ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বার্সিলোনা ইউরোপের সেরা দল ॥ কোচ এনরিকে

প্রকাশিত: ০৬:২৪, ৮ জুন ২০১৫

বার্সিলোনা ইউরোপের সেরা দল ॥ কোচ এনরিকে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সাময়িক ব্যর্থতা কাটিয়ে আবারও বিশ্বসেরার মঞ্চে আসীন হয়েছে বার্সিলোনা। অপ্রতিরোধ্য ঢংয়ে শনিবার রাতে ইউরোপ সেরা হয়েছে স্প্যানিশ পরাশক্তিরা। দারুণ এই অর্জনের পর দলটির প্রশংসায় পঞ্চমুখ সবাই। বার্সার কোচ লুইস এনরিকে দাবি করেছেন, তার দল ইউরোপের সেরা। এই তকমা দিয়েছেন পরাজিত জুভেন্টাস অধিনায়ক জিয়ানলুইজি বুফনও। এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে লুইস সুয়ারেজের। জীবনের সেরা গোল করেছেন ইভান রাকিটিচ। আর হারের পরও জুভেন্টাস কোচ ম্যাসিমিলিয়ানো এ্যালেগ্রি তার দলকে নিয়ে গর্বের কথা জানিয়েছেন। ফাইনালে ইতালিয়ান পরাশক্তিদের বিরুদ্ধে অসাধারণ ফুটবল খেলায় শিষ্যদের প্রশংসা করেন কোচ এনরিকে। ম্যাচ শেষে বার্সা কোচ বলেন, আমি খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানাই। তাদের মান ও সংহতি নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। বার্সিলোনা গত দশ বছর ধরে ইউরোপের সেরা ক্লাব। রেকর্ড সর্বোচ্চ ১০ বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদকে সেমিফাইনালে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল জুভেন্টাস। এক যুগ পর চূড়ান্ত লড়াইয়ে এসে শিরোপা জয় করতে চেয়েছিলও তারাও। কিন্তু অদম্য বার্সার কাছে পেরে উঠেনি সিরি এ’র চ্যাম্পিয়নরা। এ জন্য খারাপ লাগলেও দলকে নিয়ে গর্বিত জুভেন্টাস কোচ এ্যালেগ্রি। তিনি বলেন, আমরা এখান (বার্লিন) থেকে দুঃখের অনুভূতি নিয়ে যাচ্ছি। কেননা আমরা হেরেছি। কিন্তু নিজেদের খেলা নিয়ে আমরা গর্বিত। তিনি আরও বলেন, আমরা গোছালোভাবে খেলেছি। ধৈর্যশীল ছিলাম। সুযোগও সৃষ্টি করেছিলাম। কিন্তু নিজেরা ভুল করেই আমরা সম্ভাবনাটাকে দূরে চলে যেতে দিয়েছি। জুভেন্টাস অধিনায়ক বুফনও হারের ব্যথায় কাতরাচ্ছেন। তবে তিনি এই ভেবে সান্ত¡না খুঁজছেন যে, সেরা দলের কাছেই হেরেছে তার দল। বুফন বলেন, বার্সিলোনা বিশ্বের সেরা দল। এতে কোন সন্দেহ নেই। হারাটা কষ্টের, তবে তাদের কাছে হারায় আমরা দুঃখ ভুলতে পারব। যে কোন দলকে বার্সা হারাতে পারে। তারকা এই গোলরক্ষক আরও তিন মৌসুম অর্থাৎ ৪০ বছর পর্যন্ত খেলার কথা জানিয়েছেন। ব্যক্তিগত হতাশা আড়াল করে বিজয়ীদের অভিনন্দন জানাতে ভোলেননি জুভেন্টাস মিডফিল্ডার পল পোগবা। ফরাসী এই তারকা বলেন, আমি মনে করি আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কিন্তু বার্সিলোনা আমাদের চেয়ে ভাল খেলেছে। তাদের কিছু ছিল, যা আমাদের ছিল না। তাদের অভিনন্দন। বিশ্বকাপে কামড়ের দায়ে অভিযুক্ত উরুগুয়ের তারকা স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজের জন্য ম্যাচটি ছিল নিজেকে প্রমাণের। গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চে আরেকবার গোল করে সেটা করেছেনও তিনি। ম্যাচ শেষে সুয়ারেজ বলেন, এটা সত্যিই অসাধারণ। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। এই শিরোপা জয়ের পেছনে অনেক পরিশ্রম আছে। এই দলের সবচেয়ে সেরা দিক হচ্ছে দলীয় স্পিরিট। বিশেষ করে মৌসুমের শুরু থেকে আমরা যেভাবে একত্রিত ছিলাম সেটাই শিরোপা জয়ের মূলমন্ত্র। চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জিতে আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। ম্যাচের শুরুতেই গোল করে বার্সাকে চালকের আসনে নিয়ে যান ইভান রাকিটিচ। ক্রোয়েশিয়ার এই মিডফিল্ডার ম্যাচ শেষে বলেন, এটা অসাধারণ এক ম্যাচ। এটা সম্ভবত আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গোল। ক্যারিয়ারের কঠিন সময়েও স্ত্রী ও মেয়ের কাছ থেকে সমর্থন পেয়ে গেছেন তিনি। জয়টি তাই প্রিয় এই দু’জনকেই উৎসর্গ করেছেন রাকিটিচ। গত বছর বার্সিলোনায় যোগ দেয়া গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগান ছিলেন বাধনহারা। শিরোপা জয়ের পর তিনি কি করবেন সেটাই না কি বুঝতে পারছিলেন না! ইতিহাস গড়ে নিজের অনুভূতি এভাবেই জানান জার্মানির এই গোলরক্ষক। বলেন, কি হলো, আমি বুঝাতে পারছি না। কিন্তু দলের জন্য আমি সত্যিই খুশি। ভাল একটা মৌসুম আমরা কাটিয়েছি। আমি খুব খুশি। সবাইকে অভিনন্দন।
×