ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

নাকুগাঁও স্থলবন্দরে রাজস্ব আয়ে ধস

প্রকাশিত: ০৬:০৬, ৯ জুন ২০১৫

নাকুগাঁও স্থলবন্দরে  রাজস্ব আয়ে ধস

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর, ৮ জুন ॥ ভারত আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রধান উপাত্ত কয়লা আমদানি বন্ধ থাকায় চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আয়ে ধস নেমেছে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও স্থলবন্দরে। প্রতি অর্থবছরে যেখানে গড়ে ওই স্থলবন্দরে রাজস্ব আয় হতো ৮ থেকে ১২ কোটি টাকা, সেখানে চলতি (২০১৪-১৫) অর্থবছরে শেষ সময়ে রাজস্ব আয় হয়েছে মাত্র ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এটি চালু হওয়ার পর থেকে ওই স্থলবন্দরে সর্বনিম্ন রাজস্ব আয় এবং পূর্ববর্তী অর্থবছরের গড় আয়ের তুলনায় প্রায় ৮ ভাগই কম। নাকুগাঁও স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নাকুগাঁও স্থলবন্দর দিয়ে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের মে মাস পর্যন্ত কোন প্রকার কয়লা আমদানি হয়নি। চালু রয়েছে কেবল বোল্ডার পাথর আমদানি ও বিক্রি। ওই সময়ে ভারত থেকে কেবলমাত্র পাথর আমদানি করা হয়েছে ৪০ হাজার ৫০ মেট্রিক টন। অন্যদিকে ওই স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে ক্রাউন ব্র্যান্ডের সিমেন্ট রফতানি করা হয়েছে ২ হাজার ২শ মেট্রিক টন। আর মশারির জাল রফতানি করা হয়েছে ১৬৫ মেট্রিক টন। এছাড়াও রফতানি করা হয়েছে তৈরি লুঙ্গির একটি শিপমেন্ট। তাছাড়াও নাকুগাঁও স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন ব্যবহার করে কিছু লোকজন এপার-ওপার যাতায়াত করেছে। এতে পাথর আমদানি ও ইমিগ্রেশন শুল্ক বাবদ সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে মাত্র ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এ অর্থবছরে কয়লা আমদানি বন্ধ থাকায় রাজস্ব আয়ে এমন ঘাটতি হয়েছে উল্লেখ করে নাকুগাঁও স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের উপ-পরিদর্শক আজহারুল ইসলাম জানান, আগের রেকর্ড পর্যালোচনায় দেখা গেছে এ বন্দরে প্রতি অর্থবছরে কমপক্ষে ৮ থেকে ১২ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হতো। কিন্তু গত মে মাস পর্যন্ত রাজস্ব আয় হয়েছে মাত্র ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা, যা স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ পর্যন্ত সর্বনিম্ন রাজস্ব আয় বলেই চিহ্নিত হয়েছে।
×