ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা আরও উচ্চাভিলাষী

প্রকাশিত: ০৭:৪৯, ৫ জুন ২০১৫

রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা আরও উচ্চাভিলাষী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রস্তাবিত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা আরও উচ্চাভিলাষী করা হয়েছে। তবে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। চলতি বাজেটে এই হার ছিল ২ লাখ ২০ হাজার টাকা। মহিলা ও ৬৫ বছর উর্ধ করদাতা ২ লাখ ৭৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ, প্রতিবন্ধী করদাতা ৩ লাখ ৫০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ ৭৫ হাজার, গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতা ৪ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। এছাড়া বিদ্যমান সিটি কর্পোরেশন জেলা সদরের পৌরসভা এবং অন্য এলাকার কোম্পানি করদাতা ব্যতিত করদাতাদের যথাক্রমে ৩ হাজার, ২ হাজার ১ হাজার টাকা ন্যূনতম কর পরিশোধ করতে হয়। এ সব করদাতাদের অঞ্চল ভিত্তিক অবস্থান নির্বিশেষে ন্যূনতম করের হার ৪ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। সিগারেট উৎপাদনকারী সকল শ্রেণীর করদাতাদের কর হার ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করা হয়েছে। কো-অপারেটিভ সোসাইটির অর্জিত আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ কর নির্ধারণ করা হয়েছে। ব্যক্তিশ্রেণীর করদাতাদের করসীমা গতবারের তুলনায় বাড়ানো হয়েছে। এক্ষেত্রে বিদ্যমান সারচার্জ বহাল রাখা হয়েছে। নিজ সম্পদের বিদ্যমান সীমা ২ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্যে বিদেশী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিয়োজিত থাকলে সেইসব প্রতিষ্ঠানের ওপর প্রদেয় আয়করের ৫০ শতাংশ বা ৫ লাখ টাকা অতিরিক্ত করারোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। শুল্কস্তর নতুন করে বিন্যাস করা হয়েছে। আমদানি শুল্কের হার পাঁচ স্তর থেকে বাড়িয়ে ছয় স্তর করা হয়েছে। ০, ১, ২, ৫, ১০ এবং ২৫ শতাংশ করা হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে। মূলধনী যন্ত্রপাতির ওপর ২ শতাংশ শুল্কহার হ্রাস করে ১ শতাংশ হবে। কম্পিউটার পণ্যে বিদ্যমান ২ শতাংশ হার অপরিবর্তিত থাকবে। অন্যদিকে ট্যারিফ উদারীকরণের অংশ হিসেবে বিদ্যমান ৫ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি হ্রাস করে ৪ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া পাবলিকলি ট্রেডেট কোম্পানি বিদ্যমান করহার ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। পোল্ট্রি শিল্পের আয়ের ওপর প্রথম ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ৩ এবং পরবর্তী ২০ লাখ টাক পর্যন্ত ১০ এবং অবশিষ্ট আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এদিকে, এবারে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা হলো ২ লাখ ৮ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা এবং তাতে রাজস্ব বোর্ডের হিস্যা হলো ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। এই অর্থ আদায় হবে চারটি সূত্রে আয়কর, মূসক, সম্পূরক শুল্ক এবং আমদানি শুল্ক খাতে।
×