ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

কর্ণফুলী প্রকল্প চালু হলে ১৪ কোটি লিটার পানির সঙ্কট দূর হবে

প্রকাশিত: ০৪:৪০, ৮ জুন ২০১৫

কর্ণফুলী প্রকল্প চালু হলে ১৪ কোটি লিটার পানির  সঙ্কট দূর হবে

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ কর্ণফুলী-হালদা বাঁচলে দেশের অর্থনীতি বাঁচবেÑ এ স্লোগানে সোমবার সকালে চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদফতর, ওয়াসা যৌথভাবে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। এতে বক্তারা বলেছেন, কর্ণফুলী নদীর সঙ্গে জড়িয়ে দেশের অর্থনীতি। প্রাকৃতিকভাবে এ নদীর মোহনায় যে বন্দর গড়ে উঠেছে শত শত বছর আগে সে বন্দর এই জনপদের ইতিহাস ঐতিহ্য জাতীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতিকেই সমৃদ্ধ করেছে। অথচ এ নদীকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এর পাশাপাশি প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদা নদীও প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে। এই দুই নদীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসতে হবে। চট্টগ্রাম ওয়াসা মিলনায়তনে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় চবি প্রাণিবিদ্যা সহযোগী অধ্যাপক মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, কর্ণফুলী ও হালদা নদীকে রক্ষা করা খুবই জরুরী। কেননা, দূষণের হার এতই বাড়ছে যে ভবিষ্যতে এ দুটি নদী বুড়িগঙ্গা নদীর মতো দূষিত হয়ে মৃত অবস্থায় চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ দুই নদীর রক্ষায় ওয়াসার ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চট্টগ্রাম মহানগরীর ৬০ লাখ মানুষের পানির চাহিদা পূরণ হালদা নদী ও কর্ণফুলী নদীর ওপর নির্ভরশীল। কর্ণফুলী নদীর ওপর বহুমাতৃক অত্যাচার হচ্ছে উল্লেখ করে হাজী মুহাম্মদ সরকারী কলেজের রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইদ্রিস আলী বলেন, কর্ণফুলী নদী রক্ষায় আমাদের তেমন কোন মাথাব্যথা নেই। কিন্তু কর্ণফুলী তার অস্তিত্ব হারালে আমরা নিজেদের অস্তিত্ব হারাব। বর্তমানে দূষণ ও দখলে এ নদী মরে যাচ্ছে। পলি ও বর্জ্যে নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে চর জেগে উঠছে। নদীর পাড়ে অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠছে। শিল্প কারখানার প্রায় ২ হাজার টন বর্জ্য প্রতিদিন কর্ণফুলীতে পড়ছে। সে সঙ্গে আছে নগরীর মানব বর্জ্যসহ অন্যান্য দূষিত সামগ্রী। মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ওয়াসার সচিব মোঃ সামসুদ্দোহা, ওয়াসার উপ-পরিচালক রতন কুমার সরকার, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল আউয়াল, চট্টগ্রাম পরিবেশ দফতরের পরিচালক মকবুল হোসেন প্রমুখ।
×