ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সব বাধা পেরিয়ে ॥ এসএসসি

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ১০ জুন ২০১৫

সব বাধা পেরিয়ে ॥ এসএসসি

নুর আমিন বাবা ইমরান আলী কৃষক। মা গোলেনুর বেগম গৃহিণী। নাগেশ্বরী উপজেলার নদী ভাঙ্গন এলাকা বেরুবাড়ীতে এক মেয়ে দুই ছেলে নিয়ে তাদের কষ্টের সংসার। সামান্য আয়ে সংসার চলে না। তাই নাগেশ্বরীর বেরুবাড়ী দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেলেও পরিবারের আশঙ্কা, শেষ পর্যন্ত ছেলে নুর আমিনের প্রকৌশলী হওয়ার ইচ্ছা তারা পূরণ করতে পারবে তো! মৌসুমী খাতুন তিন বছর বয়সেই মৌসুমী খাতুন বাবা কুদরত আলীকে হারায়। তখন থেকে বিধবা মা মমেনা বেওয়া এ বাড়ি ও বাড়ি ঝিয়ের কাজ করে চালায় সংসার। গৃহস্থের বাড়ি থেকে নিয়ে আসা খাবার মা-মেয়ে খেয়ে ক্ষুধা মিটিয়েছে। এই মৌসুমী জিপিএ-৫ পেয়ে নাগেশ্বরী উপজেলার বেরুবাড়ীর চিলমারী গ্রামের নাম উজ্জ্বল করেছে। পেটের খাবার জোটেনি। সেখানে কুপির তেল কেনার টাকা পাবে কোথায়। জোৎস্নার আলোতে পড়ত সে। মারিয়া আখতার তালতলী উপজেলার তেঁতুলবাড়ীয়া গ্রামের দিনমজুর আবদুস ছত্তার ফকির ও মা মানসিক রোগী রাবেয়া বেগমের কন্যা মারিয়া আখতার। সে বগীরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে। ৭ বোনের মধ্যে মারিয়া সবার ছোট। হতদরিদ্র পরিবার হলেও উচ্চশিক্ষার অদম্য বাসনা ওর। দরিদ্রতা মারিয়ার স্বপ্ন ভেঙ্গে দেয়ার চেষ্টা করলেও সংগ্রামে পিছিয়ে থাকেনি। বড় বোন রুশিয়া বিএ পাস ও মেজো বোন সোনিয়া তালতলী কলেজের বিএ ক্লাসের ছাত্রী। মারিয়া আখতার বলে, ‘আমার বাবা গরিব, মা মানসিক রোগী। আমি লেখাপাড়া করতে চাই কিন্তু টাকার অভাবে আমার লেখাপড়া হবে না। দারিদ্রের সঙ্গে যুদ্ধ করে এসএসসি পাস করেছি। মাজেদুল ইসলাম অদ্যম মেধাবী মাজেদুল ইসলাম ভ্যান ও রিক্সা চালিয়ে সংসারের খরচ যুগিয়ে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে। মাজেদুল জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গিমারী গ্রামের রিক্সাচালক রহমত আলীর পুত্র। সে এবারে হাতীবান্ধা আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক শাখা হতে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। পরিবারের অভাব-অনটন তাড়াতে বাবা-মাকে একটু সহায়তা দিতে নিয়মিত তাকে রিক্সা চালাতে হয়। তাই নিয়মিত স্কুলে পড়া হয়নি তার।
×