলে তারা পার্লামেন্টের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল ধর্মনিরপেক্ষ রিপাবলিকান পিপল’স পার্টির (সিএইচপি) সঙ্গে জোট গঠনের কথা চিন্তা করতে পারে। আধুনিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা মুস্তাফা কামাল আতাতুর্কের দল সিএইচপি এরদোগানকে রক্ষণশীল ও ধার্মিক জনগণের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে দেখে থাকে।
×