মার্কিন সেনাবাহিনী এবং এর মিত্ররা ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) লক্ষ্য করে আবারও ইরাকে ১৪ বার এবং সিরিয়ায় ৭ বার বিমান হামলা চালিয়েছে। এর এক দিন আগে শুক্রবার এক সিনিয়র আমেরিকান জেনারেল আইএসের বিরুদ্ধে চলমান মার্কিন বিমান অভিযানের সর্বশেষ সমালোচনার পাল্টা জবাব দেন। তিনি বলেন, বিমান থেকে বোমাবর্ষণের ফলে জঙ্গীদের শক্তিক্ষয় ঘটলেও বেসামরিক লোকজন খুব বেশি সংখ্যায় মারা যায়নি। খবর গার্ডিয়ান ও ফক্সনিউজের।
এয়ারফোর্স লে. জে. তৃতীয় জন ডাব্লিউ হেস্টারম্যান শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন যে, মার্কিন নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশনের পাইলটরা প্রতি মাসে এক হাজারেরও বেশি জঙ্গী হত্যা করছেন, অথচ বেসামরিক লোকজন ও ইরাকি সরকারী সৈন্যদের হতাহত হওয়ার ঘটনা পরিহার করে চলেছেন। তিনি কাতারের আল উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে তাঁর সদর দফতর থেকে পেন্টাগনে সমবেত সাংবাদিকদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলছিলেন।
সমালোচকরা মাত্রাতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন এবং জঙ্গীদের হত্যা ও তাদের রসদ সরবরাহ পথ বিচ্ছিন্ন করার সুযোগ বিনষ্ট করার দায়ে মার্কিন কমান্ডারদের অভিযুক্ত করেন। ইসলামিক স্টেটের আরবি প্রতিশব্দ ‘দায়েশ’ ব্যবহার করে তিনি বলেন, আমরা বহুসংখ্যক দায়েশ সন্ত্রাসীকে দেখতে পাচ্ছি, কিন্তু তাদের হত্যা করছি না এ ভাবনা সবক্ষেত্রেই কল্পনামাত্র। আইএস প্রায় এক বছর ধরে প্রাত্যহিক মার্কিন বিমান হামলা উপেক্ষা করে ইরাকের উত্তর ও পশ্চিম অঞ্চলে এবং সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে বিরাট এলাকার ওপর দখলদারি বজায় রেখেছে।
জেনারেল বলেন, আমরা যেখানেই তাদের দেখতে পাই সেখানেই তাদের হত্যা করি।
কোয়ালিশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বোমারু, এ্যাটাক ও জঙ্গী বিমানগুলো সিরিয়ার আল হাসাকা ও কোবানির কাছে আঘাত আনে।
জঙ্গী ও ড্রোন বিমান ইরাকের বাগদাদি, বাইজি, হাব্বানিয়াহ, হাদিতা, মাসমুর, মসুল, সিনজার ও আল আফারের কাছের এলাকাগুলোর ওপর হামলা চালায়। স্থানীয় সময় শুক্রবার ও শনিবার সকালের মধ্যে ঐসব হামলার ঘটনা ঘটে।
পরে ইরাকি কর্মকর্তারা জানান, সরকারী বাহিনী ও শিয়া মিলিশিয়ারা আনবার প্রদেশে আইএস দলের দুটি হামলা প্রতিহত করে। এক হামলায় তারা চার আত্মঘাতী গাড়ি বোমা হামলাকারীকে প্রতিহত করতে ট্যাংকবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: