ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঢাকেশ্বরী থেকে চরণামৃত নিলেন মোদি

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ৮ জুন ২০১৫

ঢাকেশ্বরী থেকে চরণামৃত নিলেন  মোদি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকেশ্বরী এবং ঐতিহ্যবাহী রামকৃষ্ণ মিশনের সেবায়েতরা পুষ্পবৃষ্টি, শঙ্খ আর উলুধ্বনিতে রবিবার দিনের প্রথম প্রহরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বরণ করে নেন। ঢাকেশ্বরী মন্দিরে আরতি প্রদান এবং রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের মূর্তির সামনে শ্রদ্ধা জানিয়ে দিনের কর্মসূচী শুরু করেন মোদি। রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে মা দূুর্গার চরণামৃত (পবিত্র জল) নিতে যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর আগমন উপলক্ষে অন্যরকম আবহ ছিল ঢাকেশ্বরীতে। চারদিকে সাজসাজ বর। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন মন্দিরের সেবায়েতদের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানান সেখানে। এ সময় নরেদ্র মোদি ঢাকা দক্ষিণের তরুণ এই নগরপিতাকে বুকে জড়িয়ে ধরেন। মোদি তরুণ মেয়রের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। আলোচনায় ঢাকেশ্বরী মন্দিরের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকা-ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন অবদান মোদির সামনে তুলে ধরেন খোকন। রবিবার সকাল আটটা ৪০মিনিটে হোটেল সোনারগাঁও থেকে বের হয়ে পৌনে ৯টায় নরেন্দ্র মোদি ঢাকেশ্বরী মন্দিরে পৌঁছেন। তখন পুষ্প, শঙ্খ ও উলুধ্বনিতে মোদিকে বরণ করে নেয়া হয়। মোদিও তার স্বভাবভঙ্গিতে উপস্থিত সবাইকে করজোড়ে নমস্কার জানান। তিনি মূল মন্দির প্রাঙ্গণের শিব মন্দিরগুলো ঘুরে দেখেন এবং প্রণামপর্ব সারেন। সেখান থেকে কালী মন্দিরে গিয়ে দেবীর পায়ে অর্ঘ্য দিয়ে পুরোহিতদের আশীর্বাদ নেন এবং গ্রহণ করেন চরণামৃত। এরপর দেশের শীর্ষস্থানীয় হিন্দু নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ঢাকেশ্বরীতে মোদিকে সঙ্গ দেন ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি জিতেন্দ্র লাল ভৌমিক ও সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ সাহা মণি। মন্দিরের অভ্যন্তরে প্রধান সেবায়েত ও পরিচালক প্রদীপ চক্রবর্তী ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে মন্দিরের প্রধান বিগ্রহের সামনে নিয়ে যান এবং পূজা দেন। পূজা শেষে নরেন্দ্র মোদির হাতে একটি স্মারক তুলে দেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সিআর দত্ত মোদিকে একটি উত্তরীয় পরিয়ে দেন। ঢাকেশ্বরী মন্দিরের প্রার্থনা পর্ব শেষে মোদি ঢাকার রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন পরিদর্শনে যান। সকাল ৯টা ৭ মিনিটে তিনি সেখানে পৌঁছেন। ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে ঐতিহ্যবাহী রামকৃষ্ণ মিশনে পৌঁছলে মোদিকে সেখানে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। সেখানে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান রামকৃষ্ণ মিশন হেড কোয়ার্টারের (কলকাতা) প্রশাসনিক প্রধান স্বামী সুহিতানন্দ, মিশনের ঢাকার অধ্যক্ষ স্বামী ধ্রুভেশানন্দ, স্বামী সুহিতানন্দের ব্যক্তিগত সচিব স্বামী শুভকানন্দ ও স্বামী প্রিয়াতনন্দ। মোদি রামকৃষ্ণ মঠে প্রার্থনায় অংশ নেন। প্রার্থনা শেষে তাকে একটি স্মারক উপহার দেয়া হয়। পরে মোদি মন্দিরের সেবায়েতদের সঙ্গে একটি ফটোসেশনে অংশ নেন। মিশনে আসা পূজারী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে করমর্দন করেন মোদি। মঠে পূজা-অর্চনা সেরে কিছুক্ষণ অবস্থান করে বেলা ১০টার দিকে রাজধানীর বারিধারায় ভারতীয় হাইকমিশনের নতুন চ্যান্সারি কমপ্লেক্স উদ্বোধনে যোগ দিতে রওয়ান হন মোদি। বিদায় নেয়ার আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী সবাইকে প্রণাম করে ও হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান। রবিবার সকালে মোদির পরিদর্শনের অল্প সময়ের মধ্যেই ঢাকেশ্বরী মন্দিরে আরতি দেয়ার ভিডিও এবং রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের মূর্তির সামনে ভক্ত মোদির ছবি চলে আসে টুইটার পোস্টে।
×