ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চট্টগ্রাম বন্দরে আটক ড্রামগুলো পরীক্ষা, কোকেনের আলামত পাওয়া যায়নি

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ৯ জুন ২০১৫

চট্টগ্রাম বন্দরে আটক ড্রামগুলো পরীক্ষা, কোকেনের আলামত পাওয়া যায়নি

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেন সন্দেহে আটক ১০৭ ড্রামের পণ্যের প্রাথমিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার সকালে আমদানির কন্টেনার খুলে এগুলো পুলিশ, কাস্টমস, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও বন্দরের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এর ভৌত পরীক্ষা শুরু হয়। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এতে কোন মাদকের আলামত পাওয়া যায়নি। বিশেষজ্ঞ দল তাদের পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধান চালায়। তবে প্রাথমিক পরীক্ষায় মাদকের আলামত না মিললেও উন্নত ল্যাবে আরও একাধিক পরীক্ষা করা হবে। এ জন্য ভোজ্যতেল ঘোষণায় আমদানি হওয়া সব ড্রাম থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের ৪ নম্বর গেটের পাশে খোলা হয় বলিভিয়া থেকে সানফ্লাওয়ার অয়েল ঘোষণায় আমদানি করা পণ্যের কন্টেনারটি। এর ভেতর থেকে বের করা হয় ১০৭টি প্লাস্টিক ড্রাম। শুল্ক ও গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মঈনুল খান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ জাফর আলম, পরিচালক (নিরাপত্তা) লে. কর্নেল আলমগীর কবির ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষক দুলাল কৃষ্ণ সাহা এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এই পরীক্ষা চলতে থাকে। সিএমপি কমিশনার আবদুল জলিল ম-লও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। ড. মঈনুল খান সাংবাদিকদের জানান, বিদেশী একটি সূত্রে তথ্যের ভিত্তিতে কোকেন থাকার সন্দেহে চালানটি আটক করা হয়। চোরাকারবারিদের একটি সিন্ডিকেট চট্টগ্রাম বন্দরকে রুট হিসেবে ব্যবহার করে মাদকদ্রব্যের চালানটি নিয়ে যাচ্ছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে বিশেষজ্ঞ দল কায়িক পরীক্ষা চালাচ্ছে। রুট সানফ্লাওয়ার অয়েল ঘোষণায় বলিভিয়া থেকে আসে কন্টেনারটি। তবে এর কোন এলসি নেই। প্রাথমিক পরীক্ষায় মাদক ধরা না পড়লেও এর মধ্যে তরল কোকেন জাতীয় পদার্থ থাকতে পারে এমন তথ্য জোরালো হওয়ায় আরও পরীক্ষা করা হবে। দুলাল কৃষ্ণ সাহা জানান, সোমবার সন্ধ্যার মধ্যে ১০৭ ড্রামের সবই খোলা হয়েছে। ড্রামগুলোর পণ্য পরীক্ষা করা হয়েছে তাতে কোকেন জাতীয় কোন কিছু থাকার আলামত পাওয়া যায়নি। তবে এতগুলো ড্রামের দুয়েকটিতে থাকতেও পারে। সেজন্য ১১টি ড্রাম আলাদা করা হয়েছে। এতে থাকা ক্লুড অয়েল উন্নত ল্যাবে পরীক্ষা করা হবে। উল্লেখ্য, দক্ষিণ আমেরিকার উরুগুয়ে থেকে সিঙ্গাপুর হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ভোজ্যতেলের এ চালানটি আসে গত ১২ মে। এটি বন্দর সিসিটির (চিটাগাং কন্টেনার টার্মিনাল) ৩ নম্বর ইয়ার্ডে নামিয়ে রাখা হয়। কিন্তু এই চালানের মধ্যেই তরল কোকেন রয়েছে বলে তথ্য পায় গোয়েন্দা বিভাগ। পুলিশের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাতে কন্টেনারটি সিলগালা করেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের কর্মকর্তারা। এই আমদানির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজনকে আটক করা হয়েছে।
×