ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রাজনৈতিক শক্তি কাজে লাগাতে হবে ॥ পেট্রাউস

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ২ জুন ২০১৫

আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রাজনৈতিক শক্তি কাজে লাগাতে হবে ॥ পেট্রাউস

জঙ্গীগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হতে সামরিক শক্তির পাশাপাশি রাজনৈতিক শক্তি কাছে লাগাতে ইরাকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) সাবেক প্রধান ডেভিড পেট্রাউস। এক বিশেষ সাক্ষাতকারে তিনি এ কথা বলেন। সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। খবর বিবিসির। আইএসকে ‘ভয়ঙ্কর শত্রু’ হিসেবে বর্ণনা করে পেট্রাউস বলেন, কেবল অস্ত্রের জোরে এই জঙ্গী গোষ্ঠীটিকে মোকাবিলা করা যাবে না। সামরিক ও রাজনৈতিক পন্থার সমন্বয়ে আইএস জঙ্গীদের পরাজিত করা সম্ভব। ইরাকের ভূ-খ-ের একটি বড় অংশ দখল করে নিয়েছে আইএস। দখল হয়ে যাওয়া ভূ-খ- উদ্ধারে মার্কিন-সমর্থিত ইরাকি বাহিনী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ডেভিড পেট্রাউস ইরাক ও আফগানিস্তানে আন্তর্জাতিক বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। পরে ২০১১ সালের মধ্যভাগে তিনি সিআইএ-এর প্রধান হিসেবে যোগ দেন। পরের বছর তিনি ওই পদ থেকে পদত্যাগ করেন। বেজিংয়ে প্রকাশ্যে ধূমপান নিষিদ্ধ নতুন আইন জারি করে চীনের রাজধানী বেজিংয়ে প্রকাশ্যে ধূমপান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সোমবার, ১ জুন থেকে কার্যকর হওয়া আইনটি চীনা আইনপ্রণেতারা ২০১৪ সালের নবেম্বরে অনুমোদন করেছিলেন। খবর বিবিসির। এখন থেকে বেজিংয়ের রেস্তরাঁয়, কোন অফিসে বা যানবাহনে ধূমপান করা যাবে না। কেউ সিগারেট ধরালে দ-নীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে, এ অপরাধে তাকে ২০০ ইউয়ান (২৫৬০ টাকা) জরিমানা দিতে হবে। অপরদিকে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো আইন কার্যকরের ব্যবস্থা না নিলে প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার ইউয়ান জরিমানা করা হবে। আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে কয়েক হাজার পরিদর্শক নগরীটিতে মোতায়েন করা হবে। চীনে ৩০ কোটিরও বেশি ধূমপায়ী আছেন। দেশটিতে প্রতিবছর ১০ লাখেরও বেশি মানুষ ধূমপানজনিত রোগে মারা যায়। আইনটি বেজিংয়ে কার্যকর হওয়ার আগে থেকেই চীনে প্রকাশ্যে ধূমপান নিষিদ্ধ ছিল, কিন্তু তদারকির অভাবে আইনটির তেমন প্রয়োগ নেই। দেশজুড়ে সব হোটেল-রেস্তরাঁসহ প্রকাশ্যে ধূমপান নিষিদ্ধ করে ২০১১ সালে একটি গাইডলাইন প্রকাশ করেছিল দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু ইচ্ছা হলেই যেখানে-সেখানে সিগারেট ধরানো চীনা ধূমপায়ীদের বেপরোয়া মনোভাবের কারণে আইনটি কার্যকর করা যায়নি। কিন্তু এবারের আইনের একটি ধারা অনুযায়ী যে, বারবার আইন ভাঙবে তার নাম সরকারী ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে তাকে লজ্জা দেয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এতে কাজ হবে বলে আশা করছে নগর কর্তৃপক্ষ।
×