ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বগুড়ায় রেলের জমি

উচ্ছেদ অভিযান অকার্যকর

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ১০ জুন ২০১৫

উচ্ছেদ অভিযান অকার্যকর

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ জননিরাপত্তা ও ট্রেন চলাচল নির্বিঘœ রাখতে বগুড়ায় রেললাইনের দু’পাশ থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান অকার্যকর হয়ে পড়ছে। ব্যাপক তোড়জোড় নিয়ে সোমবার রেলের সংশ্লিষ্ট বিভাগ উচ্ছেদ অভিযান চালালেও রেললাইনের পাশে মাটি ভরাট করে অবৈধ দখল থামেনি। রেলের নিয়ম কানুন উপেক্ষা করে দোকানপাটও নির্মাণ হচ্ছে সমানতালে। আর এই অবৈধ দখলের মাধ্যমে ট্রেন চলাচলকে নতুন করে ঝুঁকির মধ্যে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বগুড়া রেলস্টেশন সংলগ্ন রেল লাইনের ওপর অবৈধ অস্থায়ী দোকানপাটের কারণে দু’ দিন আগে ট্রেন দুর্ঘটনার আশঙ্কা সৃষ্টি হওয়ায় রেলওয়ের লালমনিরহাট ভূসম্পত্তি বিভাগ সোমবার বগুড়া রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকায় অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান চালায়। তাদের দাবি এতে পাঁচ শতাধিক অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ হয়েছে। তবে এই অভিযানের এক দিনের মাথায় মঙ্গলবার সরকারী আযিযুল হক কলেজের সামনে রেললাইনের ১০ ফুটের মধ্যে মাটি ভরাট কাজ অব্যাহত ছিল। নিয়ম অনুযায়ী রেললাইনের ন্যূনতম ২০ ফুটের মধ্যে যে কোন ধরনের স্থাপনা নিষিদ্ধ। সেখানে গিয়ে দেখা গেছে রেললাইন ঘেঁষে একই দূরত্বে নতুন করে সাতটি দোকান ঘর নির্মাণ শেষের পথে। আর ৬-৭টি দোকান নির্মাণের জন্য রেললাইনের পাশে মাটি ভরাটের কাজ চলছে। ইতোপূর্বেও সেখানে ১৪টি দোকান ঘর নির্মান করা হয়। রেলওয়ে এস্টেট বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে বগুড়ায় রেললাইনের পাশ থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ২৪ ঘন্টা পার না হতেই দখল অব্যাহত থাকায় উচ্ছেদ অভিযানের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, রেলের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের সঙ্গে অবৈধ দখলদারদের যোগাযোগ রয়েছে। আর উচ্ছেদ অভিযানের সময় লাইন ঘেঁষে থাকা অবৈধ স্থাপনা কর্মকর্তাদের চোখের বাইরে থেকে যায়। নতুন করে রেলের জায়গা অবৈধ দখলের বিষয়ে বগুড়া রেলওয়ের কানুনগো মোকাররম হোসেন জানান, আযিযুল হক কলেজের সামনে নতুন করে মাটি ভরাট ও দোকানপাট নির্মাণের বিষয়টি তার জানা নেই। হাটহাজারীতে ৩শ’ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ নিজস্ব সংবাদদাতা ফটিকছড়ি থেকে জানান, হাটহাজারী উপজেলাধীর মিরেরহাট ও হাটহাজারী সদরে মঙ্গলবার সকালে হাটহাজারী প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তিন শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোয়াজ্জেম হোছাইনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত এ অভিযান চালায়। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেনÑ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অসীম চক্রবর্তী, সড়ক ও জনপথ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ। দীর্ঘ সোয়া এক কিলোমিটার এলাকায় এ অভিযানে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ১০ কোটি টাকা মূল্যের ভূমি উদ্ধার হয়েছে।
×