ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নীতিমালা জারি

এবারও মাধ্যমিকের ফলের ভিত্তিতেই একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ২ জুন ২০১৫

এবারও মাধ্যমিকের ফলের ভিত্তিতেই একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিগত কয়েক বছরের মতো এবারও মাধ্যমিকের ফলের ভিত্তিতেই একাদশ শ্রেণীতে শিক্ষার্থী ভর্তির বিধান রেখে ভর্তি নীতিমালা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সোমবার জারি করা নীতিমালা অনুসারে বাংলাদেশের সকল সরকারী-বেসরকারী কলেজে আগামী ৬ জুন থেকে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে, ক্লাস শুরু হবে ১ জুলাই। এবার মাধ্যমিক উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ছাড়াও ২০১৩ ও ২০১৪ সালের পরীক্ষায় উত্তীর্ণরাও একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হতে পারবেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অনলাইনে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হবে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, কোন কলেজ চাইলে তাদের প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তিতে ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ করতে পারবে। প্রত্যন্ত/ অনগ্রসর অঞ্চলের সহশিক্ষার কলেজে ছাত্রীদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করতে হবে। আর কারিগরি শিক্ষায় ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তিতে ৫০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা এবং জিপিএর ভিত্তিতে বাকি ৫০ নম্বরের আলোকে মেধাক্রম নির্ধারণ করতে হবে। একাদশ শ্রেণীতে ভর্তিতে আগামী ৬ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত টেলিটক মোবাইলের মাধ্যমে এসএমএসে আবেদন করতে হবে। যারা ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছেন তাদের জন্য ২১ জুন পর্যন্ত সুযোগ থাকবে। ভর্তির জন্য মনোনীত শিক্ষার্থীদের তালিকা ২৫ জুন প্রকাশ করা হবে। বিলম্ব ফি ছাড়া ৩০ জুন পর্যন্ত ভর্তি হওয়া যাবে। আর বিলম্ব ফি দিয়ে ২৬ জুলাই পর্যন্ত ভর্তি হতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। ব্যবহারিক ক্লাস শুরু হবে ১ আগস্ট। টেলিটক মোবাইল থেকে এসএমএস করে ১৫০ টাকা জমা দিয়ে অনলাইনে আবেদন করা যাবে। সর্বোচ্চ পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পছন্দক্রমে রাখতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবেদনে খরচ পড়বে ১২০ টাকা। নীতিমালায় বলা হয়েছে, সাতটি বিভাগীয় সদরের কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কলেজের ৯০ শতাংশ আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। অবশিষ্ট ১০ শতাংশ আসনের মধ্যে ৩ শতাংশ সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় সদরের বাইরের এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য, ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা এবং ২ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী এবং স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের সন্তানের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। বিভাগীয় শহর ছাড়া জেলা শহরের কলেজেও ৯০ শতাংশ আসন সবার জন্য উন্মুক্ত রাখতে বলেছে মন্ত্রণালয়। বাকি ১০ শতাংশ বিভাগীয় সদরের কলেজের মতো একইভাবে পূরণ করা হবে। বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণরা যে কোন বিভাগে ভর্তি হতে পারবে। মানবিক শাখা থেকে উত্তীর্ণরাও মানবিকের পাশাপাশি ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ভর্তি হতে পারবে। ব্যবসায় শিক্ষায় শিক্ষার্থীরা ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগে ভর্তি হতে পারবে। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সব বিষয়ের ওপর সর্বোচ্চ ৪৮ গ্রেড পয়েন্ট ধরে জিপিএর ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করতে হবে। বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে সমান জিপিএ প্রাপ্তদের মেধাক্রম নির্ধারণের ক্ষেত্রে সাধারণ গণিত, উচ্চতর গণিত অথবা জীববিজ্ঞানে প্রাপ্ত জিপিএ বিবেচনায় আনা হবে। আর মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে সমান জিপিএ প্রাপ্তদের ভর্তির ক্ষেত্রে পর্যায়ক্রমে ইংরেজী, গণিত ও বাংলায় অর্জিত গ্রেড পয়েন্ট বিবেচনা করা হবে। ভর্তি ফি সম্পর্কে নীতিমালায় বলা হয়েছে, মফস্বল/পৌর (উপজেলা) এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেশন চার্জসহ সর্বসাকুল্যে এক হাজার টাকা, পৌর (জেলা সদর) এলাকায় দুই হাজার টাকা এবং ঢাকা ছাড়া অন্য মেট্রোপলিটন এলাকায় তিন হাজার টাকার বেশি ফি নেয়া যাবে না। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থী ভর্তিতে পাঁচ হাজার টাকার বেশি নিতে পারবে না। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় আংশিক এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও এমপিও বহির্ভূত শিক্ষকদের বেতনভাতা দেয়ার জন্য ভর্তির সময় মাসিক বেতন, সেশন চার্জ ও উন্নয়ন ফি বাবদ বাংলা মাধ্যমে নয় হাজার টাকা এবং ইংরেজী মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। নীতিমালা অনুযায়ী, উন্নয়ন খাতে কোন প্রতিষ্ঠান তিন হাজার টাকার বেশি নিতে পারবে না। দরিদ্র, মেধাবী ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ভর্তিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ফি যতদূর সম্ভব মওকুফ করতে বলেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
×