ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আইওসি প্রধান ফিফায় সংস্কারের পক্ষে

ফিফার সহ-সভাপতি হতে চান ম্যারাডোনা

প্রকাশিত: ০৫:০৭, ১০ জুন ২০১৫

ফিফার সহ-সভাপতি হতে চান ম্যারাডোনা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ জর্দানের প্রিন্স আলি বিন আল হুসেইনের সঙ্গে ভাল খাতির দিয়াগো ম্যারাডোনার। কিছুদিন আগে ফিফা নির্বাচনে সেপ ব্লাটারের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তিনিই। কিন্তু পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর ব্লাটার পদত্যাগ করায় প্রিন্স আলীর সভাপতি হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বিশেষ কংগ্রেসে সভাপতি নির্বাচন করবেন জর্দানের যুবরাজ। সেখানে যদি তিনি জয়ী হন সেক্ষেত্রে সহ-সভাপতি হওয়ার ভাল সম্ভাবনা আছে বলে মনে করছেন স্বয়ং ম্যারাডোনা। ম্য্যারাডোনা জানিয়েছেন, নতুন নির্বাচনে যদি প্রিন্স আলি বিন আল হুসেইন সভাপতি পদে নিযুক্ত হন, তাহলে তিনি সংস্থাটির সহ-সভাপতি হওয়ার সুযোগ নেবেন। ব্লাটারের পদত্যাগের পর ফিফার নতুন সভাপতি নির্বাচন করতে বিশেষ কংগ্রেস ডাকা হবে আগামী ডিসেম্বর থেকে মার্চের মধ্যে। আর্জেন্টাইন ফুটবল ঈশ্বর এ প্রসঙ্গে বলেন, আমি ফিফার সহ-সভাপতি হতে পারি, যদি প্রিন্স আলি সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি আরও বলেন, ফিফার সহসভাপতির দায়িত্ব পেলে আমি সব দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাজ করব। সবকিছু পরিষ্কার করে ফেলব। ব্লাটারকে আরেকবার ধুয়ে দিয়ে ম্যারাডোনা বলেন, আমি মনে করি সভাপতির পদে থেকে ব্লাটার অনেক দুর্নীতি করেছেন। আর গ্রেফতারের ভয়েই তিনি দ্রুত পদত্যাগ করেন। এর আগে ফিফার সভাপতি হিসেবে পঞ্চম মেয়াদে নির্বাচিত হন ব্লাটার। হারান আলি বিন আল হুসেইনকে। জুরিখে অনুষ্ঠিত ফিফার ৬৫তম কংগ্রেসে ২০৯ ভোটের মধ্যে ব্লাটার পান ১৩৩ ভোট। ব্লাটারকে চ্যালেঞ্জ জানানো আল হুসেইন পান ৭৩ ভোট। বাকি তিন ভোট বাতিল হয়। ফিফার সভাপতি হওয়ার জন্য প্রথম দফায় দুই-তৃতীয়াংশ ভোট প্রয়োজন ছিল। সেটি না হওয়ায় দ্বিতীয় দফা ভোটের প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু দ্বিতীয় দফা ভোটের কোন সুযোগ না নিয়ে আল হুসেইন নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন। ফলে নির্বাচিত হন ব্লাটার। কিন্তু গত ০২ জুন পদত্যাগের ঘোষণা দেন ৭৯ বছর বয়সী ব্লাটার। ফিফার প্রকাশ্য সমালোচক হিসেবে ম্যারাডোনার নাম চলে আসে সর্বাগ্রে। আর্জেন্টাইন এই কিংবদন্তি হরহামেশাই সমালোচনা করেন ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার। অনেক সময় তার কথাতে খুব একটা গুরুত্ব দেয়া হয় না! কিন্তু ফিফায় দুর্নীতি কেলেঙ্কারির পর ম্যারাডোনা বলেন, আমার সব অভিযোগ সত্য। ফিফায় কোন স্বচ্ছতা নেই। এবার ফিফার মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ক বলেছিলেন, দুর্নীতির দায়ে ফিফা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের মধ্য দিয়েই প্রমাণিত হয়েছে, ফুটবলের গবর্নিংবডির বিরুদ্ধে আমার অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ যৌক্তিক। অভিযুক্তরা ঘুষ হিসেবে যে অর্থ নিয়েছে তা আফ্রিকান শিশুদের জন্য অনুশীলন ক্যাম্প করার পেছনে বিনিয়োগ করা উচিত। সর্বকালের অন্যতম সেরা এই তারকা আরও বলেন, মানুষ বলত আমি উন্মাদের মতো কথা বলছি। কিন্তু এফবিআই সত্য উদঘাটন করেছে। এর মধ্য দিয়ে আমেরিকানরা অনবদ্য ভূমিকা রেখেছে। ফিফার অভ্যন্তরে কি ঘটছে সবাই এখন ?তা টের পাচ্ছে। বর্তমানে ফুটবল বলতে কিছু নেই। কোন স্বচ্ছতা নেই।
×