ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ভাংচুরের ঘটনায় শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ০৬:২৯, ৫ জুন ২০১৫

ভাংচুরের ঘটনায় শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে যমুনা এডিবল অয়েল মিলে শ্রমিক অসন্তোষের জেরে ভাংচুরের ঘটনায় মালিকপক্ষের দায়ের করা মামলায় বিপাকে পড়েছেন শ্রমিকরা। মামলার পর গ্রেফতার আতঙ্কে অনেক শ্রমিক গা-ঢাকা দিয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে মামলার পর থেকে শ্রমিক পরিবারের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আবু সুফিয়ান নামে মিলের এক কর্মকর্তা বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে গোদাগাড়ী থানায় মামলাটি করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রেমতলী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) বেলাল হোসেন জানান, মিলে ভাংচুর ও কর্মকর্তাদের মারপিটের অভিযোগ এনে দায়ের করা মামলায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এদের বেশিরভাগই যমুনা এডিবল অয়েল মিলের শ্রমিক। এছাড়া মামলায় এলাকার ২০ থেকে ২৫ ব্যক্তিকে অজ্ঞাতনামা হিসাবে আসামি করা হয়েছে। তিনি জানান, মামলা দায়েরের পর বিষয়টির সরেজমিন তদন্ত করা হচ্ছে। এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টাও চলছে। তবে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি বলেও জানান তিনি। এদিকে মামলা দায়েরের পর মিল সংলগ্ন সোনাদীঘি, প্রেমতলি ও আশেপাশের গ্রামের লোকজন গ্রেফতার আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মিলের একাধিক শ্রমিক অভিযোগ করেন, মালিকপক্ষের মামলা দায়েরের পর থেকে পুলিশ নানাভাবে সাধারণ মানুষকে হয়রানি শুরু করেছে। যাকেতাকে ধরে মিল ভাংচুরের মামলায় জড়িয়ে দেয়ার হুমকিও দেয়া হচ্ছে। ফলে তারা ঠিকমতো বাড়িতে থাকতে পারছেন না। জানা যায়, পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র ছাড়াই রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কের পাশে গোদাগাড়ীর সোনাদীঘি এলাকায় গড়ে তোলা যমুনা এডিবল অয়েল মিলে গত রবিবার রাতে ভাংচুর চালায় মিলের প্রায় দুই শতাধিক বিক্ষুব্ধ শ্রমিক। এর আগে পরিবেশ দূষণের অভিযোগে মিলের উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করে দেন এলাকাবাসী। এতে ওই মিলের শ্রমিকরা চাকরি হারানোর শঙ্কার মধ্যে পড়েন। মিলের শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, মিল বন্ধ থাকায় তাদের দিয়ে তুলনামূলক নিম্নপদের কাজ করিয়ে নিচ্ছিলেন মালিকপক্ষ।
×