ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রাজধানীর চারপাশে নৌপথ প্রকল্পের উদ্দেশ্য ভেস্তে গেছে

প্রকাশিত: ০৬:০২, ২ জুন ২০১৫

রাজধানীর চারপাশে নৌপথ প্রকল্পের উদ্দেশ্য ভেস্তে গেছে

হামিদ-উজ-জামান মামুন ॥ রাজধানীর চারপাশে নৌপথ প্রকল্পের উদ্দেশ্য ভেস্তে গেছে। এক্ষেত্রে বিআইডব্লিউটিএ’র উদাসীনতা এবং ওয়াটার বাসযাত্রী বান্ধব না হওয়াকে দায়ী করেছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। এ পরিস্থিতিতে সাতটি সুপারিশ দিয়েছে বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)। তবে এ ধরনের উদ্যোগ যেগুলো বেসরকারী খাতের মাধ্যমে বাস্তবায়ন সম্ভব এবং লাভজনক সেসব খাতে সরকারী বিনিয়োগ করার প্রয়োজন নেই বলে মনে করছে পরিকল্পনা কমিশন। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা শহরের চারদিকে নৌপথ চালুকরণ প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে নৌপথ যথাযথভাবে খননের ফলে বাণিজ্যিক নৌযান চলাচল অপেক্ষাকৃত বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু সিন্নিরটেক, নবাবগঞ্জ ঘাটে ওয়াটার বাস স্টপেজ না থাকায় স্টেশন দুটি অকার্যকর এবং বসিলা স্টেশনটি ঘাট হিসেবে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কোন কোন ল্যান্ডিং স্টেশন অন্য কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে আশুলিয়া ল্যান্ডিং স্টেশন বর্তমানে ইজারাদারদের হোটেল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া বিআইডব্লিউটিএ-এর মনিটরিং ব্যবস্থা যথাযথ নয় এবং ওয়াটার বাসগুলো যাত্রীবান্ধব নয়। ফলে প্রকৃত উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে। এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল বলেন, যেসব কাজ বেসরকারী খাতে করা সম্ভব সেগুলো বেসরকারীভাবেই করা উচিত। আর যে কাজগুলো করলে বেসরকারী খাত উৎসাহিত হয়ে বিনিয়োগ করবে, সেগুলোতে সরকার বিনিয়োগ করবে। এ প্রকল্পটির বিষয়ে আইএমইডির সুপারিশগুলো হচ্ছে, নদী খনন ধারাবাহিকভাবে চলমান রাখতে হবে। বৃত্তাকার নৌপথের উভয় পথের উভয় পাড়ে রাস্তা নির্মাণ এবং ঘাটগুলোর সঙ্গে অভ্যন্তরীণ লিংক রোড তৈরি করতে হবে। সিন্নিরটেক থেকে আশুলিয়া পর্যন্ত দখলকৃত নদী জরুরীভাবে পুনরুদ্ধার করতে হবে। নদীতে বর্জ্য ফেলা বন্ধ করার ব্যবস্থা করতে হবে। আশুলিয়া ও টঙ্গী ব্রিজ এমনভাবে নির্মাণ করতে হবে যাতে কার্গোসহ অন্যান্য বড় নৌযান চলাচল করতে পারে। ওয়াটার বাস সার্ভিস যাত্রী সহায়ক ও আকর্ষণীয় করতে হবে। প্রয়োজনে এক্ষেত্রে প্রাইভেট কোম্পানিকে সম্পৃক্ত করতে হবে। এছাড়া বৃত্তাকার নৌপথের চারদিকে নিরাপত্তার জন্য নিরাপত্তা চৌকি স্থাপন করতে হবে। প্রকল্পটির বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম বলেন, সব কাজ সরকার করবে না।
×