ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মুসা বিন শমসের দুদকে সম্পদের হিসাব দিলেন

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ৮ জুন ২০১৫

মুসা বিন শমসের দুদকে সম্পদের হিসাব দিলেন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আলোচিত-সমালোচিত ব্যবসায়ী ড্যাটকো গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. মুসা বিন শমসের তার যাবতীয় সম্পদের হিসাব দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) দাখিল করেছেন। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে রবিবার মুসা তার আইনজীবীর মাধ্যমে কমিশন সচিবের কাছে এ সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। দুদক সূত্র জনকণ্ঠকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। দুদক সূত্র জানায়, দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে মুসার বিরুদ্ধে স্বনামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেলে গত ১৯ মে তার বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিস জারি করে কমিশন। নোটিসে মুসার নিজের ও তার স্ত্রীর এবং মুসার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের অর্জিত যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী সাত কার্যদিবসের মধ্যে কমিশনে দাখিল করতে বলা হয়। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে আরও সাত কার্যদিবস সময় বাড়িয়ে নেন মুসা। এরপর কমিশনের দেয়া বর্ধিত সময়ের মধ্যে তিনি এ সম্পদ বিবরণী দাখিল করেছেন। সূত্র জানায়, সুইস ব্যাংকে আটকে থাকা সাত বিলিয়ন ডলার অনুসন্ধান করতে গিয়ে মুসার আরও পাঁচ বিলিয়ন ডলারের তথ্য পেয়েছে দুদক। অর্থাৎ প্রিন্স মুসার মোট ১২ বিলিয়ন ডলার সুইস ব্যাংকে জব্দ রয়েছে, যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৯৩ হাজার ৬শ’ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৭৮ টাকা হিসেবে)। ওই অর্থ ছাড়াও গাজীপুর ও সাভারে মুসার নামে বিভিন্ন দাগে প্রায় ১২শ’ বিঘা সম্পত্তি রয়েছে। খাতা-কলমে ওই জমির মালিক তিনি। ১৯৭২-৭৩ সালে ওই সম্পত্তি ক্রয় করা হয়। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় এক হাজার ২শ’ কোটি টাকার ওপরে (এক বিঘা এক কোটি টাকা হিসেবে)। অধিকাংশ সময় মুসা দেশের বাইরে থাকায় এ সব সম্পত্তির খাজনা পরিশোধ করে নামজারি করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে তিনি জমিগুলো পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছেন। সূত্র আরও জানায়, প্রিন্স মুসার বিরুদ্ধে ২০১১ সালে অবৈধ সম্পদের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। ওই সময় বিজনেস ম্যাগাজিন ফোর্বসের প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে এ অনুসন্ধান শুরু করা হয়। তবে অজ্ঞাত কারণে দুদকের ওই অনুসন্ধান আলোর মুখ দেখেনি। তিন বছর পর ২০১৪ সালের শেষের দিকে ‘বিজনেস এশিয়া’ ম্যাগাজিনের প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে অবারও নতুন করে মুসার সম্পদের অনুসন্ধানে নামে দুদক। এতে ২০১৪ সালের ৩ নবেম্বর দুদকের সিনিয়র উপ-পরিচালক মীর মোঃ জয়নুল আবেদীন শিবলীকে প্রধান করে একটি অনুসন্ধান দল গঠন করে কমিশন। ওই বছরের ৪ ডিসেম্বর মুসাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিস পাঠায় দুদক।
×