ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

৩১ জুলাই মধ্যরাত থেকে ছিটমহল বিনিময় শুরু

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ৯ জুন ২০১৫

৩১ জুলাই মধ্যরাত থেকে ছিটমহল বিনিময় শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্থলসীমান্ত চুক্তি কার্যকরের সব বাধা কাটার পর আগামী ৩১ জুলাই মধ্যরাত থেকে শুরু হবে ছিটমহল বিনিময়। নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরে চুক্তি অনুসমর্থনের দলিল হস্তান্তরের দু’দিনের মধ্যে সোমবার রাতে বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়। স্থলসীমান্ত নিয়ে দুই দেশের দীর্ঘ দিনের সমস্যার সমাধানের পর এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে অর্ধলাখ মানুষের মুক্তির পথ খুলবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকা সফরকালে দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত চুক্তি দলিল বিনিময়ের পরে এখন চুক্তি বাস্তবায়ন হতে চলেছে। এই চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগামী ৩১ জুলাই থেকে ছিটমহল বিনিময় শুরু হবে। উত্তরাধিকার সূত্রে ভারতের স্থলসীমান্ত নিয়ে এই সমস্যাটি পেয়েছিল বাংলাদেশ। অবিভক্ত ভারতের অংশ থেকে পাকিস্তান হয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই সমস্যার অবসানে ১৯৭৪ সালে মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি হয়। এর আওতায় ছিটমহল বিনিময়ে বাংলাদেশের দিক থেকে সব প্রক্রিয়া সারা হলেও তা আটকে ছিল ভারতের দিকে। কারণ ভূমি ছাড়তে হলে ভারতের সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন। এর মধ্যে ২০১১ সালে ভারতে তৎকালীন কংগ্রেস সরকারের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় স্থলসীমান্ত সমস্যার সমাধানে দুই দেশের মধ্যে একটি প্রটোকল সই হয়। এরপর কংগ্রেস সরকার সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগ নিলেও তার মধ্যেই নির্বাচনে ক্ষমতার পালাবদল হয়ে যায়। ক্ষমতায় আসে বিজেপি, প্রধানমন্ত্রী হন নরেন্দ্র মোদি। তবে কংগ্রেস সরকারের সেই উদ্যোগকে সফল করতে আরও সচেষ্ট ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। ছিটমহল বিনিময়ে আপত্তি জানানো আঞ্চলিক দলগুলোকে মানান তিনি। বর্তমানে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের ১১১টি ছিটমহল রয়েছে, এতে রয়েছে ৩৭ হাজার মানুষের বাস। অন্যদিকে ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলের বাসিন্দা ১৪ হাজার। ২০১১ সালে দুই দেশের যৌথ উদ্যোগে শুমারিতে এই তথ্য পাওয়া যায়। ভারতের ভেতরে থাকা বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলের আয়তন মোট ৭ হাজার ১১০ একর। অন্যদিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের ১১১টি ছিটমহলের আয়তন ১৭ হাজার ১৬০ একর।
×