ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

পশ্চিমাঞ্চল রেলের জনবল সঙ্কট ॥ ৯২ স্টেশন বন্ধ

প্রকাশিত: ০৪:১৭, ৭ জুন ২০১৫

পশ্চিমাঞ্চল রেলের জনবল সঙ্কট ॥ ৯২ স্টেশন বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার, ঈশ্বরদী ॥ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের অত্যাবশ্যকীয় অপারেটিং কর্মচারীসহ বিভিন্ন বিভাগে লোকবলের অভাবে যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেন চলাচল করছে বাধা ও ঝুঁকির মধ্য দিয়ে। ইতোমধ্যে পশ্চিমাঞ্চল রেলের ২শ’ ৩১টি স্টেশনের মধ্যে পাকশী বিভাগে ৫৩টি ও লালমনিরহাট বিভাগে ৩৯টিসহ ৯২টি স্টেশন বন্ধ হয়ে গেছে। এতে ট্্েরন অপারেটিং-এ নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। জরুরীভিত্তিতে স্টেশন মাস্টার, পয়েন্টসম্যান ও গেট কিপারসহ বিভিন্ন বিভাগে প্রয়োজনীয় সংখ্যক লোক নিয়োগ করতে না পারলে ২০১৫ সালের মধ্যেই পশ্চিমাঞ্চল রেলের পাকশী ও লালমনিরহাট বিভাগে ট্্েরন চলাচলে অচল অবস্থার সৃষ্টি হবে। পশ্চিমাঞ্চল রেলের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র মতে, স্টেশন মাস্টার, পয়েন্টসম্যান ও গেট কিপারসহ বিভিন্ন বিভাগের ৪০ হাজার জনবলের ভিত্তিতে পশ্চিমাঞ্চল রেলের অত্যাবশ্যকীয় কর্মচারী নিয়ে অপারেটিং কার্যক্রম চালু করা হয়। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নানামুখী সিন্ধান্তের ফলে এবং কর্মচারীদের অবসরজনিত কারণে ক্রমান্বয়ে জনবল কমতে থাকে। এতে দিন যত অতিক্রম করছে পশ্চিমাঞ্চল রেলের অপারেটিংসহ বিভিন্ন বিভাগে জটিল সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে কর্তৃপক্ষকে ট্রেন অপারেটিং-এ মারাত্মক বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। শুধু অত্যাবশ্যকীয় অপারেটিং কর্মচারীর স্বল্পতার কারণে স্টেশন বন্ধসহ ট্্েরনের সময়ানুবর্তিতার উপর বিরূপ প্রভাব অব্যাহত আছে। ৯২টি স্টেশন বন্ধ থাকার ফলে ব্লক সেকশনের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি, অত্যাবশ্যকীয় ব্লক ওয়ার্কিং ব্যবস্থা অকার্যকর, রানিং টাইম বৃদ্ধি এবং সেকশনাল ক্যাপাসিটি কমে যাওযায় সুষ্ঠু ও নিরাপদ ট্রেন পরিচালনার ক্ষেত্রে অন্তরায় ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলে মোট ২শ’ ৩১টি স্টেশনের মধ্যে স্টেশন মাস্টার ও পয়েন্টসম্যানের অভাবে পূর্ণ সময় বন্ধ আছে ৫৭টি এবং ১২ ঘণ্টা বন্ধ আছে ৩৫টি স্টেশন। চলতি বছর পাকশী ও লালমনিরহাট বিভাগে স্থায়ীভাবে কর্মরত ১৯ জন স্টেশন মাস্টার অবসর গ্রহণ করবেন। চুক্তিভিত্তি কর্মরত ৪৫ জন স্টেশন মাস্টারের মেয়াদ মার্চ ২০১৫ তে এবং ২৪ স্টেশন মাস্টারের মেয়াদ মে ২০১৫ তে শেষ হয়েছে। আরও ২৮ জন স্টেশন মাস্টারের মেয়াদ অক্টোবর মাসে শেষ হবে। ফলে বন্ধ স্টেশনের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। এতে কমপক্ষে আরও ৫৮টি স্টেশনের অপারেটিং কার্যক্রম বন্ধ হয়ে ট্্েরন অপারেশন কার্যক্রমে আরও জটিলতা সৃষ্টি হবে।
×