ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

চবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৬

প্রকাশিত: ০৪:২৬, ৭ জুন ২০১৫

চবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৬

চবি সংবাদদাতা ॥ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক সংগঠন একাকার ও কনকর্ডের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ৬ জন আহত হয়েছে। এ দুটি গ্রুপই নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নবনির্বাচিত মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বেলা আড়াইটার দিকে চবি রেলস্টেশনে কনকর্ড গ্রুপের দশ বারোজন কর্মী ধারালো অস্ত্র নিয়ে একাকারের কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। পরে কনকর্ডের কর্মীরা আমানত হলে অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে একাকার গ্রুপের কর্মীরাও শাহজালাল হলের সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এ সময় পুলিশ দুই রাউন্ড টিয়ার গ্যাসের শেল ছোড়ে। এ বিষয়ে একাকার গ্রুপের নেতা ও সাবেক উপ-দফতর সম্পাদক ইমাদ আহমেদ সাহিল বলেন, ‘আগের সমস্যাটি আমরা মীমাংসা করেছিলাম। কিন্তু তাদের (কনকর্ড) নেতৃত্ব শূন্যতার কারণেই জুনিয়ররা এমন সাহস পেয়েছে।’ কনকর্ড গ্রুপের নেতা ও সাবেক ধর্মবিষয়ক সম্পাদক চৌধুরী মহসিন একরাম বলেন, ‘জুনিয়রদের মধ্যে কথা কাটাকাটি নিয়ে কিছু ঝামেলা হয়েছে। আমরা প্রশাসন ও সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করছি।’ চবি প্রক্টর সিরাজ উদদৌল্লা বলেন, ‘দুপক্ষের মধ্যে সমস্যা হয়েছে। আমরা বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করছি।’ এদিকে বেলা পৌনে পাঁচটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। চসিক কর্মকর্তা কর্মচারীদের মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ মেয়রের স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নবনিযুক্ত মেয়র কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়েরকৃত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন। শনিবার সকালে নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউটে কর্পোরেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্বার্থ সংক্রান্ত বিষয়ে দায়েরকৃত বিভিন্ন মামলা নিষ্পত্তি করার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক তিনি এ নির্দেশ দেন। বৈঠকে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন একটি একটি করে ২৩টি মামলার বিষয়ে বাদী ও বিবাদীদের মতামত ধৈর্য সহকারে শোনেন। তিনি প্রত্যেকের দাবিকৃত সুবিধাসমূহ আইনের বিধি বিধান, নিয়োগবিধি ও বিদ্যমান জনবল কাঠামোর আওতায় মীমাংসার সিদ্ধান্ত দেন। মেয়রের এ সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে সকল মামলার বাদীরা আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে মামলা তুলে নিতে একমত পোষণ করেন। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ শফিউল আলম বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। ভারপ্রাপ্ত মেয়র লায়ন মোহাম্মদ হোসেন, সচিব রশিদ আহমদ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিয়া শিরিন, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলামসহ, বিভিন্ন মামলার সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
×