ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিদেশী বিনিয়োগে কর অবকাশ চায় সিএসই

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ৯ জুন ২০১৫

বিদেশী বিনিয়োগে কর অবকাশ চায় সিএসই

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বিনিয়োগকারী ও পুঁজিবাজারের জন্য ইতিবাচক। তবে এ বাজেটে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের ট্যাক্স সুবিধা নেই। তাদের জন্য কর সুবিধার ব্যবস্থা রাখা হলে বাজারে বিদেশী বিনিয়োগ বাড়বে। এটি বাজারকে আরও গতিশীল করবে। একই সঙ্গে স্টক এক্সচেঞ্জের কর অবকাশ সুবিধা বহাল রাখলে আরও ভাল হতো। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওয়ালিউল মারুফ মতিন এ কথা বলেছেন। সোমবার দুপুরে সিএসই কার্যালয়ে বাজেট পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন। সিএসইর এমডি বলেন, অর্থমন্ত্রী পুঁজিবাজার নিয়ে প্রস্তাবিত বাজেটে ইতিবাচক বক্তব্য রেখেছেন; যা দেশী ও বিনিয়োগকারীদের জন্য অনুকূলে। তবে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি। তাদের ওপর কর কমালে তারা আরও বেশি বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবে। তিনি বলেন, এখন বিদেশী বিনিয়োগকারীদের ওপর ১০ শতাংশ কর আরোপ রয়েছে। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে বেশি ঝুঁকি থাকে। তবে সেই ঝুঁকি অনুযায়ী যদি তাদের রিটার্ন ব্যালেন্স করতে না হয়; তাতে বিনিয়োগ কম আসবে। এজন্য বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কর সুবিধা থাকা দরকার বলে মনে করেন তিনি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জাবাবে মারুফ মতিন বলেন, বাজেট পুঁজিবাজার বান্ধব। তবে পুঁজিবাজার বান্ধব হলেই বাজার ঝুঁকিমুক্ত নয়। এখানে সব সময় বুঝে শুনে বিনিয়োগ করা প্রয়োজন। শুধু বাংলাদেশে নয়; পৃথিবীর সব দেশে একই অবস্থা। তিনি আরও বলেন, কৌশলী বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণসহ সিএসইতে কারিগরি ও অবকাঠামোগত বিনিয়োগের জন্য মূলধনের পুনর্বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে। এ কারণে সিএসই ক্রমহ্রাসমান হারে কর অবকাশের পরিবর্তে ৫ বছর মেয়াদী কর অব্যাহতি চায়। একই সঙ্গে স্টক এক্সচেঞ্জ সদস্যদের ওপর থেকে উৎস আয়কর কর্তনের হার আগেরটাই নির্ধারণ করার দাবি করেন তিনি। এই করকে ব্রোকারেজ ব্যবসা হতে উদ্ভুত সমুদয় আয়ের ওপর করদায় বিবেচনার দাবিও জানান তিনি। মারুফ মতিন বলেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করের হার ৪২.৫ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ করার প্রস্তাব, তালিকাভুক্ত অন্যান্য কোম্পানির কর হার ২৭.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব, ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত লভ্যাংশকে কর মুক্ত রাখার প্রস্তাব পুঁজিবাজারের জন্য ইতিবাচক। এছাড়া মূলধনী মুনাফার ওপর বিদ্যমান আইনে ১০ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তনের বিধান প্রত্যাহার, বন্ড মার্কেট উন্নয়নের স্বার্থে
×