নারীরা সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে গেলেও এখনও কর্মক্ষেত্রে লাঞ্ছিত হচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের বড় উৎস হচ্ছে পোশাক শিল্প এবং নারীরাই সেই পোশাক শিল্প ধরে রেখেছে। তবু গার্মেন্ট শিল্পে কর্মরতদের ওপর চলছে নির্যাতন, নিপীড়ন। ঘরে বাইরে কর্মক্ষেত্রে চলছে যৌন নিপীড়ন, ধর্ষণ, হত্যা। যারা এসব করছে তারা সমাজের ঘৃণিত লোক। এ সব লোক ১৯৭১ সালের রাজাকারের সঙ্গে তুলনীয় বটে। কর্মক্ষেত্রে আমরা পাচ্ছি না সঠিক মজুরি এবং পাচ্ছি না অতিরিক্ত কাজের বিল। কাজের তাগিদে নারীরা গ্রাম থেকে ছুটে আসে রাজধানীতে। রাজধানীতে এসে হাজার হাজার নারী নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এসব বন্ধ করতে হলে সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে। নারীরা আছে বলেই শিল্প কারখানা টিকে রয়েছে। আমরাও মানুষ। আপনাদের সমাজেরই একটি অংশ। আসুন আমরা সমাজের ঘৃণিত লোকদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই।
হবিগঞ্জ থেকে
বিকল্প নেই ফাতিমা আফরোজ
একদিন যে ছেলে শিশুটি মায়ের কোলে এসে পরিবারে অমিত সম্ভাবনার সৃষ্টি করে, স্বপ্ন দেখায় স্বর্ণালী ভবিষ্যতের- পরবর্তী সময়ে কেন সে রূপান্তরিত হয় একজন ধর্ষকে?- বিষয়টা একটু তলিয়ে দেখা দরকার। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, শৈশব-কৈশোরে ওই ছেলেটি তার বোনের চেয়ে বেশি মনোযোগ পায়। শিশুকালেই সে কোনো অপরাধ করলেও শাস্তির মুখোমুখি হয় না। বাবাকে দেখেছে তুচ্ছ কারণে মায়ের ওপর অশোভন আচরণ করতে। এছাড়া পাড়া-প্রতিবেশী কিংবা বন্ধুদের কাছ থেকে সে শেখে বিকৃত যৌনজ্ঞান। রাস্তায় বের হলেই সে শুনতে পায় অশ্লীল গালাগালি, অসভ্য আচরণ। এভাবেই কোমলমতি শিশুটি ঘরে ও বাইরের অসুস্থ পরিবেশে বেড়ে ওঠে অসুস্থ মানসিকতা নিয়ে। ফলে নারীর প্রতি শ্রদ্ধাবোধের জায়গাটি সে অর্জন করতে ব্যর্থ হয়। নারীকে কেবল যৌন সম্ভোগের মাধ্যম ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারে না সে। তাই আজকের এই ধর্ষক হয়ে ওঠার প্রক্রিয়াকে নির্মূল করতে হলে সুস্থ-স্বাভাবিক পরিবেশের কোনো বিকল্প নেই।
মোহাম্মদপুর, ঢাকা থেকে
শীর্ষ সংবাদ: