ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

নাগরিক অধিকার রক্ষায় ঐতিহাসিক বিজয়

প্রকাশিত: ০৩:৫৮, ৬ জুন ২০১৫

নাগরিক অধিকার  রক্ষায় ঐতিহাসিক বিজয়

মার্কিন সরকারের টেলিফোনে আড়িপেতে বিপুল তথ্য সংগ্রহের অবসান ঘটিয়ে প্রণীত আইন ‘প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার রক্ষায় একটি ঐতিহাসিক বিজয়।’ সাবেক গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষক এডওয়ার্ড স্নোডেন বৃহস্পতিবার এক ভাষ্যে একথা বলেন। নিউইয়র্ক টাইমসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক পত্র-পত্রিকায় তাঁর মতামত তুলে ধরে প্রকাশিত নিবন্ধে স্নোডেন মার্কিন সরকারও কতিপয় শরীকের ব্যাপকভাবে ইলেক্ট্রনিক যোগাযোগে নজরদারি করার যে চাঞ্চল্যকর খবর ফাঁস করে দিয়েছিলেন তারপর থেকে নজরদারি বিষয়ে জনসচেতনতার বিরাট পরিবর্তনের বিষয় উল্লেখ করেন। স্নোডেন এ সপ্তাহে ইউএসএ প্যাট্রিয়টিক এ্যাক্টের অধীনে বিপুল তথ্য সংগ্রহ কর্মসূচী বন্ধ করা প্রসঙ্গে বলেন, ব্যক্তিগত ফোনকলে ব্যাপকভাবে আড়িপাতার অবসান ঘটানো প্রতিটি নাগরিকের অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একটি ঐতিহাসিক বিজয়। তিনি বলেন, ২০১৩ থেকে সারা ইউরোপের প্রতিষ্ঠানগুলো এ ধরনের আইন ও কর্মকা-কে অবৈধ বলে নির্দেশনা দেয় এবং ভবিষ্যত তৎপরতার ওপর নতুন বিধি নিষেধ জারি করে। জাতিসংঘ ব্যাপক নজরদারিকে মানবাধিকারের একটি দ্ব্যর্থবোধক লঙ্ঘন বলে বর্ণনা করেছেন। ৩১ বছর বয়সী স্নোডেনকে আলোড়ন সৃষ্টিকারী তথ্য ফাঁসের পর যুক্তরাষ্ট্র গোয়েন্দাগিরির অভিযোগে তাঁকে ফেরার ঘোষণা করে। ওই ঘটনার পর কোন কোন রাজনৈতিক মহলে তাঁকে যেমন বিশ্বাসঘাতক আখ্যা দেয়। আবার অনেকে তাঁকে নায়ক বলে বরণ করে নেয়। এই পলাতক সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা কর্মীকে রাশিয়ায় সাময়িক বসবাস মঞ্জুর করা হয়। হংকং-এর একটি হোটেল কক্ষে তিনজন সাংবাদিকের কাছে নজরদারির তথ্য ফাঁস করার পর থেকে গত দু’বছরে তার বন্ধুর পথচলা সম্পর্কে স্নোডেন বলেন, ‘তিনি প্রথম দিকে একথা ভেবে উদ্বিগ্ন ছিলেন যে, কেউ হয়তো তাঁর কথা গ্রাহ্য করবে না। দু’বছর পর ফারাকটা অনেক ব্যাপক। এক মাস সময়ের মধ্যে এনএসএ’র ফোনের আগ্রাসী আড়িপাতা কর্মসূচীকে যুক্তরাষ্ট্রের আদালত বেআইনী বলে ঘোষণা করে এবং কংগ্রেস তা বাতিল করে দেয়।’ ২০০১ থেকে বলবৎ প্যাট্রিয়টিক এ্যাক্টের যে সব ধারায় যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক নজরদারি পরিচালনার কথা বলা হয়েছে, গত রবিবার তার মেয়াদ শেষ হয়েছে এবং তার স্থান নিয়েছে ফ্রিডম এ্যাক্ট, যার দ্বারা তথ্য সংগ্রহের কর্মসূচীর অবসান ঘটেছে। খবর এএফপির।
×