ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জাতীয় দলের ম্যানেজার সুজনই

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ৯ জুন ২০১৫

জাতীয় দলের ম্যানেজার  সুজনই

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ভারতের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ সিরিজে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ম্যানেজার কে হবেন? যদিও খালেদ মাহমুদ সুজনকেই এ দায়িত্বে বহাল রাখার ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কিন্তু গুঞ্জন শুরু হয়েছিল পদত্যাগের জন্য বিসিবিকে মেইল দিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক এ অধিনায়ক। তাঁর এ বিষয়টি নিয়ে বিসিবি সোমবার বিশেষ এক আলোচনায় বসার খবরও চাউর হয়েছিল। কিন্তু এসব গুজব বলে উড়িয়ে দিলেন সুজন নিজেই। জানালেন শুধুমাত্র স্থায়ীভাবে বেতনভুক্ত ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ দেয়ার দাবি জানিয়েছিলেন তিনি বিসিবির কাছে। তবে এ বিষয়টি যথাযথ দায়িত্বপ্রাপ্ত বিসিবির কর্মকর্তাকে মেইলে জানানোর বিষয়টি কিভাবে ফাঁস হলো সেটা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। বিষয়টি তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন তিনি। এবার ভারতের বিরুদ্ধে হোমসিরিজে কে হবেন ম্যানেজার সেটা নিয়ে কিছুদিন আলোচনা হয়েছে। তবে বিসিবি আবারও ম্যানেজার হিসেবে সুজনকেই দায়িত্ব দেয়। কিন্তু গুঞ্জন ওঠে ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রে অপারগতা প্রকাশ করে বিসিবিকে মেইল দিয়েছেন তিনি। এটাকে গুজব দাবি করলেন সুজন নিজেই। এক সংবাদ সম্মেলনে সোমবার বিসিবিতে তিনি বলেনÑ ‘আমি বলেছি, আমি একটা প্রাইভেট চাকরি করি। সেখান থেকে যদি ছুটি নিয়ে আসি তাহলে আমাকে বেতন দেবে কে? আমি ফ্রি কোনও চ্যারিটি কাজ করব না। সত্যি বলতে কি এটা আমার পেশা। আমি প্রতিবারই বলি এখানে অন্য কাউকে দিতে। কিন্তু আমি বুঝি না বিসিবি কেন প্রতিবারই আমাকে দেয়। বিসিবি হয়তো ভাবে এ কাজের জন্য আমি উপযুক্ত এজন্যই দেয়া হয়। তবে আমি আপাতত এ দায়িত্ব অব্যাহত রাখছি।’ বিসিবির কাছে গুরুত্বপূর্ণ একটি ইস্যু নিয়ে দেয়া মেইলের তথ্য কিভাবে ফাঁস হয়ে গেল তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সুজন। তিনি দাবি করেছেন দ্রুত তদন্ত করে বিষয়টি খতিয়ে দেখার। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার জন্য এটা বিব্রতকর বিষয়। কারণ বোর্ড থেকে আমার ব্যক্তিগত কথা বাইরে চলে যাচ্ছিল। বোর্ড থেকে এমন ঘটনা কখনই সমীচীন না। এজন্য আমিও অপরাগতার কথা জানাই, কিন্ত সেটাও আবার পত্রিকায় প্রকাশ হয়ে যায়। বোর্ডে আসলে নিজের গোপনীয়তা বলে কিছু থাকছে না। এটা খুবই খারাপ একটা বিষয়। পদত্যাগের কথাটা আমি সরাসরি কিছু বলিনি। আমি বলেছিলাম আমার জন্য কাজটা কঠিন হবে। তাই কাজটা বাতিল করতে চাচ্ছি। আমি কত টাকা বেতন পাই এটা মিডিয়াতে আসার কোন যৌক্তিকতা নেই। বোর্ড এই বিষয়টা নিয়ে তদন্ত করবে। যারা এসব ফাঁস করছেন তাঁদেরই দায়িত্ব নিতে হবে। বোর্ডের পরিচালক হওয়ায় দায়িত্বটা আমারও।’ আবারও গুরুত্বপূর্ণ এ পদটি স্থায়ী করার আহ্বান জানিয়েছেন সুজন। তিনি বলেন, ‘এখন আর এটা আলঙ্কারিক কোন পদ নয়। এই পদের অনেক কাজ আছে, অনেক পরিশ্রম আছে। আমি দীর্ঘদিন ধরে একজন স্থায়ী ম্যানেজার নিয়োগ দেয়ার কথা বলে আসছি। ’
×