ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

কলকাতা-ঢাকা- আগরতলা বাস চলাচল শুরু

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ৬ জুন ২০১৫

কলকাতা-ঢাকা- আগরতলা বাস চলাচল শুরু

আবুল হোসেন, বেনাপোল থেকে ॥ কলকাতা-ঢাকা-আগরতলা রুটে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধা ৭টায় কলকাতা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী বাসটি রাত ১১টা ১০মিনিটে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এর আগে বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে কলকাতার ‘নবান্ন’ থেকে বাস পরিসেবার উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বাস সার্ভিসে যাত্রী হিসেবে এসেছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আবাসন, গৃহায়ন ও যুববিষয়কমন্ত্রী অরুপ বিশ্বাসের নেতৃত্বে সংসদ সদস্য, পরিবহন, প্রশাসনের কর্মকতা ও সাংবাদিকদের ৩৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির বৈঠকে যোগ দেবেন তারা। বাসটি পেট্রাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করলে বেনাপোল চেকপোস্টে তাদেরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান যশোর-১ ও ২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন, এ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মনির, বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জাহাঙ্গীর আলম, বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার এএফএম আব্দুল্লাহ খান, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য আমিনুর রব চৌধুরী, যশোর জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবির, পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান, বেনাপোল শুল্ক ভবনের অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম, বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন, বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল, শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম শরিফুল আলম এবং বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন । ভারতীয় অতিথিদের বরণ করে নিতে বিকেল থেকে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ ও প্রশাসনের লোকজন উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল চেকপোস্টে। দু’দেশের কর্মকর্তারা জানান, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে ৬ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ঢাকায় দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর বাণিজ্যিকভাবে এই বাস সার্ভিস চালু হবে। ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা পর্যন্ত বাস চলাচল করবে। ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাসটি ঢাকার উদ্দেশ্যে বেনাপোল ছেড়ে গেছে। শুক্রবার সকালে আখাউড়া হয়ে বাসটি আগরতলায় গেছে বলে জানা গেছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আবাসন, গৃহায়ন ও যুববিষয়কমন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস বলেন, বাসটি দু’দেশের মধ্যে সোহার্দ্য-সম্পৃতি বাড়াবে। দেশের প্রশাসন, পরিবহন সেক্টর ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টরা বসে এই রুটের যাত্রীদের ভাড়া ঠিক করবেন। ১২ জুন থেকে বাসটি নিয়মিত চলাচল করতে পারে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি আরও বলেন, আগরতলা থেকে অসম ঘুরে কলকাতা পৌঁছতে প্রায় ১৬০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। অথচ বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে আগরতলা যেতে মাত্র ৫০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে। এতে সময় বাঁচবে অনেক। চুক্তি স্বাক্ষরের পর পরই খুব কম সময়ে, সামান্য খরচেই ত্রিপুরার মানুষ আগরতলা থেকে ঢাকা হয়ে কলকাতা যেতে পারবেন। যশোর জেলা প্রশাসক ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর বলেন, বাসটি যাত্রীদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। অল্প সময়ে স্বল্প খরচেই বাসটিতে গন্তব্য স্থানে যাত্রীরা পৌঁছতে পারবেন।
×