ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের আনন্দ সমাবেশ-রায়ে আমরা সন্তুষ্ট ॥ ডাঃ ইমরান

প্রকাশিত: ০৫:২২, ১০ জুন ২০১৫

শাহবাগে গণজাগরণ  মঞ্চের আনন্দ সমাবেশ-রায়ে  আমরা সন্তুষ্ট ॥ ডাঃ ইমরান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানরা তাদের সম্পদ দেশে জঙ্গীবাদের উত্থানে কাজে লাগাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডাঃ ইমরান এইচ সরকার। মঙ্গলবার দুপুরে রাজাকার হাসান আলীর রায়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ অভিযোগ করেন। কিশোরগঞ্জের কুখ্যাত এই যুদ্ধাপরাধীর রায়কে কেন্দ্র করে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী সকাল ১১টা থেকে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে অবস্থান নেয় গণজাগরণ মঞ্চ। ট্রাইবুনাল-১ কর্তৃক কিশোরগঞ্জের তাড়াইলের এই যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ-ের রায় ঘোষিত হলে সেøাগানে সেøাগানে আনন্দ প্রকাশ করে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ও সমর্থকরা। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হাসান আলীর রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াফত করার দাবি জানানো হয় মঞ্চের পক্ষ থেকে। রায় পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে দেশবাসীর দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটল। গণজাগরণ মঞ্চ এই রায়ে সন্তুষ্ট। সরকারের দায়িত্ব এই পলাতক যুদ্ধাপরাধীকে যে কোন মূল্যে খুঁজে বের করে তার শাস্তি কার্যকর করা। তিনি আরও বলেন, শুধু যুদ্ধাপরাধের বিচার নয়, একই সঙ্গে তাদের যাবতীয় সম্পদ বাজেয়াফত করতে হবে। যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানরা তাদের সম্পদ দেশে জঙ্গীবাদের উত্থানে কাজে লাগাচ্ছে এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, ব্লগারদের হত্যা ও জঙ্গীবাদের উত্থানের পেছনে যুদ্ধাপরাধী সংগঠন জামায়াত-শিবির ও যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানরা পৃষ্ঠপোষকতা করে যাচ্ছে। সামাজিক মাধ্যমে তাদের আস্ফালনে এটা প্রমাণিত। তাই সরকারের উচিত দ্রুত এই যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াফত করে দেশে জঙ্গীবাদের পৃষ্ঠপোষকদের প্রতিহত করা। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধী আলী আহসান মুহম্মদ মুজাহিদের আপীলের রায়ে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ- বহাল থাকবে, এই আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আমরা চাই, কাদের মোল্লা ও কামারুজ্জামানের পর তৃতীয় যুদ্ধাপরাধী হিসেবে মুজাহিদের রায় দ্রুত কার্যকরের অপেক্ষায় দেশবাসী। অতি দ্রুত তার বিচারিক কার্যক্রম সমাপ্ত করে রায় কার্যকর করার দাবি জানান তিনি। এদিকে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় কিশোরগঞ্জে হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, লুটপাটের মতো যুদ্ধাপরাধের দায়ে ’৭১’র রাজাকার কমান্ডার সৈয়দ মোঃ হাসান আলীকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ-ের রায় প্রদান করায় স্বস্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ অনলাইন এ্যাক্টিভিস্ট ওফারাম (বোয়াফ)। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময় বলেন, কিশোরগঞ্জের তাড়াইল থানার কুখ্যাত রাজাকার কমান্ডার পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় রাজাকার সদস্যদের নিয়ে যেসব বর্বরতা চালিয়েছে তা ঐ অঞ্চলের মানুষ এখনও আতঙ্কিত হয়ে ওঠে। তিনি আরও বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে এই প্রজন্ম যেমন স্বস্তিবোধ করেছে তেমনি আইনের শাসনের প্রতিও নতুন প্রজন্মের শ্রদ্ধাবোধ তৈরি হয়েছে। কুখ্যাত রাজাকার, মানবতাবিরোধী অপরাধী সৈয়দ মোঃ হাসান আলীকে খুঁজে বের করে প্রদত্ত রায় বাস্তবায়নের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল স্থায়ী করার জন্য সরকারকে আরও সময় উপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ করার দাবি জানানো হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে।
×