ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

লভ্যাংশের ওপর কর মুক্তের সীমা বাড়ছে

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ৪ জুন ২০১৫

লভ্যাংশের ওপর কর মুক্তের সীমা বাড়ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট পেশ করা হবে। প্রস্তাবিত এ বাজেটে পুঁজিবাজারে বিয়োগকারীদের লভ্যাংশের ওপর করমুক্ত সীমা ২০ হাজার টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকায় উন্নীত করা হচ্ছে। এছাড়া পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অন্য প্রতিষ্ঠানের কর্পোরেট কর সাড়ে ২৭ শতাংশ থেকে নামিয়ে ২৫ শতাংশ করা হচ্ছে। নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এদিকে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উত্থাপিত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্পোরেট কর কমানো হচ্ছে না। জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলোর কর হার অপেক্ষাকৃত বে। এ কারণে ঋণের সুদের হারও কমানো যায় না। তাই প্রতিবছরই এই কর্পোরেট কর কমানোর দাবি ওঠে। কিন্তু এবারও কর্পোরেট কর কমানো হচ্ছে না বলে জানা গেছে। একইসঙ্গে আগামী ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে উৎসে কর আদায় থেকে ছাড় দেয়া হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে ফার্ম বা কোম্পানি করদাতার মুনাফার ওপর ১০ শতাংশ হারে উৎসে কর আদায়ের যে বিধান করা হয়েছিল তা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্র জানায়, মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এজন্য আয়কর অধ্যাদেশের ৫৩(ও) ধারা বিলুপ্ত করা হচ্ছে। ধারাটি চলতি অর্থবছরে সংযোজন করা হয়েছিল। এর ফলে আগামী অর্থবছরে শেয়ারবাজার থেকে কোন কোম্পানি বা ফার্মের উদ্ভূত মুনাফা নিজেদেরকেই নিজেদের আয়কর রিটার্নে দেখাতে হবে। সে অনুযায়ী পরবর্তীতে কর আদায় করা হবে। গাড়ি ও টায়ার নির্মাণ কারখানা পাচ্ছে কর অবকাশ সুবিধা অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশে শিল্পায়নকে আরও বেগবান করতে আসন্ন ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট অটোমোবাইল ও টায়ার শিল্পসহ বেশকিছু খাতে কর অবকাশ সুবিধা প্রদান করতে যাচ্ছে সরকার। আর এই সুবিধা হতে পারে আগামী ১০ বছরের জন্য। আজ বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তার বাজেট বক্তৃতায় আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এনবিআর সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় ও বিদেশী কিছু বিনিয়োগকারী এ খাতে দীর্ঘদিন ধরে কর অবকাশ সুবিধা দাবি জানিয়ে আসছিল। তাই তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ সুবিধা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তাছাড়া কিছু দেশীয় এবং বিদেশী কোম্পানি ইতোমধ্যে দেশে অটোমোবাইল এবং টায়ার শিল্প স্থাপন করতে এগিয়ে আসছে তাই বিষয়টি অতি গুরুত্বের সহিত বিবেচনা করা হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনবিআরের এক উর্ধতন কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে বলেন, সরকার কর অবকাশ সুবিধা দেয়ার মাধ্যমে আমদানির বিকল্প উৎপাদন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠাকে উৎসাহিত করতে চাচ্ছে, যা একদিকে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় করবে অন্যদিকে দেশে ব্যাপক আকারে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। তিনি আরও বলেন, অটোমোবাইল ও টায়ার শিল্পের পাশাপাশি কর অবকাশ এই সুবিধা আসতে পারে বাইসাইকেল ও ইট ভাঁটিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও বিবেচনা করা হতে পারে। যা করতে আয়কর অধ্যাদেশ-১৯৮৪ এর ৪৬ ধারা অন্তর্ভুক্ত করা হবে। কেননা বাইসাইকেল শিল্প ইতোমধ্যে দেশের সম্ভাব্য রফতানিমুখী খাতে পরিণত হয়েছে।
×