ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

তিস্তাপাড়বাসীর মনের বালুচরে এখন বইছে পানি প্রবাহ

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ৫ জুন ২০১৫

তিস্তাপাড়বাসীর মনের বালুচরে এখন বইছে পানি প্রবাহ

মানিক সরকার মানিক, রংপুর ॥ ভারতের রাজ্যসভায় স্থল সীমান্ত চুক্তি পাস হওয়ার পরই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরে আসার সংবাদে দেশের উত্তরের তিস্তাপাড়ের মানুষের মাঝে নতুন করে দাবি উঠেছে পানি চুক্তি বাস্তবায়নের। যদিও তিস্তার পানি চুক্তির বিষয়টি দু’দেশের আলোচ্যসূচীতে নেই, তারপরও এ অঞ্চলের মানুষের বিশ্বাস, এবারই দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে পানি বণ্টন বিষয়টির সুরাহা হবে। আর এতেই অবসান হবে শুষ্ক ও বন্যা মৌসুমে দীর্ঘদিনের যাতনা ও ভোগান্তির। তিস্তাপাড়ের মানুষের মনের ভেতর এতকাল যে বালুর চর জেগেছিল, মোদির আগমনের সংবাদে সেই মনের চরে যেন এখন বইছে পানির প্রবাহ। তারা বলছেন, দু’দেশের পারস্পারিক সমঝোতায় ২০১১ সালে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি বিষয়ে সকল আয়োজন সম্পন্ন হলেও মমতা ব্যানার্জীর আপত্তির কারণেই তা বাস্তবায়ন হয়নি। আর এবার সেই মমতাই প্রধানমন্ত্রী মোদিকে জানিয়ে দিয়েছেন, দ্বিপাক্ষিক সব বিষয়ের সমস্যা সমাধানে তার সহযোগিতার কথা। রংপুরের বিশিষ্ট পানি বিশেষজ্ঞ অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হাক্কানী জানান, তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে স্বাধীনতার পর থেকে অনেক আলোচনা হলেও কোন সরকারই পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে পারেনি। ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ-ভারত মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে সমঝোতা হয়। সেই সমঝোতায় ঠিক হয়েছিল ভারত পাবে ৩৯ ভাগ পানি আর বাংলাদেশ ৩৬ ভাগ। বাকি ২৫ ভাগ থাকবে নদীকে বাঁচিয়ে রাখা এবং অভিন্ন নদীর মৎস্য রক্ষার জন্য। কিন্তু ভারতের অনাগ্রহের কারণে এতকালেও তা সম্ভব হয়নি। তবে এবার মমতা ব্যানার্জীর আপত্তি অতটা থাকবে না বলেই বিশ্বাস তার। তিনি আরও জানান, বঙ্গবন্ধু কন্যা এ দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪১ বছর পর যদি তার পিতার করে যাওয়া ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি বাস্তবায়ন করতে পারেন, তবে এই চুক্তিও তিনি বাস্তবায়ন করতে পারবেন এমনটাই বিশ্বাস তার। শুধু তাই নয়, তিনি আরও জানান, বঙ্গবন্ধুর রচিত পথেই তার কন্যা শেখ হাসিনা এই সোনার বাংলাকে প্রকৃতই সোনার বাংলায় রূপ দেবেন।
×