ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

শেখ হাসিনা ও জনগণকে মোদির শুভেচ্ছা

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ৭ জুন ২০১৫

শেখ হাসিনা ও জনগণকে মোদির শুভেচ্ছা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঐতিহাসিক সফরে ঢাকায় পৌঁছার পর পরই টুইটে বাংলাদেশের মানুষকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ দেন । শনিবার সকাল সোয়া দশটার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামলে মোদিকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে দেয়া হয় লাল গালিচা সংবর্ধনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে সঙ্গে টুইটারে বিষয়টি তুলে ধরেছেন। তার এবারের টুইটটি করা হয়েছে বাংলায়। একটি টুইটে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে লিখেছেন, উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য ধন্যবাদ। আমি একটি সুন্দর সফর আশা করছি, যা ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ককে সুদৃঢ় করবে। আরেকটি টুইটে লিখেছেন, বাংলাদেশ, আমি আমার সঙ্গে ভারতের মানুষের ভালবাসা এবং শুভেচ্ছা নিয়ে আসছি। শনিবার সকালে ঢাকার পথে নয়াদিল্লী রওনা হওয়ার সময় আরেকটি টুইটে নিজের দুদিনের এই সফরের সাফল্য প্রত্যাশা করেন মোদি। তিনি টুইটে লেখেন, বাংলাদেশে রওনা হচ্ছি। এই সফর দুই জাতির পারস্পরিক বন্ধন আরও মজবুত করতে যাচ্ছে। এতে শুধু দুই দেশের জনগণই নয়, এই অঞ্চলের সবাই উপকৃত হবে। নিজের প্রথম বাংলাদেশ সফর নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুদিন আগেই উচ্ছ্বাসের প্রকাশ ঘটিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার দিল্লীতে থাকাকালে একটি টুইটে তিনি লেখেন, আমি দৃঢ় আশাবাদী যে, আমার বাংলাদেশ সফর আমাদের বন্ধন আরও মজবুত করবে এবং তাতে দুই দেশের জনগণই উপকৃত হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ফেসবুকেও নিজের ঢাকা সফরের বিস্তারিত তুলে ধরেছেন। চার বছর আগে মনমোহন সিংয়ের সফরের সময় ডুবোচরে আটকে যাওয়া তিস্তা চুক্তির জট না খুললেও ‘গন্ডির বাইরে গিয়ে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খোলার’ আশা জাগিয়ে ঢাকায় পা রাখলেন মোদি। শনিবার বিকেলে দুই দেশের শীর্ষ বৈঠকে কয়েকটি চুক্তি সই এবং স্থলসীমান্ত চুক্তি অনুসমর্থনের দলিল হস্তান্তর হয়। তবে এই দফায়ও তিস্তা চুক্তি হয়নি। রবিবার রাতে ঢাকা ছাড়ার আগে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ভারতীয় হাইকমিশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন মোদি। চা বিক্রেতা থেকে রাজনীতিতে এসে বহু বিতর্কের মধ্যেই বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসা মোদির এই বক্তৃতা নিয়ে এরই মধ্যে তরুণদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে।
×