ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কলকাতার ব্রাত্যজন আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসবে প্রাচ্যনাটের ‘ট্র্যাজেডি পলাশবাড়ি’

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ৭ জুন ২০১৫

কলকাতার ব্রাত্যজন আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসবে প্রাচ্যনাটের ‘ট্র্যাজেডি পলাশবাড়ি’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কলকাতার ‘ব্রাত্যজন আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসবে’ প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে প্রাচ্যনাটের প্রযোজনা ‘ট্র্যাজেডি পলাশবাড়ি’। আগামী ১০ জুন নাটকটি মঞ্চায়নের মাধ্যমে পর্দা নামবে এ উৎসবের। এ উদ্দেশ্যে নাটকটির রচয়িতা ও নির্দেশক আজাদ আবুল কালামের নেতৃত্বে আগামীকাল কলকাতা যাচ্ছে দলটি। এবারই প্রথম এ প্রযোজনা নিয়ে দেশের বাইরে যাচ্ছে প্রাচ্যনাট। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন পারভিন সুলতানা কলি, পারভিন পারু, রিফাত আহমেদ নোবেল, রফিক, প্রদ্যুৎ কুমার ঘোষ, শাহরিয়ার রানা জুয়েল, সুদীপ বিশ্বাস, গোপী দেবনাথ, মনির প্রমুখ। আজাদ আবুল কালাম জানান, ২০০৫ সালের ১১ এপ্রিল গভীর রাতে সাভারের পলাশবাড়িতে ধসে পড়ে স্পেকট্রাম সোয়েটার এ্যান্ড নিটিং ফ্যাক্টরি। সে সময় ফ্যাক্টরিতে রাতের শিফটে কাজ করছিলেন শতাধিক কর্মী। সেই ঘটনায় নিহত হয় প্রায় ৬৪ জন। তদন্ত কমিটির রিপোর্টে জানা যায়, কোন রকম ঝুঁকি মোকাবেলার ব্যবস্থা ছাড়াই ঘটনার তিন বছর আগে একটি জলাভূমির ওপর ফ্যাক্টরিটি তৈরি হয়েছিল। ট্র্যাজেডি পলাশবাড়ি নাটকটি সেই ঘটনাকেই কেন্দ্র করে লেখা। যেখানে একক চরিত্র তারাভান। যে কোন সময় মাথার ওপর ছাদ ভেঙে পড়ে পিষে দেবে তার জীবন, এমনকি তার নড়ার উপায়টুকুও নেই। এ অবস্থায় সে যেন এক প্রকার তার সমগ্র জীবনের পাওয়া-না পাওয়ার হিসেব মিলিয়ে নেয়। সেই হিসেব প্রতিনিধিত্ব করে তারই মতো শত শত তারাভানের, যাদের অনেকেই এভাবে মরে যায়, আবার কেউ কেউ বেঁচে থাকে কারখানার মেশিনের মতো নির্বাক আজ্ঞাবহ হয়ে, দাস হয়ে। তারাভানের স্মৃতিচক্রের সমান্তরালে একই ঘটনাকে দেখা যায় একজন ভিনদেশী আউটসোর্সিং পারসন মিস্টার ওয়েস্ট এর দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। এই আকস্মিক ঘটনায় তার প্রতিক্রিয়া বিশ্বমঞ্চে যেসব চিত্র তুলে ধরে সেগুলো তারাভানরা কখনো জানে না, কিংবা জানার সুযোগ পায় না। এমন ঘটনা নিয়ে এগিয়ে গেছে এ নাটকের কাহিনী। ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর নাটকটি প্রথম মঞ্চায়ন হয় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে।
×