ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জয় দিয়ে শুরু স্বাগতিক কানাডার

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ৮ জুন ২০১৫

জয় দিয়ে শুরু স্বাগতিক কানাডার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এবার স্বাগতিক দল হিসেবে সরাসরিই বিশ্বকাপে খেলছে কানাডা মহিলা ফুটবল দল। যদিও এর আগে তিনবার বিশ্বকাপ খেলা দলটি সেরা সাফল্য হিসেবে ২০০৩ বিশ্বকাপে চতুর্থ স্থান দখল করেছিল। কিন্তু এবার তাদের শুরুটাই হলো বিতর্ক দিয়ে। শেষ মুহূর্তের পেনাল্টিতে ক্রিস্টিন সিনক্লেয়ার গোল করেছেন এবং চীন মহিলা ফুটবল দলকে ১-০ গোলে হারিয়ে পূর্ণ পয়েন্ট নিয়েই শুরু করেছে কানাডার মেয়েরা। তবে সেই পেনাল্টি কতটা যৌক্তিক ছিল তা নিয়ে হয়েছে বিতর্ক। মহিলা বিশ্বকাপের সপ্তম আসরে উদ্বোধনী দিন এডমন্টনে আরেকটি ম্যাচ হয়েছে। অপর ম্যাচে হল্যান্ডের মেয়েরা ১-০ গোলে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ডের মহিলা দলকে। এডমন্টনের কমনওয়েলথ স্টেডিয়ামে সংক্ষিপ্ত এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরই মাঠে নামে ‘এ’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক কানাডা ও চীন। এদিন স্টেডিয়াম ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। ৫৩ হাজার দর্শক এসেছিলেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও স্বাগতিক দলের খেলা উপভোগ করতে। তবে স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন থাকলেও চীনের মেয়েদের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই সেভাবে পেরে ওঠেনি কানাডার নারীরা। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধেও গোল হয়নি। নিশ্চিত ড্রয়ের দিকেই এগোচ্ছিল ম্যাচটা। তবে ইনজুরি সময়ে ভুলটা করে চীনের রক্ষণভাগ। ৩১ বছর বয়সী সিনক্লেয়ার দারুণ একটি বল পেয়েছিলেন এবং প্রবেশ করেছিলেন চীনের বিপদসীমায়। তার পাস থেকে বল পাওয়া বদলি খেলোয়াড় আড্রিয়ানা লিওনকে ডি-বক্সের ভেতরে ফাউল করেন ঝাও রং। রেফারি পেনাল্টি দেন কানাডাকে। কানাডার অধিনায়ক সিনক্লেয়ার পেনাল্টি থেকে লক্ষ্যভেদ করে স্বাগতিক দলকে আনন্দে ভাসান (১-০)। এটি ছিল তার ২২৪তম আন্তর্জাতিক ম্যাচে ১৫৪তম গোল। জয়ের পর কানাডা কোচ জন হার্ডম্যান বলেন, ‘একজন মাত্র মহিলা এভাবে ৯০ মিনিটের পর এভাবে দারুণ কিছু করতে পারেন এবং বিজয় গাঁথা লিখতে পারেন। আমি অনেক আনন্দিত যে শেষ মুহূর্তে এমন একটি জয় পেয়েছি। আমরা তিন পয়েন্ট পেয়েছি এবং সঠিক পথেই আছি।’ মিডফিল্ডার সোফি শ্মিট হয়েছেন ম্যাচসেরা এবং তিনি দাবি করেন সিনক্লেয়ার ছিলেন তার অনুপ্রেরণা। গত অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ জিতেছিল কানাডা। এবার ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে আগের যে কোন বারের চেয়ে ভাল করতে চায় তারা। অপরদিকে, বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে চীনের মেয়েরা এই প্রথম পরাজিত হলো। তবে স্টিল রোজেসদের বিরুদ্ধে কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিল কানাডা। হার্ডম্যান দাবি করেছেন চীনের মেয়েরা ড্রয়ের মনোভাব নিয়েই খেলেছে ম্যাচটি এবং সে কারণেই পরাজিত হয়েছে। দ্বিতীয় ম্যাচে ডাচ্ মেয়েদের প্রতিপক্ষ হিসেবে নেমেছিল কিউই মেয়েরা। লিয়েক মার্টেন্স ৩৩ মিনিটের সময় ডি-বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক শটে লক্ষ্যভেদ করেন হল্যান্ডের পক্ষে (১-০)। শেষ পর্যন্ত আর সে গোল পরিশোধ করতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। জয়ের তৃপ্তি নিয়েই মাঠ ছাড়ে ডাচ্রা।
×